আমি যেভাবে কন্টেন্ট রাইটারদের গাইড করি
একজন কন্টেন্ট রাইটার সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন। এ পেশায় যেতে লেখালেখি করার আগ্রহ থাকতে হবে আপনার। এছাড়া ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি।
আমি রাইটারদের যেভাবে গাইড করি
শুরুতেই বলে রাখি, আমি একটি প্রজেক্ট একজন রাইটারকে দেই। একান্ত বাধ্য না হলে এর ব্যতিক্রম হয় না।
রাইটারকে প্রজেক্টের সবগুলো ফাইল পাঠিয়ে একবার চোখ বুলাতে বলি।
দেখা শেষ হয়েছে বলে জানালে স্কাইপে কল দিতে বলি। আমাদের আলোচনার বিষয়গুলো সাধারণত এমন হয়:
- প্রজেক্টটি কেমন হবে
- ক্লায়েন্ট বা আমার চাহিদা কী
- টার্গেট অডিয়েন্স কারা ও কেমন
- কন্টেন্টগুলোর স্ট্রাকচার কেমন হবে (প্রয়োজনে লাইভে একটি করে দেখাই)
- [কখনো] একটি স্যাম্পল স্ট্রাকচার দেখানো (আমি আগেই তৈরি করে রাখি, প্রয়োজনে দিয়ে দেই)
- রিসার্চ করার সময় বিশেষ কিছু বিবেচনায় রাখতে হবে কিনা (মনে রাখা কঠিন, তাই আলোচনা শেষে এটার নোট ফাইল দিয়ে দেই)
- বিশেষ কোনো কিওয়ার্ড বা প্রডাক্টে বিশেষ কিছু খেয়াল রাখতে বা ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে কিনা
- কোন কোন জায়গায় তিনি সমস্যা ফেইস করার সম্ভাবনা আছে (করলে যোগাযোগ করে সমাধান জেনে নেন)
- কোথাও শব্দ সংখ্যা বা কিওয়ার্ড পজিশনিং স্ট্রিকলি মানতে হবে কিনা
- তারপর তার প্রশ্নগুলো শুনি ও সেগুলোর জবাব দেই
* বুঝতেই পারছেন ক্ষেত্র বিশেষে কিছু জিনিস বাড়ে বা কমে। এটা স্বাভাবিক।
এরপর যা হয়
এরপর রাইটার “প্রাথমিক রিসার্চ” শুরু করেন। প্রাথমিক রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লিখব ইনশাআল্লাহ।
প্রাথমিক রিসার্চে রাইটারের সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। আবার সহজ ও পরিচিত নিশ হলে একদিন, আবার জটিল ও ভুতুড়ে নিশ হলে দশ দিনও লাগতে পারে।
প্রাথমিক রিসার্চ শেষে প্রয়োজনে রাইটারের সাথে একটি আলোচনা হয়। এমনটা খুব কম হয়।
এরপর রাইটার একটি কিওয়ার্ড নিয়ে রিচার্স শুরু করেন; শুরু হয় লেখার কাজ।
লেখক স্বাধীনভাবে লেখেন। কারো কাজের সময় নির্ধারিত নয়। আমরা এসব ক্ষেত্রে শতভাগ স্বাধীনতা দেই, যাতে লেখকের সৃজনশীলয় কোনো প্রভাব না পড়ে।
ফার্স্ট ড্রাফট থেকে ফাইনাল কপি তৈরি করতে গিয়ে রাইটার বেশ কয়েকবার এডিট করে ফেলেন।
আমি মিনিমাম তিন বার এডিট করতে বললেও এটা সাধারণত কেউই মানে না; কমবেশি হয়।
এখানে বেশ কিছু স্টেপস ফলো করা হয়। অবশ্য সেগুলো এখানে আলোচনা করলে পদ্মা সেতুর কাহিনি হয়ে যাবে।
কিভাবে এডিটিং ও প্রূফরিডিং করবেন– তা নিয়ে আরেকদিন খিচুরি পাকানো যাবে। আজ পান্তাই খেতে থাকুন।
রাইটারেরর কাছ থেকে এডিটর লেখা পেয়ে ম্যানুয়ালি পুরোটা চেক করেন। কাজটা সহজ নয়, তবুও করতে হয়। এখানেই আসলে টক কাঁচা আমগুলো পেকে অমৃত হয়।
শেষ ধাপে এক বা একাদিক টুলের সাহায্যে লাস্ট মিনিট চেক করা হয়। সাজেশনগুলো ম্যানুয়ালি চেক করে নেয়া বা বাদ দেয়া হয়। সাধারনত ০১% থেকে সর্বোচ্চ ১০% মত নেয়া সম্ভব হয়।
সর্বশেষে কপি চেক করে জমা দিয়ে দেয় হয়।
একটি ছোট উদাহরণ দেই
“বেস্ট পচা আলু” নিয়ে উদাহরণ দিবো না। ওটা গুরুজনদের কাজ।
আমি বরং এই মুহূর্তে সামনে যে লেখাটি আছে সেটা নিয়েই বলি।
লেখাটির টাইটল হচ্ছে, “What is Sharia Law?”.
রাইটারকে টাইটলটি দেয়ার সাথে সাথে একটি সাজেসটিড স্ট্রাকচারও দিলাম। নিচে হুবহু সেটি তুলে দিলাম:
- Introduction
- The Origins of Islamic Law
- What is sharia law really?
- What is sharia law based on?
- Understanding Sharia Law
- Sharia Law Examples — List of Key Rules
- Five Myths about Islamic Sharia
- Sharia Law Countries
- Sharia Law in Saudi Arabia
- Sharia Law in Malaysia
- Sharia Law in Nigeria
- Sharia Law in Pakistan
- Sharia Law in India
- Sharia Law in Bangladesh [other countries if you want]
- Answering some questions like “Is Sharia law ….?”. (5-7)
- Conclusion
এই বিশাল জগতে আমি নিজেকে একজন দুর্বল ছাত্র মনে করি। আমার জানার পরিধি নিতান্তই কম।
সুতরাং ভুল হওয়া খুব স্বাভাবিক। লেখাটিতে কোনো ভুল পেলে জানাবেন, ঠিক করে নিবো।
আর কোনো জিজ্ঞাসা বা পরামর্শ থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন।
আল্লাহ তাওফিক দিলে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। এক্ষেত্রেও আপনার কোন পরামর্শ থাকলে জানাতে কার্পণ্য করবেন না।
আল্লাহ সবাইকে কর্মক্ষেত্রে সফলতা দান করুন— এই কামনা করছি।