How to Advanced Keyword Research bangla Tutorials
keyword research in bangla আজকে এটাই আমাদের মূল টপিক্স, আমাদের keyword research in bangla এই বিষয়ে যাওয়ার আগে আমাদের ফান্ডামেন্টাল কিছু বেসিক বিষয় জেনে নিতে হবে, যেমনঃ কীওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে? ইত্যাদি। তো শুরু করি, আচ্ছা আমরা জানি যে, Keyword Research হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। Keyword research এমন একটি প্রসেস (process) বা প্রক্রিয়া যার ব্যবহার করে আমরা Google search engine এ সব থেকে বেশি সার্চ হওয়া শব্দ, বাক্য (sentence) বা প্রশ্ন গুলি খোঁজার জন্য প্রয়াস বা গবেষণা (research) করতে পারি।
আপনার ওয়েবসাইট কে Rank করানোর জন্য Keyword research এর কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও অন পেজ এসইও (on-page SEO Bangla) এর মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো, কিওয়ার্ড রিসার্চ।
কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research) কে ইন্টারনেট জগতের হৃদপিন্ড বলা হয়। আপনি ব্লগিং, ইউটিউবিং, এসইও যাই করুন না কেন কীওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া আপনি সফল হতে পারবেন না। কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলে ইন্টারনেট জগতে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা (Table of Contents)
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?
অনপেজ এসইও করার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কীওয়ার্ড রিসার্চ ব্যাতীত আপনি আপনার ব্লগ পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারনেটের মধ্যে নিহিত যেকোনো কিছু rank করাতে পারবেন না। এসইও এর অন্যতম শর্ত হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ করা।
Keyword research কি ? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনার সবচে আগেই জেনে নিতে হবে যে “কীওয়ার্ড মানে কি“.
সাধারনত মানুষ অনলাইন যা কিছু লিখে সার্চ করে। সেগুলো প্রত্যেকটি এক একটি কিওয়ার্ড। অর্থ্যাৎ, আমরা যখন গুগল বা ইউটিউবের সার্চ বক্সে কোনো কিছু লিখে Search করি। আমাদের লেখা সেই শব্দ গুলোকে বলা হয়, Keyword.
Keyword মানে কি ? (What Is Keyword in Bangla)
আমরা যখন গুগল সার্চে (Google search Engine) কিছু সমস্যা বা বিষয় নিয়ে সার্চ করি, তখন আমরা কি লিখি ? “ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবো”, “কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ”, “কীওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি ? (What Is Keyword Research)”, “Keyword কাকে বলে” এবং এরকম কিছু শব্দ বা বাক্য লিখে গুগল সার্চ করি। গুগল সার্চে লিখা এই ধরণের “শব্দ” বা “বাক্য” গুলোকেই বলা হয় কীওয়ার্ড (Keyword)।
যেকোনো কীওয়ার্ড একটি শব্দের হতে পারে বা একের অধিক বেশি শব্দের কোনো বাক্য ও হতে পারে।
যেমন, “Keyword Research Tutorial in Bangla” অথবা “How to keyword research in bangla” এবং “Keyword কেন ব্যবহার করা হয়” দুটোই কিন্তু keywords. আরো সোজা ভাবে বললে, একটি কীওয়ার্ড মানে হলো “আপনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে, bing search বা yahoo search ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করছেন” সেই শব্দ বা শব্দের সমষ্টি (বাক্যটি) হলো কীওয়ার্ড।
যদি আপনারা আমার লিখা এই আর্টিকেলের (পোস্ট) কি কি কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছি সে ব্যাপারে বলেন, তাহলে দেখুন আমি এখানে “কীওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করবো বা Keyword Research কি?”, “কীওয়ার্ড রিসার্চ কি”, “Keywords কি“, “কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ“, “কীওয়ার্ড রিসার্চ ফ্রীতে কিভাবে করতে হয়”,“সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)কী “, “কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়” এই কীওয়ার্ড গুলি টার্গেট করে আর্টিকেল লিখেছি। তাই, এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী এমন কেউ যদি উপরের কোন keywords গুলো দিয়ে গুগলে সার্চ করেন, তাহলে হয়ত আমার ব্লগ বা আর্টিকেল গুগল তার সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।
তাহলে এখন আপনারা বুঝতে পারছেন, কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেলের এমন এক বা একাধিক শব্দ যা সম্পূর্ণ আর্টিকেলের বিষয়বস্তুকে প্রকাশ করতে পারে। যেমন, এই আর্টিকেলের জন্য keyword নির্বাচন করা হয়েছে “কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?”। কিওয়ার্ড দেখেই বোঝা যাচ্ছে আর্টিকেলটিতে কোন বিষয়ে আলোচনা করা হবে বা কি কি থাকতে পারে। লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা যখন কোনো বিষয়ে ইন্টারনেটে (গুগল সার্চে (Google search Engine এ) খোঁজ করি, তখনও এই কিওয়ার্ডগুলো ধরেই সার্চ করা হয়। আর গুগল সার্চে আমরা আমাদের আগ্রহের বিষয়টা দেখি।
উদাহরণস্বরূপ যদি বলি, আপনি যদি গুগলে ফ্রী কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুলস সম্পর্কে সার্চ করতেন তাহলে কি লিখে করতেন?
- ফ্রী কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুলস?
- কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ফ্রি টুলস
- ফ্রীতে keyword রিসার্চ করার উপায়
- কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সেরা টুলস?
- বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুলস- ফ্রি, ইত্যাদি।
একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রতিটি লাইনেই আমাদের কিওয়ার্ডটি রয়েছে। কিন্তু আপনি কিভাবে জানবেন, লোকজন কোনটি নিয়ে বেশি সার্চ করছে? কিংবা কোন কিওয়ার্ডটিকে মেইন কিওয়ার্ড হিসেবে বাছাই করলে Rank করা সম্ভব? এই জায়গাতেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার গুরুত্ব চলে আসে।
যাই হোক আমাদের সকলের ধারণা এখন নিশ্চয় পরিস্কার যে, কিওয়ার্ড আসলে হল এক বা একাধিক শব্দের সমষ্টি যেটা দিয়ে google, Yahoo, Bing,DuckDuckGo বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে এমন কি YouTube, Facebook এ কিছু search করলে আমাদের কাঙ্খিত search result টি আমাদের সামনে চলে আসে।
কিওয়ার্ড কত প্রকার (types of keywords in Bangla)
আপনি দেখে থাকবেন আমরা কিন্তু সব সময় এক ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করিনা। যেমন ধরুন – আপনি যদি google এ গিয়ে ” Facebook account login ” লেখেন আপনি প্রথমেই ফেসবুক এর ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন কারন আপনি এই কীওয়ারড দিয়ে চাচ্ছেন ফেসবুকে লগ ইন করতে।
আবার আপনি যদি লেখেন ” অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন এ টু জেড ” গুগল বোঝে আপনি “অ্যামাজন নিশ সাইট কিভাবে বানাবেন” এ বিষয়ে জানতে চাইছেন। তখন আপনাকে যেই সাইট এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়ে আরটিক্যাল লেখেছে তাদের কে Google SERPs এ দেখাবে। আপনিও “অ্যামাজন এফিলিয়েট সাইট কিভাবে বানাতে হয়” এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেলেন। সুতরাং আপনি নিজেই যেমন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বা সময়ে অনেক রকম উদ্দ্যেশে বিভিন্ন query সার্চ দেন সেরকমই বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের এর search query র উপর নির্ভর করে কিওয়ার্ডগুলোকে ভাগ করা হয় সুবিধার জন্য।
কিওয়ার্ড কি এবং কিওয়ার্ড কত প্রকার এই প্রশ্নের বিস্তারিত সমধান নিয়েই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। কিওয়ার্ড কত প্রকার এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নেই। উপরের উদাহরণ এর মাধ্যমে আমরা জানি বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে keyword এর অনেক ধরণের প্রকারভেদ হয়ে থাকে।
দৈর্ঘ্য বা legnth এর উপর নির্ভর করে কিওয়ার্ডগুলোকে ভাগ করা যায়। যথা:
- শর্ট টেইল কীওয়ার্ড (যেমন: SEO)
- মিড টেইল কীওয়ার্ড (Mid-tail keywords) (যেমন: on page SEO)
- লং টেইল কীওয়ার্ড (যেমন: how to do on page seo in wordpress)
শর্ট টেইল কীওয়ার্ড (Head terms Keyword)
শর্ট টেইল কিওয়ার্ড হলো তিন বা তারচেয়ে কম শব্দের কিওয়ার্ড। ধরা যাক আপনি যদি গুগোল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে শুধু Coffee লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটি হচ্ছে শর্ট টেইল কীওয়ার্ড বা Head terms Keyword। এখানে ‘Coffee’ হলো শর্ট টেইল কিওয়ার্ড, কারণ এতে মাত্র একটি শব্দ রয়েছে।
শর্ট টেইল কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম বেশি। পাশাপাশি কম্পিটিশনও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
মিড টেইল কীওয়ার্ড (Mid-tail keywords)
এগুলো short-tail keyword এর থেকে একটু বড় হয়ে থাকে । এগুলো একটু কম competetive এবং কম search volume এর হয়ে থাকে। যেমন – ” best wordpress theme ” হল mid-tail keyword এর উদাহরণ।
লং টেইল কীওয়ার্ড (What are long-tail keywords?)
যে কিওয়ার্ডগুলোতে তিনের বেশি শব্দ থাকে, সেগুলোকে বলা হয় লং টেইল কিওয়ার্ড। মানে, এগুলো আকারে অনেকটায় বেশি হয়ে থাকে এবং সার্চ ও কম্পিটিশন অনেকটায় কম হয়ে থাকে।এই ধরনের long-tail keywords ব্যবহার করে নতুন ওয়েবসাইটগুলো ভালো রাঙ্কে আস্তে পারে।
যেমন, আপনি গুগলে ‘ফ্রিতে ৬ মাসে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন” অথবা ‘আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা’ লিখে সার্চ দিলেন। এখানে ‘ফ্রিতে ৬ মাসে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন’ অথবা ‘আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা’ দুটোই লং টেইল কিওয়ার্ডের উদাহরণ, কারণ এতে তিনের অধিক শব্দ রয়েছে।
কিওয়ার্ড ইন্ট্যান্ট (অভিপ্রায়) ভিত্তিক (Based On Keyword Intent )
সার্চ ইন্টেন্ট কি?
সার্চ ইন্টেন্ট বা অনুসন্ধানের অভিপ্রায় হল ব্যবহারকারীর প্রশ্নের পিছনের উদ্দ্যেশ খোজা। সোজা কথায়, কি কারণে তারা একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড ব্যবহার করে অনুসন্ধান করছে তা জানা। তারা হয়তো তথ্য চাইচে, কোন পণ্য সম্পরকে, বা কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায়, অথবা এমনকি কোন সারভিস খুঁজছেন। যেমন কেউ যদি সারচ করে “laptop” কিন্তু আরো বিস্তারিত ভালে “best laptops under $500 2021” এভাবে না খোজে তাহলে গুগলে সারস করার পিছনের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা আরও কঠিন। কেন? কারণ “laptop” দিয়ে অনেক কিছু জানতে চাইতে পারে। এর অর্থ হতে পারে যে ব্যবহারকারী একটি ল্যাপটপের ছবি খুঁজছেন অথবা ল্যাপ্টপ সম্পরকে জানতে চান। কিন্তু “best laptops under $500 2021” -এর পিছনে কেবল একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা রয়েছে – ব্যবহারকারী ২০২১ সালে ৫০০ ডলারের নিচে সেরা ল্যাপটপগুলো খুঁজছেন।
অনুসন্ধানের অভিপ্রায় সম্পর্কে এই সমস্ত তথ্যের সাথে, এই বিষয়ে বোঝার এবং গভীরভাবে অনুসন্ধান শুরু করার সর্বোত্তম উপায় হল এর বিভিন্ন ধরণের সার্চ ইন্টেন্ট সম্পর্কে জানা। কিওয়ার্ড ইন্ট্যান্ট বা অভিপ্রায়, ইচ্ছা এর উপর ভিত্তি করে নিচের মতো করে ভাগ করা যায় –
তথ্যগত অনুসন্ধান বেসড কিওয়ার্ড (Informational intent)
ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তরের উপর তথ্য জানতে চায়। এই প্রশ্নগুলির মধ্যে “কিভাবে,” “কি,” “কোথায়,” “কেন করবেন” এবং অন্যান্য তথ্য থাকতে পারে। আবার দেখুন (ইমেজ) দুটি অনুসন্ধানে ‘কীভাবে’ বা ‘কী’ শব্দগুলি নেই, তবে গুগল বুঝতে পারে যে ব্যক্তি সেই বিষয়গুলিতে আরও শিখতে চায় তাই এগুলো ও তথ্যগত অনুসন্ধান কারণ তারা আরো তথ্য খুঁজছেন।
লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting)
যেসব কিওয়ার্ডগুলো বিভিন্ন লোকেশান এর উপর নির্ভর করে সার্চ করা হয় তাদের মুলত Geo-targeted keywords বা লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড বলা হয়।
উদাহরন – ” chinese restaurants dhaka ” ,” hosting in usa “,”digital marketer in bangladesh” কিওয়ার্ডগুলো সার্চ এর মাধ্যমে লোকজন বিভিন্ন লোকেশান যেমন Dhaka , USA, Bangladesh তে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইছে সুতরাং এগুলো সবই geographical location নির্ভর keywords.
Transactional বেসড কিওয়ার্ড:
লেনদেনের অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য হল কোন ব্যক্তি তার জন্য একটি সাইট খুঁজছেন যা তাদের অর্থের জন্য সর্বোত্তম মূল্য দিতে পারে। নাম থেকেই বোঝা যায়, এই সারচ ইন্ট্যান্ট ব্যবসার লেনদেন এর সাথে যোগাযোগ আছে। ব্যবহারকারী একটি একশান (কনভারসান) সম্পন্ন করতে চায়। এটি কেবল কেনাকাটায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি ইমেল সাইনআপ, লিড জেনারেশন ফর্ম জমা, স্টোর ভিজিট বা একটি ফোন কল হতে পারে। এগুলো তে কিছু অপারেটিভ শব্দ খুজে পাওয়া যায়, যেমনঃ ‘buy’, ‘deal’, ‘discount’, ‘purchase’, ‘order’, ‘cheap’, ‘price’, ‘book’, ‘download’, ‘sign up’, and ‘register’ ইত্যাদি।
উদাহরনঃ “buy macbook pro”
ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (Navigational)
Navigational ব্যবহারকারী একটি সুনির্দিষ্ট ওয়েব পেইজ বা সাইট খুঁজে পেতে চান । উদাহরন – “Twitter login” এই কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে মূলত মানুষ Twitter এর সাইটে গিয়ে তার একাউন্ট লগিন করতে চান। এটা ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড ও; একটি নেভিগেশনাল (Navigational) সার্চ প্রায় সবসময় ব্র্যান্ডেড – মানে শব্দগুলো হবে একটি ব্যবসা বা পণ্যের নাম থাকতে পারে। যে কিওয়ার্ড সার্চ করেন উনি একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যেতে চায়, যা ইতিমধ্যেই জানে যে সেটি কোনটি। Brand based keywords গুলো মূলত কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানি বা ব্রান্ড এর উপর হয়ে থাকে।আপনি যদি সার্চ করেন ” bluehost hosting plans ” , ” digitalocean hosting plans “এর মানে আপনি bluehost, digitalocean কোম্পানির hosting plan এর ব্যাপারে সার্চ করে জানতে চাইছেন।
মার্কেটিং বেসড কিওয়ার্ড (Commercial intent):
মার্কেটিং বেসড কীওয়ার্ডগুলি আপনার টারগেট ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারে যা শেষ পর্যন্ত আরো বেশি বিক্রয় এবং বায়িং কাস্টমারে রূপান্তরিত হয়। Commercial/Buying Intent Keyword হচ্ছে ওই ধরনের কিওয়ার্ড যে কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ কোনো কিছু বা কোনো প্রোডাক্ট কেনার উদ্দেশ্যে সার্চ করে থাকে।
Example of Commercial/Buying Intent Keyword –
Best + keyword = Best hosting, Best mobile under 300$
keyword + review = Namecheap review, Samsung S9 review
Keyword + price = Samsung S9 price
keyword + time = Discover 125 price 2021, Namecheap review 2021
এটা বলা যেতে পারে যে ” কমারশিয়াল ইন্ট্যান্ট কীওয়ার্ড = বেশি বিক্রয়”। উদাহরনঃ “best protein powder”
কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor)
কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ডগুলো মুলত সেই ধরনের কিওয়ার্ড যেগুলো একই প্রোডাক্টের এর উপর বিভিন্ন কোম্পানি কম্পিটিশন করে থাকে ।
উদাহরণ – ” best phone under 15000 “এই কিওয়ার্ডটির মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি আসে কারন ১৫ হাজার দামে বিভিন্ন কোম্পানি ভালো ভালো ফোন বিক্রি করে থাকে।
এলএসআই কীওয়ার্ড (LSI Keyword) কি?
LSI কথাটির পুরো নাম Latent Semantic Indexing Keywords ।সাধারন ভাষায়, আপনার মূল কিওয়ার্ড এর সাথে সমন্বয় রেখে, যা দেখতে পাওয়া যায়। মূলত তাকে বলা হয়, LSI কিওয়ার্ড। গুগলে সার্চ করলে Search engine এ পাতার নীচের দিকে primary keyword এর সাথে সম্পর্কিত যে কিওয়ার্ড গুলো show করে তাদের Latent Semantic Indexing Keywords বলে।
যেমন, কোনো একজন ব্যক্তি অনলাইনে সার্চ করলো, “Mobile”. এখানে Mobile হলো মূল কিওয়ার্ড।
এবার মূল কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে যদি LSI খুজতে যাই। তাহলে আপনার সামনে যে কিওয়ার্ড গুলো আসবে, সেগুলো হলো, Samsung Mobile, Nokia Mobile, Apple Mobile ইত্যাদি।
কেন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
আপনার গ্রাহক বা ভিজিটরদের সমস্যা সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে এটা জানা প্রয়োজন যে তারা ঠিক কোন কোন কিওয়ার্ড লিখে বেশি সার্চ করছে সার্চ ইঞ্জিনে এবং তারা কোথায় থেকে কত জন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করছে এবং সেই সার্চের উপর ভিত্তি করেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করবেন বা ব্লগিং করবেন যাতে তারা সহজে আপনার সাইটে আসতে পারে, এজন্য সহজ ভাবে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করতে হয় যার কারনেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করা অনেক বেশি জরুরী।
কিওয়ার্ড কিভাবে কাজ করে? (How to work Keyword in Bangla)
কিওয়ার্ড কী, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কী, কেন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন—আমরা তা ইতোমধ্যেই জেনে গেছি। এখন আমরা কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানবো। এই বিষয়টি আমি উদাহরনের মাধ্যমে ক্লিয়ার করা চেষ্টা করছি। ধরুন-আপনি iphone 12 pro max review মোবাইল নিয়ে একটি পোস্ট লিখছেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ঐ মোবাইলটির যাবতীয় ফিচার্স সহ এটির ভালো খারাপ দিক তুলে ধরার পাশাপাশি এর দাম এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করবেন। সেই পোস্টটির ক্ষেত্রে আপনার প্রধান বা টার্গেটেড কিওয়ার্ড হবে iphone 12 pro max review. সেই পোস্টে iphone 12 pro max এর যাবতীয় বিষয় ভালোভাবে তুলে ধরাই হবে আপনার প্রধান কাজ। এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যখন গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে iphone 12 pro max লিখে সার্চ করবে তখন সার্চ ইঞ্জিন প্রথমে তার তথ্য ভান্ডারে থাকা iphone 12 pro max বিষয়ে যত পোস্ট রয়েছে সেগুলো যাচাই করে সবচাইতে ভালো পোস্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় শো করবে। এভাবে মূলত কিওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন একটি পোস্টের র্যাংকিং নির্ধারণ করে। আর্টিক্যাল লেখার জন্য কিওয়ার্ড সবসময় অনেক বড়ো ভূমিকা পালন করে। উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পাছেন যে কি-ওয়ার্ড কতটা উপকারে আসে। একটি সুন্দর কি-ওয়ার্ড দিতে পারে একটি সুন্দর সাইট। তাই এখনি ঝটপট আপনার সাইট এর জন্য সুন্দর অধিক ভিজিটর সমৃদ্ধ কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ? (keyword research in bangla)
কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো এক ধরণের গবেষণা বা অনুসন্ধান যার মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে খুঁজে বের করবেন। অর্থাৎ, আপনার কনটেন্ট এর মার্কেটিং করার জন্য যখন আপনি অডিয়েন্স কে বিচার বিশ্লেষণ করে টার্গেট কীওয়ার্ড খুঁজে বের করেন তখন তাকে কীওয়ার্ড রিসার্চ বলে। এসইও এর প্রথম পদক্ষেপই হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ।
আসলে কিওয়ার্ড রিসার্চ হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে জানা যায় মানুষ গুগুলে কি ধরনের কথা লিখে প্রতিনিয়ত সার্চ করছে। এছাড়া কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটি কোথা থেকে সার্চ হচ্ছে এবং কারা সার্চ হচ্ছে সেটাও জানা যায়। আর সঠিক তথ্যগুলো জানা থাকলে সেই তথ্য এবং উপাত্ত ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানোও যায় খুব সহজে। আর তাই আপনার ওয়েবসাইটে কি ধরনের কন্টেন্ট লিখবেন অথবা কীভাবে লিখবেন ও রাখবেন সেটা জানার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই জরুরী।
সহজ ভাষায় কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? জানতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে, কিওয়ার্ড কি। সহজ কথায়, কিওয়ার্ড হলো এমন কিছু শব্দ বা বাক্যাংশ যা আপনার ওয়েব পেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে দর্শক বা সার্চ ইঞ্জিন ক্রাউলারকে তাৎক্ষণিক ধারণা প্রদান করে। মানুষ সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে যা লিখে সার্চ করে, সেগুলোই একেকটি কিওয়ার্ড। মনে করুন, আপনি “ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন” নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখবেন। এক্ষেত্রে লেখার পূর্বেই আপনাকে জেনে নিতে হবে সাধারণ মানুষ ‘ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন’ সম্পর্কে জানতে সার্চ ইঞ্জিনে ঠিক কোন কোন শব্দ বা শব্দ গুচ্ছ লিখে সার্চ করে।
একজন ব্যক্তি “ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার কমপ্লিট গাইডলাইন”, “ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট”, “ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ”, “কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখব”, “ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার”, “ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোর্স”, “ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট টিউটোরিয়াল” ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক বিষয় লিখেও অনলাইনে সার্চ করতে পারে। সুতরাং, পোস্ট লেখার পূর্বে বিভিন্ন কিওয়ার্ড টুলস ব্যবহার করে “ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন ” এর জন্য কোন কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করা হয় সেটা নিশ্চিত হতে হবে।
আবার, সেই কিওয়ার্ডটি এক মাসে কি পরিমান সার্চ হয়ে থাকে, সেই কিওয়ার্ড নিয়ে লিখে আপনার পোস্টটি গুগলে র্যাংক করাতে পারবেন কিনা, র্যাংক করানোর জন্য কি কি করতে হবে এবং কোন কোন ব্লগ সেই পোস্টের প্রতিযোগী হতে পারে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার কাজই হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ।
কীওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি ? (What Is Keyword Research in bangla)
কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো, seo (search engine optimization) এর একটি এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি ভাগ, যেখানে জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে অধিক পরিমানে সার্চ হওয়া keywords এবং key phrase গুলি খুঁজে বের করা হয়। তাছাড়া, এই প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা ব্লগের আর্টিকেলের জন্য, লাভজনক এবং লোকেরা রুচি রাখা নতুন নতুন টপিক (topic) এবং key phrases খুঁজে পেতে পারি।
যেকোনো আর্টিকেল “search engine” এর জন্য optimize করার সবচেয়ে প্রথম ধাপ (step) হলো keyword research. এতে, আপনি ভালো ভালো এবং গুগলে অধিক বেশি পরিমানে সার্চ হওয়া keywords খুঁজে পেতে পারবেন। এবং, রিসার্চ করে খুঁজে বের করা লাভজনক keywords target করে আর্টিকেল লিখে, গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে অধিক পরিমানে ভিসিটর্স পেয়ে যেতে পারবেন।
কীওয়ার্ড রিসার্চ জরুরী কেন? (Importance of Keyword Research)
কীওয়ার্ড রিসার্চ SEO (search engine optimization) এর একটি প্রধান এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাগ। আর্টিকেলের জন্য Targeted keyword এর research না করলে সঠিক ভাবে SEO করাটা কখনোই সম্ভব না। মূলত একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কি ওয়ার্ড রিসার্চের প্রয়োজনীয়তা অনেক। ইতিমধ্যেই আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব কতটুকু। যারা ওয়েবসাইট বা ব্লগের সাথে যুক্ত কিন্তু তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগ টি এখনো গুগলের রেংক পাচ্ছে না তারা কী ওয়ার্ড এর গুরুত্ব সম্পর্কে ইতিমধ্যে অপহৃত হয়েছেন। আবার ছাড়া সফলভাবে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করছেন তারাও জানেন যে কিওয়ার্ডটি এই সফলতার পেছনে কাজ করছে।
ভিজিটর নিয়ে আসার দুইটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো
- বিজ্ঞাপন এবং
- অর্গানিক ট্রাফিক (By Organic SEO)
প্রথমটির জন্য প্রয়োজন অর্থ, দ্বিতীয়টির জন্য এসইও অপটিমাইজেশন। কীওয়ার্ড রিসার্চ অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য এসইও করার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে অপটিমাইজ করেন তাহলে আপনার পোস্ট বা ভিডিও বা প্রোডাক্ট সঠিক সার্চ ভলিয়্যুমের জন্য rank হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আমরা যদি এই আর্টিকেলটি ’best keyword research tool’-কে মেইন কিওয়ার্ড হিসেবে ফোকাস করে লিখতাম, তাহলে কি Rank করতো? খুবই কম সুযোগ ছিল, কারণ গুগল সার্চ রেজাল্টে বেশিরভাগ আসতো ইংলিশ কনটেন্ট থেকে। আর যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে সার্চ করা হতো, তবে Rank এ আসার নূন্যতমও সুযোগ নেই।
রিসার্চ না করলে আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এমন একটি কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলাম, যা কিনা প্রথম পজিশনে Rankও করলো, কিন্তু সার্চ ভলিয়্যুম শূন্য। অর্থাৎ এই কিওয়ার্ড লিখে কেউ সার্চ-ই করেনা, ফলাফল কি হবে? ভিজিটর পাবেন বলে মনে হয়! নিশ্চয়ই না।
যদি ইন্টারনেট জগতে নিজের ভিত্তি শক্ত ও পাকাপোক্ত করতে চান তাহলে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় ইন্টারনেট দুনিয়ায় আপনার ওয়েব সাইট থেকেও লাভ হবে না।
তাছাড়া, কিওয়ার্ড রিসার্চে যদি ভুল থাকে তাহলে আপনার সাইটটি গুগল সার্চে র্যাংক পাবে না। তাই সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই তথ্য কাজে লাগাতে পারলেই গুগল সার্চে পাওয়া যাবে সঠিক র্যাংক। গুগল, ইয়াহু বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের রয়েছে নিজেস্ব অ্যালগারিদম। সেই অ্যালগারিদমেও আসে পরিবর্তন। এই অ্যালগারিদমের সাথে মিল রাখলেই কেবল যে র্যাংক পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। পাশাপাশি আপনার লেখা কনটেন্টটি কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। আবার বেশি বেশি সার্চ করা হচ্ছে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করলেই যে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে জায়গা করে নিবেন সেটিও নয়। বেশি বেশি সার্চ হচ্ছে এমন কিওয়ার্ডের পাশাপাশি একই টপিকে কম সার্চ হচ্ছে এমন কিওয়ার্ডগুলোতেও যদি মনোযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সার্চ-ইঞ্জিনগুলোতে তা একটা আলাদাভাবে প্রাধান্য পায়।
আর এই বিষয়গুলো সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজন কিওয়ার্ড রিসার্চের। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন কেন কিওয়ার্ড রিসার্চ এত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
অন পেজ এসইও এর মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো, কিওয়ার্ড রিসার্চ। অর্থ্যাৎ, আপনার ওয়েবসাইটে শত শত কন্টেন্ট পাবলিশ করার পরেও আশানুরূপ ফল পাবেন না। যদি আপনি সঠিকভাবে keyword research করতে না পারেন। তবে প্রশ্ন হলো, “কেন আমি কিওয়ার্ড রিসার্চ কে এতোটা গুরুত্ব দিচ্ছি”?
দেখুন, কোনো একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করার আগে আপনাকে দুইটি দিক ভাবতে হবে। প্রথমত, আপনি কোন অডিয়্যান্সকে টার্গেট করছেন। এবং দ্বিতীয়ত, আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্স কোন তথ্য জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে।
মনে রাখবেন, ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসতে চাইলে ৷ আপনাকে অবশ্যই এই ২ টি বিষয় খুব গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। যেমন, আপনার একটি টেকনোলজি রিলেটেড ওয়েবসাইট আছে। অর্থ্যাৎ যে মানুষ গুলো Tech Lover, সেই মানুষ গুলোই হলো আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্স। এখন আপনাকে Find Out করতে হবে, যে মানুষ গুলো টেকনোলজি ভালোবাসে। তারা মূলত অনলাইনে কি কি লিখে সার্চ করে, যখন আপনি তাদের সার্চ করা কিওয়ার্ড গুলোকে খুজে পাবেন। এরপর আপনাকে সেই কিওয়ার্ড গুলো নিয়ে রিসার্চ বা গবেষণা করতে হবে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে,” কেন আমরা কিওয়ার্ড রিসার্চ করবো “? ওকে, তো যদি আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করেন। তাহলে কোনো একটি Keyword লং টেইল নাকি শর্ট টেইল, সেই কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম কত, এবং ডিফিকাল্টি কত ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কীওয়ার্ড রিসার্চ এর প্রধান লাভ গুলি কি ? (Benefits of keyword research)
সবচে প্রথম এবং জরুরি কথা, “keyword এর research না করে সঠিক SEO সম্ভব নয়”. কারণ আপনি যদি একটি আর্টিকেল লিখছেন এবং তাতে Google search থেকে ফ্রি ট্রাফিক চান, তাহলে search term এ থাকা কেবল সেই keyword গুলি আপনার আর্টিকেল search engine এ rank করিয়ে আপনার ব্লগে ট্রাফিক দিতে পারবে।
এছাড়া, কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাভ কীওয়ার্ড রিসার্চের এগুলো –
- আপনি যদি সব আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখার আগেই আর্টিকেলের সাথে জড়িত কীওয়ার্ড এবং সার্চ টার্মস (search terms ও ইন্ট্যান্ট) ভালো ভাবে রিসার্চ করে তারপর ব্যবহার করেন, তাহলে search engine থেকে অধিক এবং targeted traffic (ভিজিটর) পাওয়া যাবে।
- যত বেশি keyword এর জন্য আপনার ব্লগের আর্টিকেল google এ rank করবে, আপনার ব্লগের Domain authority ও অনেক বেড়ে যাবে।
- Keyword research করলে আপনারা অনেক ধরণের নতুন নতুন এবং ভালো আর্টিকেল আইডিয়া (content idea) পেয়ে যাবেন।
- কোন keyword বা search term এ অনেক বেশি সার্চ হয় এবং সেই কীওয়ার্ড কোন জায়গায় কতটুকু সার্চ হয় সবটাই এর মাধ্যমে জানা সম্ভব।
- কীওয়ার্ড রিসার্চ এর দ্বারা আপনার ব্লগে অবশই সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রীতেই অনেক ট্রাফিক বা ভিজিটরস আসবে। আর তাতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে আশা ট্রাফিক বা ভিসিটিরস দ্বারা গুগল এডসেন্স এবং affiliate marketing এ সবথেকে বেশি earning করতে পারবেন।
- Keyword রিসার্চ দ্বারা আপনারা ব্লগের আর্টিকেল গুলি কিছু লাভজনক search terms, শব্দ, বাক্য বা প্রশ্নোর জন্য টার্গেট অথবা optimize করতে পারবেন।
- আপনার ব্লগে Organic Visitor (গুগল সার্চের মাধ্যমে আসা ভিজিটর) এর সংখ্যা বাড়বে ।
- আপনার লেখাগুলি যতবেশি Google এ rank করবে তত আপনার Domain Authority বাড়বে ।
- কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে আপনারা যেকোনো keyword এর competition কত সেটা জানতে পারবেন। এবং, high competition থাকা কীওয়ার্ড টার্গেট করে আর্টিকেল লিখে কোনো কাজ হবেনা। সেগুলিতে ট্রাফিক পাওয়া অনেক অনেক কঠিন।
- এর দ্বারা, highly searched (অধিক সার্চ হওয়া) এবং লো কম্পেটিশন (low competition) কীওয়ার্ড খুঁজে বের করা যাবে যেগুলি টার্গেট করে আর্টিকেল লিখলে অনেক ট্রাফিক পাওয়া যাবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে।
- কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখলে তা বেশি লোকের কাছে পৌঁছবে ।
- কম কষ্ট করে প্ল্যান করে কাজ করার ফলে আপনার ইনকাম বাড়বে অনেকগুন।
সর্বোপরি এই সব কিছুর ফলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আয়ের সুযোগ বাড়বে ।
কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টুলস
যথাযথ কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আপনার অবশ্যই কিছু ভালো মানের টুলস এর প্রয়োজন। তাই এখানে আমি কয়েকটি টুলস সম্পর্কে আপনাকে বলব যেগুলো আপনি ফ্রিতে অথবা টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যে টুলসগুলো পেইড সেগুলো আপনি ট্রায়েল ভার্সনে কিছুদিনের জন্য ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। জনপ্রিয় কিছু কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এর মধ্যে রয়েছে Google Keyword Planner, Semrush, Ahrefs, Longtailpro, Spyfu, Google Trends ইত্যাদি । তবে এখানে আমার ব্যাক্তিগত মত হলো টুলস জাস্ট আপনাকে হেল্প করবে, সময় বাচাবে কিন্তু মুল কাজ টা আপনাকেই করতে হবে, আপনার মাথা এখানে কাজে লাগাতে হবে, আপনার অভিজ্ঞতা আপনার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে, তাই সব সময় টুলসের উপর নিরভর করা উচিত হবে না।
কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসের প্রকারভেদ (Kind of keyword research tools)
অনলাইনের মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি ২ ধরনের Tools পাবেন। যথাঃ-
- পেইড টুলস এবং
- ফ্রি টুলস
যখন আপনি Keyword research করার জন্য টাকা দিয়ে কোনো টুলস ব্যবহার করবেন। তখন সেই টুলসকে বলা হয়, Paid Tools. ঠিক একইভাবে যখন আপনি বিনামূল্যে কোনো টুলসকে ব্যবহার করতে পারবেন তখন সেই টুলসকে বলা হয়, Free Tools. এখন আপনার আসলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কোন টুলস গুলো ব্যবহার করবেন। তা সম্পূর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে। যদি আপনার কাছে ব্যয় করার মতো অর্থ থাকে ৷ তাহলে আপনি Paid Tools গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
তো এবার আমরা জানবো যে, অনলাইনে এমন কোন Tools আছে। যার মাধ্যমে ফ্রীতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা সম্ভব।
জনপ্রিয় কয়েকটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসঃ
- ১. Google Keyword Planner
- ২. Google Trends
- ৩. KeywordTool.io
- ৪. Soovle
- ৫. Ahrefs Keywords Explorer
- ৬. Keywords Everywhere
- ৭. UberSuggest
- ৮. SEMRush
- ৯. LongTailPro
কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন ? (keyword research bangla tutorials)
আলহামদুলিল্লাহ ধীরে ধীরে আমরা মূল পর্বে চলে এসেছি। তো আপনি দুইটি উপায়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। একটি, ম্যানুয়ালি এবং অন্যটি টুলসের মাধ্যমে। আমি বলবো ম্যানুয়ালি কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সামথ্য আপনার থাকলে আপনি অনেক এগিয়ে থাকবেন– ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চ এ।
তবে আপনার জেনে রাখা উচিত যে, যখন আপনি Manually কোনো কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন। তখন আপনার কয়েক ঘন্টা এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ৷
অপরদিকে যদি আপনি এই কাজটা মাত্র কয়েক ঘন্টা বা মিনিটের মধ্যেই টুলসের মাধ্যমে করতে পারবেন। সেজন্য আমরা জানবো, Tools এর মাধ্যমে কিভাবে keyword research করতে হয়।
তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে, অনলাইনে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য যেসব Tools পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারনা নেয়ার চেস্টা করি।
কিওয়ার্ড রিসার্চের উদ্দেশ্য যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেরকমই খুঁজে নেওয়ার পর কাজে লাগানোর পদ্ধতিও একটু আলাদা। যেমন আগেই বলেছি – একজন ব্লগার কিওয়ার্ড খোঁজেন তার ওয়েবসাইটে ভালো আর্টিকেল লেখার উদ্দেশে। আবার একজন মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত তার ই-কমারস সাইটের জন্য অন্য টাইপের কিওয়ার্ড খোঁজেন তাই ওই ব্যাক্তির কিওয়ার্ড কাজে লাগানোর পদ্ধতি ভিন্ন।
Organic traffic-র জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ পদ্ধতি
Niche related term বা নিশ সিলেক্ট করা – আপনার প্রথম কাজ হবে আপনি যে টপিক এর উপর কাজ করছেন সেই টপিক এর উপর কিছু ছোট টার্ম বা নিশ খুঁজে নেওয়া যেগুলো লোক সার্চ করে। যেমন ধরুন – boxing gloves, facebook marketing
Short term search – এরপর একটি মানে আছে এরকম ছোট term বা key phrase তৈরি করে সার্চ করা যেমন – boxing gloves for women
Long tail keyword -আপনি যদি অরগানিকভাবে কাজ করতে চান আপনাকে প্রথমে long -tail keyword টার্গেট করে এগোতে হবে। এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের নিশের সকল long -tail keyword এর ডাটাবেজ আমাদের কালেক্ট করতে হবে যাতে কোন কিছু বাদ না যায়। এ জন্য আমাদের ম্যানুয়ালী সারচ ইঞ্জিনে সীড কিওয়ার্ড (Seed Keywords) দিয়ে * পদ্ধতি ইউজ করে এবং LSI এর মাধ্যমে লং টেইল কিওয়ার্ড নিতে হবে। এজন্য টুল ইউজ করে সেটা আরো পূরন করা যেতে পারে। যেমন- boxing gloves for women কে বাড়িয়ে boxing gloves for women with sweaty hands , best boxing gloves for women 2021 , how to wash boxing gloves for women গুলোকে টার্গেট করতে যেতে পারে।
সার্চ ইন্ট্যান্ট Keyword intent – এটার উপর ভিত্তি করে সকল লং টেইল কিওয়ার্ড থেকে আপনার সাথে যাচ্ছে এমন কিওয়ার্ড বাচাই করে নিতে হবে। এখানে ওয়েব ২.০, লো কেডি, সোসিয়াল সাইট, ওয়িক সাইট, Q/A সাইট ইত্যাদি দেখে সম্পনের কিওয়ার্ড এর খোজ করে আলাদা করে নিতে হবে।
competition check – প্রত্যেক বারে সব কিওয়ার্ডের competition চেক করতে হবে। low competition ও medium competition কিওয়ার্ডগুলোকে টার্গেট করতে হবে। long -tail keyword এর competition অনেক কম হয়
Low Search Volume – আপনি যত long -tail keyword নিয়ে কাজ করবেন তার সার্চ অনেকটায় কম হয় শর্ট-টেল কিওয়ার্ড এর চেয়ে কিন্তু সেটি রাঙ্ক করতে সুবিধা হয়। তাই নতুনদের ওই ধরনের এই ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে বলা হয়।
এছাড়াও আপনি যদি গুগল আডসেন্স এর জন্য কাজ করেন তো আপনাকে হাই ভলিউম ও CPC Check ব্যাপার টা দেখে নিতে হবে – দেখুন আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন তার cpc জেনে নেওয়াটা খুব বেশি জরুরী। আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন তার cpc যদি জিরো হয় তাহলে আপনার কাজ করে লাভ হবেনা।
Paid traffic (PPC) -র জন্য পেইড রিসার্চ পদ্ধতি
অনেক বড় বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে Paid traffic পাওয়াটা অনেক বেশি important কারন organic পদ্ধতিতে অনেক বেশি সময় লেগে যায় ঠিকঠাক রেজাল্ট আসতে। এই জন্য তারা Facebook ad campaign, google ad service (PPC) ইত্যাদি ব্যবহার করে ad campaign run করে paid traffic visitor নিয়ে আসে। তখন আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ পদ্ধতি অবশ্যই ভিন্ন হবে এটা সবাভাবিক সে জন্য তখন নিচের পদ্ধতি ইউজ করা হয়।
তখন ব্যবসা বা প্রোডাক্ট নিয়ে রিসার্চ করে নিশ টা বাচাই করে নিতে হয়। এবং এজন্য Google Keyword Planner ব্যবহার করে লো CPC এর কিওয়ার্ড গুলো নিতে হয়। যদিও এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাইন এর উদ্দ্যেশ এর উপর ভিত্তি করে স্টাটেজি চেঞ্জ হয়। আর এ জন্যই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
১. Competitor analysis for same product – এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ফিল্ডের সাথে সম্পর্কিত আপনার প্রতিদ্ধন্দির প্রোডাক্টটি দেখতে হবে এবং একই প্রোডাক্ট এর জন্য কম্পিটিশন ভালোভাবে analysis করতে হবে । নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটির উপর লোক কি কি সার্চ করছে খুঁজে বের করাটা বেশি জরুরী।
২. More requirement for cpc bead – এই ক্ষেত্রে যেহেতু paid service বা আপনাকে টাকা দিতে হয় তাই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটির উপর CPC বা cost per click bid কত তা জেনে নেওয়া তা খুবই বেশি দরকার কারন এতে করে আপনাকে কত টাকা দিত হবে জানতে পারবেন এবং আপনার ওই কিওয়ার্ডের উপর কত লোকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে জানতে পারবেন। এখানে cost per click bid মানে প্রতি ক্লিকে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ ফ্রীতে করবেন যেভাবে? (Free Keyword Research in Bangla)
ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের আর্টিকেল লিখার জন্য profitable keyword ideas খোঁজার জন্য এখানে ৪ টি প্রক্রিয়া ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করছি।
- Google keyword planner tool
- Ubersuggest tool
- Keyword tool
- অন্যান্য মাধ্যমে কীওয়ার্ড রিসার্চ
এই ৪ টি কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ও টেকনিক ব্যবহার করে ফ্রীতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে, আমারা এই সাইটের প্রত্যেক আর্টিকেলের জন্য লাভজনক কীওয়ার্ড, বিষয় বা আর্টিকেল টপিক খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করি এবং কোন কীওয়ার্ড/বিষয় গুগল সার্চে কতটা জনপ্রিয় সেটাও জানার চেষ্ঠা করি। বলে রাখা ভাল যে, ওয়েবসাইটের SEO করার প্রথম এবং গরুত্বপূর্ণ প্রধান কাজ হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখা। তাই খুবই যত্নসহকারে এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ ফ্রী টুলসূমুহঃ
- Google Trends; (নিশ নিয়ে সামনে কাজ করা যাবে কিনা সেটা দেখা যায়)
- Keyword Generator; (লং টেইল কীওয়ার্ড পাওয়া যায়)
- Keyword Sheeter;
- Answer the Public; (Question এর আইডিয়া পাওয়া যায়, যেটা দিয়ে FAQ হয়)
- Keyword Surfer;
- Keyworddit; (Raddit থেকে নিশের আইডিয়া পাওয়া যায়)
- Google Search Console;
- Questiondb; (Question এর আইডিয়া পাওয়া যায়, যেটা দিয়ে FAQ হয়)
- Bulk Keyword Generator;
Google Auto Suggest [ ফ্রি ]
সম্পূর্ন বিনামূল্যে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য, সবচেয়ে বেস্ট হলো, Google Auto Suggest.
এর মাধ্যমে মানুষ আসলে কোন টপিকের জন্য গুগলে কি কি লিখে সার্চ করে। সে সম্পর্কে একবারে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, গুগলে কোনো কিছু সার্চ করার সময়। গুগল যে Relevant Keyword গুলো কে শো করে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে সেই কিওয়ার্ড গুলোকে টার্গেট করে কন্টেন্ট পাবলিশ করেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা থাকবে। কারন, গুগল Auto Suggest এ সেই কিওয়ার্ড গুলো তখনি দেখাবে। যখন সেই টপিক গুলো লিখে মানুষ প্রচুর পরিমানে সার্চ করবে। এখন আপনি যদি এই Auto Suggest এ দেখানো কিওয়ার্ড গুলোকে ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এবং সেই কিওয়ার্ডের উপর ভিওি করে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করেন ৷
আপনি এতে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাবেন। তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় Google Auto Suggest কে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
Google Keyword Planner [ ফ্রি ]
Google Keyword Planner হলো গুগলের শক্তিশালী কীওয়ার্ড ডাটাবেজ। অন্যান্য কীওয়ার্ড টুলের থেকে Google Keyword Planner অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
এটা আপনি ব্যবহার করবেন কারণ- এর সকল ডাটা একদম সরাসরি গুগল থেকে আসে। এই টুলের মাধ্যমে জানা যায় একজন বিজ্ঞাপনদাতা একটি কীওয়ার্ড এর জন্যে কত করে বিড করছেন।
Google Keyword Planner যেহেতু গুগলের পণ্য তাই এর এটি এসইও এর ক্ষেত্রেও বেশ ভূমিকা পালন করে। এসইও তে যেসব কীওয়ার্ড কাজে লাগে তা এই টুলের মাধ্যমে সহজেই জানতে পারবেন।
Google Search Console [ ফ্রি ]
Google Search Console হলো এই সময়ের অন্যতম একটি কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল। আপনি কি জানেন এই টুলসের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, আসলে গুগল আপনাকে কোন কোন কিওয়ার্ডের উপর বেজ করে, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসছে। এবং কোন কোন কিওয়ার্ডে আপনার ওয়েবসাইট ইম্প্রেশন পাচ্ছে। আপনার সার্চকৃত পৃষ্ঠাগুলির মধ্যে যেসব বেশি ক্লিক পেয়েছে এই টুল তা পানাদের সামনে উপস্থাপন করবে। এই টুল ব্যবহার করার জন্য আমাদের ‘Opportunity Keywords’ গুলো ব্যবহার করতে হবে। ‘Opportunity Keywords’ হলো যেসব কিওয়ার্ডস গুগলে ৮ থেকে ২০ পৃষ্ঠার মধ্যে অবস্থান করছে। সাথে কিছু অন পেজ এসইও করলেই আপনার ranking আরো বেড়ে যাবে।
আপনি কি জানেন Google Search Console এবং Google Analytics একাউন্ট একত্রে করা যায়? হা এটা যায়। এবং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ‘Opportunity Keywords’ কীওয়ার্ডস রিসার্চ করতে পারবেন। Google Search Console হলো একটি underrated কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল। একমাত্র এই টুল ব্যাতিত এমন কোনো টুল নেই যেটি আপনাকে ‘Opportunity Keyword’ সম্পর্কে সাহায্য করবে।
Google Trends[ ফ্রি ]
আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য, যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ গুলো Keyword হিসেবে সার্চ করি সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে শব্দ গুলো সার্চ করা হয় সেগুলোই হচ্ছে গুগলের ট্রেন্ড।
এই Google Trends গুগলের তৈরি এমন একটি ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন, নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশে কোন টপিক এর উপর সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ের ট্রেন্ডিং টপিকস কোনটি।
অর্থাৎ, আপনি যদি এই মুহূর্তে জানতে চান ইণ্ডিয়াতে কোন বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হচ্ছে এবং সেখানকার সাম্প্রতিক ভাইরাল টপিক গুলো কি কি, তাহলে আপনাকে Google Trends ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি নতুন নতুন কীওয়ার্ড সার্চ করতে চান তাহলে আপনাকে Google Trends টুলটি ব্যবহার করতে হবে। শুধুমাত্র নতুন নতুন কীওয়ার্ডই নয় বরং কীওয়ার্ড সার্চ করার প্রবণতা কেমন সেটাও এই টুলটি আপনাকে জানিয়ে দিবে।
এই টুলটি আপনি দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমত, আপনি কোনো নিদৃষ্ট কীওয়ার্ড সার্চ করবেন তাহলে এই টুলটি এর সাথে সম্পর্কিত সকল কীওয়ার্ড আপনার সামনে প্রদর্শন করবে।
দ্বিতীয়ত, কীওয়ার্ড সার্চ করার পর আপনি এই কীওয়ার্ড টি কেমন জনপ্রিয়, এর জনপ্রিয়তার হার কেমন বা প্রবণতা কেমন তা গ্রাফ আকারে দেখতে পাবেন। যা এই কীওয়ার্ড সম্পর্কে আপনাকে চমৎকার আইডিয়া দিবে। এই টুলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ- এর মাধ্যমে আপনি দুটি কীওয়ার্ড এর তুলনামূলক রেজাল্ট গ্রাফ আকারে দেখতে পারবেন। যেমন: আমি যদি সার্চ করি ‘Content Marketing’ এবং ‘Inbound Marketing’ এই দুইটি কীওয়ার্ড দিয়ে তাহলে দেখা যাবে ‘Content Marketing’ এর গ্রাফ সবার উপরে এবং এর জনপ্রিয়তার প্রবণতা বা সার্চ করার প্রবণতা বেশি। তাই বলে যে, ‘Inbound Marketing’ কীওয়ার্ডটি খারাপ তা না বরং এর তুলনায় আগেরটির প্রবণতা বেশি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন ইউটিউব এর ক্ষেত্রেও আপনি এই Google Trends এর ব্যবহার পাবেন যা সত্যিই অনেক চমৎকার।
যদি আপনি অনেক বেশি কনটেন্ট লিখেন তাহলে অবশ্যই আপনার এই টুল টি ব্যবহার করা উচিত। কারণ-এই টুলের মাধ্যমে যে কীওয়ার্ড দিয়ে আপনি কনটেন্ট লিখবেন তা থেকে দীর্ঘসময় ধরে ট্রাফিক
পেতে থাকবেন।
Answer The Public
সম্পূর্ন ফ্রীতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় টুলস হলো, Answer the public. যার মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন একদম বিনামূল্যে।
তো এখন প্রশ্ন হলো যে, “কিভাবে আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে ফ্রীতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন? “
ফ্রীতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে ৷ এবং প্রবেশ করার সাথে সাথে আপনি দেখতে পারবেন ৷ একটি মানুষ নড়াচড়া করছে এবং আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।
এবং আপনার সার্চ করা কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। Answer the public নামের এই টুলসটি ব্যবহার করলে আপনি বেশ কিছু বেনিফিট পাবেন।
যেমন আপনার Keyword Related আরও যে LSI Keyword গুলো থাকবে। আপনি সেগুলোকে খুব সহজেই খুজে নিতে পারবেন এই টুলসের মাধ্যমে।
এই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি বিভিন্ন জায়গা থেকে সবচেয়ে ভালো কীওয়ার্ড গুলো আপনার জন্য বেছে বেছে প্রদর্শন করবে। যেমন: গুগল, ইউটিউব, বিং, আমাজন, ইয়াহু থেকে ভালো ভালো কীওয়ার্ড গুলো বাছাই করে প্রদর্শন করে এই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি।
এই কীওয়ার্ড টুল থেকে আপনি আপনার পছন্দের কীওয়ার্ড গুলো ড্র্যাগ-ড্রপ এর মাধ্যমে বাছাই করে সেভ করে রাখতে পারবেন। এরপর আপনার সেভকৃত কীওয়ার্ড গুলো CSV ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবেন। Soovle হলো ফ্রি কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অন্যান্য টুলসের মতো ফ্রী ইউনিক টুলস হলো, Keyworddit. এই টুলসের মাধ্যমে আপনি নিশ রিলেটেড কিওয়ার্ডকে Find Out করতে পারবেন।
তবে বলে রাখা ভালো যে, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সেইসব কিওয়ার্ডকে খুজে পাবেন। যেই কিওয়ার্ড গুলো Raddit এ সার্চ করা হয়ে থাকে।
যদি আপনার ওয়েবসাইটের নিশ সম্পর্কে আপনার তেমন কোনো প্রকার ধারনা না থাকে। তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত টুলস হবে Keyworddit.
যেমন ধরুন, আপনি একটি মোবাইল রিভিউ করার একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। কিন্তুু আপনি বুঝতে পারছেন না যে, মোবাইল রিভিউ রিলেটেড কোন কোন বিষয় গুলো নিয়ে মানুষ অনলাইনে সার্চ করে। তাহলে আপনি Keyworddit নামের এই টুলসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
যদি আপনি এই টুলসের মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেন। তাহলে আপনার কিওয়ার্ড রিলেটেড আরও অনেক Relevant Keyword খুজে পাবেন ৷ এছাড়াও Focus Keyword বাদেও এর সাথে যে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড গুলোকে খুজে পাবেন ৷ সেই কিওয়ার্ড গুলোর সার্চ ভলিউম সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
তো এই টুলসটি আমি আপনাকে রেকমেন্ড করছি, তার কিছু কারন আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারন হলো, যারা ব্লগিং সেক্টরে একেবারেই নতুন ৷ তাদের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সবচেয়ে Easy Tools হবে Keyworddit.
Keyword Surfer
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আরও একটি পপুলার টুলসের নাম হলো, Keyword Surfer.
এই টুলসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোনো কিওয়ার্ড এর Search Volume কত, Keyword Difficulty কত ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব দ্রুত জানতে পারবেন।
তবে বলে রাখা ভালো, যাদের ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ আছে ৷ তারা এই টুলসটি ব্যবহারে বিশেষ বেনিফিট পাবেন। কেননা, Keyword Surfer এ হলো একটি এক্সটেনশন। এবং এই এক্সটেনশ এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা হয়ে থাকে। তো আপনি যদি আপনি এই টুলসটি ব্যবহার করেন। তাহলে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন, আমরা যখন গুগলে কোনো কিছু সার্চ করি ৷
তখন গুগল সার্চ বক্সের ঠিক নিচের দিকে সেই টপিক রিলেটেড আরও কিছু কিওয়ার্ড শো করে।
তো Keyword Surfer এর মাধ্যমে আপনি যে টপিকে লিখে সার্চ করবেন। সেই টপিকের সার্চ ভলিউম দেখানোর পাশাপাশি, সেই টপিক রিলেটেড আরও যে কিওয়ার্ড গুলো থাকবে।
সেই সবগুলোর সার্চ ভলিউম সম্পর্কে জানতে পারবেন এই Keyword Surfer এর মাধ্যমে।
গুগল কিওয়ার্ড প্লানার দিয়ে কিভাবে ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায় (How To Use Google Keyword Planner in Bangla)
Google keyword planner tool আমরা সাধারণত গুগলের এই ফ্রি টুল ব্যবহার করে এই সাইটের প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য ভালো ভালো এবং গুগল সার্চে অধিক বেশি পরিমাণ সার্চ হওয়া কীওয়ার্ড খুঁজে বের করি। এই টুলটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এর সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই, কারণ সবাই আমরা কম বেশি এই টুলস সম্পর্কে জানি। গুগলের নিজস্ব Keyword রিসার্চ টুলস। ইন্টারনেট মার্কেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি হলো, Google Keyword Planner। আপনি যদি একজন ব্লগার হিসেবে কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে নতুন হয়ে থাকেন; তবে এই Google Keyword Planner টুলটি আপনার জন্য প্রথম পছন্দের একটি অনলাইন এসইও টুলস হতে পারে। বিশেষ করে লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য যথেষ্ট ভালো একটি টুলস।
কারণ, গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুলটি ব্যবহার করে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে যে কোনো কিওয়ার্ড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেতে পারেন। আবার, Google Keyword Planner ব্যবহার করে একজন অনলাইন মার্কেটার খুব সহজেই বুঝতে পারবেন- তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যে পণ্যের প্রচার প্রয়োজন; সেই পণ্য সম্পর্কিত তথ্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য কি ধরনের কীওয়ার্ড টার্গেট করে এসইও করা আবশ্যক।
কীওয়ার্ড রিসার্চ এ Google Keyword Planner এর ব্যবহার
এটি কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এই টুলটি গুগলের হবার কারনে এর থেকে প্রাপ্ত ডাটা সবথেকে অথেনটিক। সবচেয়ে বড় কথা Google keyword planner সম্পূর্ণ ফ্রি। এখান থেকে আপনি যা যা পেতে পারেন-
- এভারেজ মান্থলি সার্চ ভলিউম
- কম্পিটিশন
- বিড রেঞ্জ
- কম্পিটিশন ইন্ডেক্স ভ্যালু
আপনি কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে লিখবেন তা জানার জন্য উপরের ৪টি জিনিসই খবই কাজে দিবে। এভারেজ মান্থলি সার্চ ভলিউম থেকে আপনি বুঝতে পারবেন ঐ কীওয়ার্ড মাসে কী পরিমাণ সার্চ হয়, বিড রেঞ্জ থেকে আপনি জানতে পারেন ঐ কীওয়ার্ড ব্যবহার করে যারা এ্যাড দিচ্ছে তারা কত ডলার খরচ করছে এবং কম্পিটিশন ইন্ডেক্স ভ্যালু থেকে আপনি জানতে পারবেন ঐ নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এ কেমন প্রতিদন্দিতা চলছে এ্যাড এ। আসলে এর বাইরে আর তেমন কিছু জানার নেই।
ও হ্যা, আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা করতে পারবেন তা হল লোকেশন বুঝে কীওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম ও অন্যান্য রিসার্চ করতে পারবেন এখান থেকে। মানে, আপনার টার্গেট কাস্টোমার যদি শুধু বাংলাদেশের হয় তাহলে আপনি শুধু বাংলাদেশ লোকেশন ফিক্সড করে দিয়ে কীওয়ার্ড এনালাইসিস করতে পারবেন। এটাও খুবই কাজে দেয় বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে। মূলত গুগলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতাদেরকে বিজ্ঞাপন দেয়ার পূর্বে তাদের ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডস সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য এ টুলসটি চালু করে, কিন্তু এটিতে Keyword Research অপশন উন্মুক্ত থাকার কারনে Adwords Publishers এবং Webmaster উভয়ই এটি ব্যবহার করতে পারেন। যে কোন ধরনের কীওয়ার্ড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফ্রি টুলস। Google Keyword Planner দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য প্রথমে আপনার জিমেইল আইডি ব্যবহার করে একটি গুগল AdWords একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
কিভাবে Keywords রিসার্চ করবেন?
- Google Adwords এর ড্যাশবোর্ডের ডানপাশের উপরে নিচের চিত্রের ন্যায় Tools অপশনটি দেখতে পাবেন।
- উপরের চিত্র হতে Tools আইকনে ক্লিক করলে নিচের অপশনগুলো শো করবে।
- উপরের চিত্রের Tools > Keyword Planner এ ক্লিক করলে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য দুটি অপশন পেয়ে যাবেন।
- উপরের চিত্রে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। এখানে আমরা প্রথম অংশটির Find new Keywords অংশটি ব্যবহার করব। যেহেতু আমাদের ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করব সেহেতু আমরা শুধুমাত্র Find new Keywords অংশটি ব্যবহার করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পেয়ে যাব। অপর অংশটি ব্যবহার করা আমাদের খুব একটা প্রয়োজন হবে না। তবে যারা গুগল এ বিজ্ঞাপন দিতে চান তাদের জন্য অপর অংশটির প্রয়োজন আছে।
- কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য Find new Keywords অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের অপশন দেখতে পাবেন।
- আপনি যে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান সেগুলো উপরের সার্চ বক্সে লিখে দিতে হবে। নিচের চিত্রে দেখুন-
- উপরের চিত্রে দেখুন আমি তিনটি কীওয়ার্ড লিখে দিয়েছি। একটি কীওয়ার্ড লিখার পর ক্ষমা দিয়ে পরের কীওয়ার্ডটি লিখতে হবে। তবে এখানে শুধুমাত্র একটি কীওয়ার্ড নিয়েও রিসার্চ করা যায়।
- সবশেষে উপরের চিত্রের Get Started বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য শো করবে।
- উপরের চিত্রের ৩ নং অংশে দেখুন সার্চকৃত কীওয়ার্ডগুলো মাসে কি পরিমানে সার্চ হয় সেটি শো করছে। প্রত্যেকটা কীওয়ার্ড মাসে ১০ হাজার থেকে ১০০ হাজার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজা হয়ে থাকে। এই কীওয়ার্ড গুলোর প্রথমটির কম্পিটিশন Medium এবং বাকী দুটি কীওয়ার্ড এর কম্পিটিশন Low রয়েছে। কাজেই এই কীওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট করলে ভিজিটর বেশী পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
- চিত্রের ২ নং তীর দিয়ে মার্ক করা অংশে বলছে সার্চকৃত কীওয়ার্ড রিলেটেড আরো ২৬৬০ টি কীওয়ার্ড রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিচে শো করছে। এ ভাবে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কীওয়ার্ড সম্পর্ক Google Keyword Planner হতে সহজে ধারনা পেয়ে যাবেন।
- চিত্রের ১ নং তীর চিহ্নিত অংশে হতে Location পরিবর্তন করে দিতে পারবেন। আমার এই কীওয়ার্ডগুলো শুধুমাত্র বাংলাদেশ হতে কি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটি জানতে চাইলে Location বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিলে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
- এ ছাড়াও ডান পাশে কীওয়ার্ড গুলোর ভ্যালু ও বিজ্ঞাপন মূল্য কি পারিমান সেটি দেখাচ্ছে। এতেকরে আপনি কোন কোন কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে গুগল এ্যাডসেন্স হতে কি পরিমান আয় করতে পারবেন সেটি সম্পর্কে আনুমানিক ধারনা পেয়ে যাবেন।
কিভাবে Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
Google Keyword Planner এ কীওয়ার্ড Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার অপশনটি অসাধারন একটি ফিচার্স। আমি সবসময় Keyword Research এর ক্ষেত্রে Filter অপশনটি ব্যবহার করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিভিন্ন ধারনা নিয়ে থাকি। নিচে দেখুন কিভাবে Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়?
- আপনার সার্চকৃত Keyword সম্পর্কে Filter করে তথ্য জানার জন্য উপরের চিত্রের ন্যায় Add Filter অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের চিত্রের ন্যায় Filter করার বিভিন্ন অপশন দেখতে পাবেন।
- উপরের চিত্রে দেখুন Filter করার অনেকগুলো অপশন শো করছে। এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অপশন সিলেক্ট করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
- উদাহরণ হিসেবে মনেকরুন, আপনি কীওয়ার্ড Competition সম্পর্কে জানতে চাইছেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে উপরের চিত্রের Competition অপশন ক্লিক করতে হবে। Competition এ ক্লিক করার পর নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
- আপনি যদি কম Competitive কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে উপরের চিত্র হতে Low সিলেক্ট করে নিচের Apply অপশনে ক্লিক করলে Low Competitive কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
আপনাকে আপনার সার্চ করা কীওয়ার্ড এর মাসের সার্চের সংখ্যা দেখানোর সাথে সাথে সেই কীওয়ার্ড টিতে “প্রতিযোগিতা (competition) কতটা কম বা বেশি, সেটাও দেখিয়ে দেয়া হয়। ইংরেজির সাথে সাথে বাংলা কীওয়ার্ড, হিন্দি কীওয়ার্ড এবং আরো অন্যান্য ভাষার কীওয়ার্ড আপনারা এই টুলের মাধ্যমে রিসার্চ করতে পারবেন। Location, language এর সাথে সাথে, কোন মাসে বা সময়ে keyword টির চাহিদা কতটুকু ছিল, সবটাই জেনে নেয়া সম্ভব এই টুলের ব্যবহার করে।তাছাড়া, এই টুলের আরো একটি গুন্ রয়েছে। আপনার সার্চ করা শব্দ বা বাক্যের সাথে জড়িত (related) আরো অন্যান্য keywords এবং গুগলে তাদের সার্চের পরিমান সবটাই দেখিয়ে দেয়।
এতে, আপনি আপনার কন্টেন্টে টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত আরো লাভজনক keywords যোগ করতে পারবেন। আবার, ভবিষ্যতের নতুন নতুন আর্টিকেল লিখার জন্য লাভজনক keyword ideas ও পেতে থাকবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য পেইড টুলসঃ
অনলাইনে টাকার বিনিময়ে কিওযার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক টুলস আছে ৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু টুলস হলো,
- Ahrefs
- SEMrush
- WebCEO
- Ubersuggest
- Serpstat
- Mangools KWFinder
- Moz
- Keyword Everywhere
- BuzzSumo
- SpyFu
তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক টুলস আছে।
Ahrefs Keywords Explorer
Ahrefs Keywords Explorer একটি সম্পূর্ণ পেইড কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস। আপনার যদি বাজেটে সমস্যা না থাকে তাহলে এই Ahrefs Keywords Explorer টুলটি আপনার জন্য বেস্ট। সাধারন ব্লগার থেকে শুরু করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লগারদের কাছে এটি তুমুল জনপ্রিয় একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল। Blogger, affiliate marketer, digital marketer প্রত্যেকেরই পছন্দের টুল ahrefs। এটি এই ফিল্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় keyword research tool যেটি থেকে নিঃসন্দেহে ভালো ভালো কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। এটিও সম্পূর্ণ paid টুল।
কিভাবে KWFinder দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
এটি একটি শক্তিশালী Keyword Research Tool যা ব্যবহার করা খুবই সহজ। এই টুলের অনেক feature আছে সত্যি কিন্তু প্রতিটি ফীচার বুঝতে ও ব্যবহার করতে কোনো বেগ পেতে হয় না। যে কেউ খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবে।
এই টুলের একটি বড় সুবিধা হলো, প্রতিটি কীওয়ার্ড এর difficulty level জানার জন্যে বার বার কীওয়ার্ডটির উপর ক্লিক করতে হয় না বরং এই টুল প্রতিটি কীওয়ার্ড এর পাশেই এর ডিফিকাল্টি লেভেল প্রদর্শন করে।
KWFinder একটি পেইড এসইও টুল হলেও এটিতে ফ্রি একাউন্ট করে প্রতিদিন ৩টি কিওয়ার্ড ফ্রিতে রিসার্চ করার সুযোগ পাবেন। এই টুলস দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য KWFinder লিংকটিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার ইমেইল আইডি ব্যবহার করে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন।
উপরের চিত্রে দেখুন আমি KWFinder টুল এ “Keword Research” কিওয়ার্ডটি লিখে সার্চ করায় বাম পাশের অংশে রিলেটেড কিওয়ার্ড শো করছে। সেই সাথে রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো মাসে কি পরিমান সার্চ হয়, কিওয়ার্ড Defficulty কত, সিপিসি ও পিপিসি ইত্যাতি তথ্য শো করছে। ডানপাশের অংশে শো করছে এই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে কোন কোন ব্লগ আপনার প্রতিদন্ধি হতে পারে। সেই সাথে তাদের কি পরিমান ব্যাকলিংক আছে ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য শো করছে। এই সব তথ্য থেকে আপনি চাইলে সহজে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন।
SEMrush
ahrefs এর মতই এটিও একটি খুবই ভালো keyword research tool এটিও paid service প্রদান করে। আমার মতে বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। পেইড কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলোর মধ্যে SEMrush আরো একটি জনপ্রিয় টুলস। Ahrefs Keywords Explorer এর মতো SEMrush দিয়ে ও সাইট অডিট থেকে শুরু করে কম্পিটিটরেরে ব্যাকলিঙ্ক পর্যবেক্ষণ এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। আপনার যদি বাজেটের সমস্যা না থাকে তাহলে SEMrush ব্যবহার করতে পারেন
Keywords Everywhere
Keywords Everywhere মূলত একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন। গুগল ক্রোমের পাশাপাশি আপনি এটি মজিলা ফায়ার-ফক্সে ও Add-on হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই এক্সটেনশন এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে গুগল সার্চ অপশনে যে কোন Keyword এর মান্থলি সার্চ ভলিউম সহ CPC ও কম্পিটিশন দেখতে পাবেন। অর্থাৎ আপনার এর জন্য অতিরিক্ত কোন প্রকার টুলস এর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র গুগল সার্চ রিজাল্টেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কীওয়ার্ড এর সম্পূর্ণ বিবরণ পেয়ে যাবেন।
Keywords Everywhere ব্রাউজার এক্সটেনশন এর আরো একটি অন্যতম ফিচার হলো, এখানে আপনি Google সার্চ রিজাল্টের মত People Also Search For এর মত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনি একটি কীওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্যান্য কীওয়ার্ড গুলো ও খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
SECockpit
যারা প্রফেশনাল মানের SEO Expert তাদের জন্য একটি বেস্ট কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল হলো SECockpit। এই টুলও আপনাকে অন্যান্য টুলগুলোর মতো কীওয়ার্ড রেজাল্ট প্রদর্শন করবে কিন্তু এর মাধ্যমে একদম গভীর ভাবে সার্চের প্রবণতা, organic competition এবং traffic estimates সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবেন। এর মানে হলো, SECockpit Keyword Research Tool টি প্রফেশনাল মানের SEO Expert দের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে নতুনরাও এর থেকে সুবিধা নিতে পারবে। তবে এটা সত্যি যে, যারা ধ্যানে, জ্ঞানে, ঘুমে ভিতর থেকে এসইও কে অনুভব করে তাদের জন্য এটি একটি বেস্ট কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল। এর একটি অসাধারণ ফীচার হলো এর filtering ব্যবস্থা। এই টুল এ প্রায় ১০০ এর মতো ফিল্টার এর ব্যবস্থা আছে। যার সাহায্যে আপনি ইচ্ছামতো আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড গুলোকে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
যদি আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট এর মতো কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান কিংবা advanced সব ফীচার ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার জন্য বেস্ট অপশন হলো SECockpit Keyword Research Tool।
ফ্রীতে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য SEMscoop একটা ভালো অপশন হতে পারে। এখানে মাসে কত ভিজিট হয় সেটা দেখার পাশাপাশি খুব ভালোভাবে কম্পিটিটরদের নিয়ে রিসার্চ করতে পারবেন। কত শব্দে লিখলে প্রথম পাতায় আসা সম্ভব সেটাও জানতে পারবেন। সমস্যা হচ্ছে এরা দিনে তিনটা সার্চ করতে দেয়। আপনার যদি একাধিক একাউন্ট থাকে তাহলে প্রতিটি একাউন্টে দিনে তিনটা করে কিওয়ার্ড সার্চ করতে পারবেন। যেভাবে ব্যবহার করবেন-
কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিন এবং কম্পিটিশন স্কোর দেখুন
কিওয়ার্ড সাজেশন দেখুন
কম্পিটিটরদের ওয়েব এড্রেস দেখুন
কমপক্ষে কত শব্দে লিখেল র্যাংক করাতে পারবেন সেটি দেখুন এবং লিখে ফেলুন
কিভাবে উবারসাজেস্ট (Ubersuggest) দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
গুগলের কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল এর পর আমি পরামর্শ দিবো “Ubersuggest tool” ব্যবহার করার।
কারণ, keyword planner এর মতোই, এই টুল সম্পূর্ণ ফ্রি এবং যেকোনো কীওয়ার্ড গুগলে মাসে কতবার সার্চ করা হয়, তার সঠিক তথ্য আমাদের দিয়ে দেয়।
আপনারা ওপরে দেখতেই পারছেন, আমি “how to start a blog” লিখে সার্চ করার পর, টুলটি আমাকে দেখিয়ে দিলো যে মাসে ৬০,৫০০ বার এই কীওয়ার্ড গুগলে সার্চ করা হয়।
তাছাড়া, SEO difficulty score এর মাধ্যমে, কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করে ট্রাফিক পাওয়াটা কতটা সহজ সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, SEO difficulty score যতটাই কম হবে (২০ থেকে কম হলে ভালো), সেই কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগলে আর্টিকেল রাংক (rank) করানোটা ততটাই সহজ হবে।
Volume এর নিচে দেখতে পাচ্ছেন যে, কীওয়ার্ডটির প্রত্যেক মাস হিসেবে search volume দেয়া রয়েছে।
মানে, বাক্যটি কোন মাসে গুগলে কতবার সার্চ হয়েছিল সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
এভাবে, এই ফ্রি টুল ব্যবহার করে আপনারা, যেকোনো keyword, শব্দ বা বাক্য গুগল সার্চে কতবার সার্চ করা হচ্ছে, তার তথ্য পেয়ে যাবেন।
এবং, তার সাথে সাথে যেকোনো keyword কত সহজে গুগলে রাংক (rank) করানো যেতে পারে সেটাও জেনেনিতে পারবেন SEO difficulty score এর মাধ্যমে।
Moz Keyword Explorer
যেসব keyword থেকে বেশি ট্রাফিক আসে এই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি সেইসব কীওয়ার্ড বেশি প্রদর্শন করে। এই টুলের মাধ্যমে ‘Lateral’ Keyword এর আইডিয়া পাওয়া যায়।
যেমন: ধরুন আপনি ‘weight loss’ নিয়ে সার্চ করলেন তাহলে অন্যান্য কীওয়ার্ড টুল গুলো আপনাকে রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো দেখাবে কিন্তু মোজ এখানে একটু ভিন্ন। এই টুলটি তখন এমন কিছু কীওয়ার্ড সাজেস্ট করবে যা আপনি অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না।
এর দুটি feature হলো-
- Organic CTR এবং
- Priority
“Organic CTR” এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ড এ কত পরিমাণ ক্লিক হতে পারে তা এই ফীচার এর মাধ্যমে জানা যাবে। অন্যদিকে “Priority” এর মাধ্যমে কীওয়ার্ড এর CTR (Clickthrough rate), search volume এবং keyword difficulty সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এই টুলটি অসাধারণ একটি টুল। যদিও এর কোনো ফ্রি ভার্সন নেই। আপনাকে পে করে তারপর এই টুলটি ব্যবহার করতে হবে।
LongTailPro
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের প্রয়োজনে যে কোন বিষয়কে সার্চে ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য ঐ বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত লং টেইল কিওয়ার্ড নির্বাচন ও তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই LongTailPro এর প্রয়োজনটা অনুমান করা সম্ভব।
LongTailPro সঠিকভাবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা সম্ভব এমন কার্যকর লং টেইল কিওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল। আর এ কারণেই পেইড কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসমূহের ভিড়ে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও এক্সপার্টদের মধ্যে লং টেইল প্রো এর প্রচুর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
Keywordtool.io(কিওয়ার্ড টুল ডট আই ও)
কম সময়ে গুগলের দেখানো সাজেশনগুলো বর্ণমালাভিত্তিক সাজানো অবস্থায় এখানে পাবেন। যেকোন কিছু লিখে সার্চ দিলে আরো যেসব সাজেশন দেখায় সেগুলো সব এই টুলের মাধ্যমে দেখা যাবে। ইংরেজি এবং বাংলা কীওয়ার্ড গুলি নিয়ে রিসার্চ করার আরো একটি একটি টুল হলো “Keyword tool“.
Keyword tool keyword research.
ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে প্রথম বাক্সে আপনি যেই কীওয়ার্ড নিয়ে তথ্য জেনেনিতে চাচ্ছেন সেটা টাইপ করতে হবে।
তবে, দ্বিতীয় বাক্সে আপনারা কীওয়ার্ড এর ভাষা বেঁচে নিতে পারবেন।
যদি ইংরেজি কীওয়ার্ড লিখছেন তাহলে ইংরেজি এবং যদি বাংলা কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ করছেন, তাহলে বাংলা ভাষা বেঁচে নিতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনার সার্চ করা keyword এর search volume, CPC এবং competition জানার জন্য আপনার টাকা দিতে হবে।
তবে, এই টুল আপনার আসল কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত related keywords খোঁজার জন্য সেরা।
আপনি, আপনার আসল টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর সাথে রিলেটেড (related) অন্যান্য অনেক শব্দ বা বাক্য পেয়ে যাবেন, যেগুলি নিজের কন্টেন্টে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফলে, অনেক ধরণের key phrases বা বাক্যের জন্য আপনার আর্টিকেল গুগলে rank করবে।
Keyword tool ব্যবহার করে খুঁজে বের করা সব ধরণের keyword ideas গুলি গুগল সার্চে মাসে কতবার সার্চ করা হচ্ছে, সেটা আপনারা google keyword planner বা ubersuggest tool ব্যবহার করে জেনেনিতে পারবেন।
কোন কিওয়ার্ড (কীওয়ার্ড খুঁজে বের করা )গুলোকে নির্বাচন করবেন?
আপনি এতোক্ষন ধরে জানলেন যে, “কিওয়ার্ড রিসার্চ কি” এবং “কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়”? এছাড়াও কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কিছু Paid Tools এবং Free Tools সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।
তো এবার মূল বিষয় হলো, যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন ৷ তখন আপনি আসলে কোন ধরনের কিওয়ার্ড গুলোকে নির্বাচন করবেন। তো আপনাকে এমন কিওয়ার্ডকে Catch (নিতে হবে) করতে হবে। যে কিওয়ার্ডে যথেষ্ট সার্চ ভলিউম আছে। এবং এর পাশাপাশি সেই কিওয়ার্ডের Difficulty (KD) ও অনেক কম থাকবে। আপনাকে এমন কিওয়ার্ডকে খুজে নিতে হবে। যে কিওয়ার্ড গুলোর Search Volume যথেষ্ট থাকবে। এবং সেই কিওয়ার্ডের কম্পিটিশনও তুলনামূলক ভাবে কম থাকবে।
প্রথম ধাপঃ নিশ (টপিক) সিলেক্ট করুন
এ জন্য প্রথমে আপনার ব্যবসা অডিট করে আপনার জন্য ভালো নিশ বা টপক সিলেক্ট করতে হবে। কারণ আপনি কি ধরনের আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন এবং আপনার বিজনেসের জন্য কি ধরনের নিশ দরকার সেটা পাবার পর আপনি আপনার টপিকের উপর আপনার কি আর্টিকেল প্রয়োজন হবে তার একটা লিস্ট তৈরি করে রাখুন। এই টপিকগুলোর উপরেই ভিত্তি করে এখন আপনাকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বের করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্লগিং অর্থাৎ আর্টিকেল আপডেট করে থাকেন তাহলে আপনি যে টপিকগুলো বেশ জনপ্রিয় অথবা যে টপিকগুলো থেকে আপনার অর্থ উপার্জন হচ্ছে সে টপিকগুলোর উপরেই বেশি কাজ করে যাওয়া আপাতত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যারা সার্চ দেয়, আপনি তাদের মত করে চিন্তা করুন। আপনার যে ওয়েবসাইটটি আছে সেই ওয়েবসাইটে একজন কাস্টোমার বা ভিজিটর হিসেবে আপনি কি চাইতেন? কি ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি সার্চ করতেন সেটা ভেবে দেখুন। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটটি এসইও এর উপরেই তৈরি করেছেন। আবার আপনার যদি সেটা আমাজন বা অন্য কোন আফিলিয়েট সাইটের জন্য হয় তখন আবার আপনাকে লো কেডির উপর জোর দিতে হবে।
এখন এই টপিকগুলো দিয়েই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে আপনাকে। দেখতে হবে প্রতি মাসে এই টপিকগুলোর মধ্যে কি কি ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা হয় এবং কত মানুষ প্রতি মাসে সেই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ করে। মূল টপিকের পাশাপাশি সেই টপিকের অন্তর্ভুক্ত আরো অন্যান্য সাব-টপিক নিয়েও আপনাকে একই ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে কে এগুলো লিখে কতজন প্রতি মাসে সার্চ করছে।
দ্বিতীয় ধাপঃ সাব-টপিক খুঁজে বের করুন
আচ্ছা এখন আপনি ইতোমধ্যে যেহেতু আপনার বেশ কয়েকটি টপিক সিলেক্ট করা আছে, এখন আপনাকে সেই টপিকগুলোর আরো কিছু সাবটপিক খুঁজে বের করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনার ওয়েবসাইটের অন্যতম একটি টপিক যেহেতু এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন তাই এখন সেই টপিকের আরো কিছু সাবটপিক আপনাকে বের করে নিতে হবে। যেমনঃ
>> অন পেজ অপটিমাইজেশন
>> অফ পেজ অপটিমাইজেশন
>> কিওয়ার্ড র্যাংকিং
>> টেকনিক্যাল এসইও
>> ব্যাকলিংক কীভাবে করব, ইত্যাদি।
একটা কথা মনে রাখবেন, সাব টপিক খুঁজে বের করার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড খুঁজে পেয়ে গেছেন। এর মানে হল এই যে, আপনি নিজের টপিক এবং সাবটপিক নিয়ে ভাবলেন এবং অনেক কিছু নতুন করে জানলেন। আর এভাবেই একটি টপিককে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনাকে একদম ছোট একটি টপিক (নিশ) বের করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, এখন অন পেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে কি কি আছে সেগুলো বের করতে হবে, যেমন, H1, H2 ট্যাগ এর ইউজ, মেটা ডেসক্রিপশন, ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা, কিওয়ার্ড এর ঘনত্ব অর্থাৎ কতবার কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করা যাবে ইত্যাদি। মানুষ কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাচ্ছে সেগুলো জানতে গুগল এনালাইটিক্স টুল ব্যবহার করুন। আপনার ওয়েবসাইট গুগল এনালাইটিক্সে এড করে এরপর ওয়েবসাইটের অরগানিক সার্চ রেজাল্ট থেকে খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ডগুলো।
আপনার ব্যবসার জন্য যতগুলো টপিক খুঁজে বের করেছিলেন সেগুলোর সবগুলো নিয়েই এমন সাব-টপিক বের করে নিন এবং এভাবেই আপনি একদম সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে সবসময় নিজেকে একজন কাস্টোমারের দিক থেকে তুলনা করবেন আর ভাববেন যে একজন কাস্টোমার ঠিক কি কি ধরনের শব্দ বা বাক্য লিখে গুগুলে সার্চ দিতে পারে। আর এভাবেই আপনি আপনার ব্যবসার সাথে যাচ্ছে এমন লং টেইল কিওয়ার্ডগুলো বাচাই করে নিতে পারবেন। এর পর সেখান থেকে কিওয়ার্ডগুলোর ইন্ট্যান্ট দেখে বাকি অন্য কিওয়ার্ডগুলো আলাদা করে ফেলতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ রিলেটেড কিওয়ার্ডের গুরুত্ব
সঠিক কিওয়ার্ডটি খুঁজে পেতে এই রিলেটেড কিওয়ার্ড খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে
কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে এই রিলেটেড কিওয়ার্ড বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন নির্দিষ্ট টপিক দিয়ে সার্চ দিলে সেই টপিকের সাথে আরো কি ধরনের শব্দ বা বাক্য লিখে মানুষ সার্চ দেয় সেগুলোও চলে আসবে। অর্থাৎ আপনি যদি টপিকের পাশাপাশি সেই নির্দিষ্ট রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোও আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রাখেন তাহলে গুগল খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার আর্টিকেলটি আদতে ঠিক কি ধরনের এবং কি কি তথ্য আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনি যদি “কীভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ শুরু করব” লিখে সার্চ দেন তাহলে বেশ কিছু রিলেটেড কিওয়ার্ডও গুগলের সার্চ পেজের নিচে চলে আসবে যেমনঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়, কি ওয়ার্ড রিসার্চ, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, বাংলা কিওয়ার্ড ইত্যাদি দেখতে পাবেন।
রিলেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে তা কনটেন্টে ব্যবহার করলে গুগল সার্চ রেজাল্টে র্যাংক করা সহজ হয়ে যায় । এভাবে আপনি আপনার নির্দিষ্ট টপিকের সাথে সম্পৃক্ত এমন আরো কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন।
এবার আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রেখে কোন লং টেইল কিওয়ার্ড বা বড় কিওয়ার্ড খুঁজে বের করুন। আপনার লং টেইল কিওয়ার্ডের মধ্যেও সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটি আছে কি না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন। কেননা গুগলে র্যাংক করানোর জন্য লং টেইল কিওয়ার্ডের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড থাকাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থ ধাপঃ আপনার প্রতিযোগীদের নিয়ে গবেষণা করুন
এটা খুব ইম্পরট্যান্ট, সব বিষয়ে আপনি গুগল রাংকে আসতে পারবেন না, বা আসতে পারবেন কিনা সেটা জানার জন্য আপনাকে আপনার কম্পিটাটরদের নিয়ে রিসার্চ করতে হবে । তবে প্রতিযোগীরা কিছু একটা করছে তার মানে এই নয় যে আপনাকেও সেটা করতে হবে। ঠিক একই রকম কথা কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। তবে সে যাই হোক, প্রতিযোগী নিয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে আপনার ব্যবসাকে আরো বেশি এবং ভালোভাবে জানার জন্য ও বুঝার জন্য। কেননা আপনাদের কিওয়ার্ড আলাদা হতে পারে তবে কিওয়ার্ড র্যাংক করার উপায়গুলো কিন্তু একদমই এক রকম। তাই প্রতিযোগীদের উপর গবেষণা করে দেখুন যে তারা কীভাবে কোন একটি কিওয়ার্ড র্যাংক করাচ্ছে।
যদি প্রতিযোগীদের র্যাংক করা কিওয়ার্ডগুলোর মধ্যে আপনার কিওয়ার্ডও থেকে থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে আপনাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। তা না হলে প্রতিযোগীদের টপকে আপনি র্যাংক করতে পারবেন না। আর তাই যে ধরনের কিওয়ার্ড র্যাংক করানো বেশি কষ্টকর সেগুলোর দিকে নজর না দিয়ে বরং যেগুলো খুব সহজেই আপনি র্যাংক করিয়ে ফেলতে পারবেন সেগুলোর দিকে প্রথমে নজর দিন এবং সেই কিওয়ার্ডগুলো নিয়েই কাজ শুরু করুন।
কিওয়ার্ডের এই কমপিটিশন বা প্রতিযোগিতা খুঁজে বের করার জন্য SEMrush খুব চমৎকার একটি টুলস। এই টুলসের বেশ কিছু অংশ আপনি ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর সেই ফ্রি অংশ দিয়েই আপাতত নিজের ওয়েবসাইটে কোন কিওয়ার্ড র্যাংক করাবেন সেটা খুঁজে বের করুন।
এখন হয়ত আপনার কাছে অনেকগুলো কিওয়ার্ড রয়েছে এবং আপনি চাচ্ছেন সেগুলো থেকে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো বাছাই করে আলাদা করতে। এজন্য গুগলের কিওয়ার্ড প্ল্যানার একটি চমৎকার টুলস। আর গুগলে এনালাইটিক্সের মতই কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুলস একদমই ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া এই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে কোন এলাকা থেকে বেশি সার্চ হচ্ছে সেটা আপনি বের করতে পারবেন Google Trends এর মাধ্যমে। আশার কথা হল google analytics এবং keyword planner এর মতই গুগুল টেন্ডসও একদম ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার কিওয়ার্ডটি দিয়ে আপনার নির্দিষ্ট এলাকায় কেউ সার্চ দিচ্ছে কি না। এটা দেখে নেয়ার কারন হল, ধরুন আপনি চাচ্ছেন ঢাকার কাস্টোমার, কিন্তু আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছে চট্টগ্রামের কাস্টোমার ।
বাংলা ব্লগের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ পদ্ধতি
কিওয়ার্ড রিসার্চ ব্লগিং এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ব্লগ যারা লেখেন তারা অনেক সময় কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ভালো কোন টুল খুজে পান না। বাংলায় ব্লগিং করতে হলে বাংলা কিওয়ার্ড খুজে বের করার বিকল্প সত্যিই নেই। এই লেখার মাধ্যমে জনপ্রিয় কিছু টুল সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেব যেগুলো ব্যবহার করে বাংলা ভাষার কিওয়ার্ড খুজতে পারবেন।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন গুগলের নিজের একটি কীওয়ার্ড সার্চ করার টুল আছে যার নাম হলো Google Keyword Planner। এই কীওয়ার্ড টুল এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি বাংলাতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। চলুন আপনাকে ধাপে ধাপে বলে দিই কি ভাবে আপনি এই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি ব্যবহার করে বাংলা ভাষাতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ :-
প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে Google Keyword Planner টুলটি ওপেন করে নিন। আপনি যদি প্রথমবারের জন্য এই টুলটি ব্যবহার করতে চলেছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে জিমেইল একাউন্ট এর মাধ্যমে লগইন করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ :-
টুলটি ওপেন ওপেন করার পর আপনি এই রকম ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখানে থাকা “Discover new keywords ” অপসনটিতে ক্লিক করুন।
তৃতীয় ধাপ :-
পরবর্তী পেজে কীওয়ার্ডটি এন্টার করুন এবং নিচে থাকা অপসনটিতে ক্লিক করে বাংলা ভাষা ও দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন করুন। এরপর “গেট রেজাল্ট “ বোতামটিতে ক্লিক করে সার্চ করুন। সাথে সাথে আপনার সামনে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুগলের তরফ থেকে প্রদান করা হবে। উদারহণ হিসেবে আমি এখানে ” অনলাইন ইনকাম ” নামক কীওয়ার্ডটি সার্চ করেছি যার যাবতীয় তথ্য আপনি এখানে যুক্ত করা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
UBersuggest কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল
নেইল প্যাটেল ব্লগের টুলস ইউবারসাজেস্ট। জনপ্রিয় এই কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি বেশ সমৃদ্ধ। শুধু কিওয়ার্ড আইডিয়াই নয় বরং কোনো ওয়েবসাইটের কোন পেজে সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক পাচ্ছে, কোন কোন কিওয়ার্ড Rank করেছে সেটাও জানা যায়।
কিওয়ার্ডের জন্য কনটেন্ট আইডিয়াও পাওয়া যায়। কম্পিটিশন এনালাইসিস, কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি, সার্চ ভলিয়্যুম, কম্পিটিটর ব্যকলিঙ্ক, ক্যাশ পার ক্লিকও জানতে পারবেন।
টুলটি গুগল ক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশনে যোগ করেও আরো বেশি ফিচার সুবিধা পাবেন। 2,347 Alexa Ranked সাইটটির জনপ্রিয়তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
তবে ফ্রি ভার্সনে সমস্যা হলো এখানে প্রতিদিন মাত্র ৩টি কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়। তবে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই জন্য আলাদা ব্রাউজার ব্যবহার করে আরো বেশি বাংলা কিওয়ার্ড এনালাইসিস করার সুযোগ পাবেন।
Keyword surfer
কিওয়ার্ড সার্ফার একটি গুগল ক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস। এর জন্য আপনাকে গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি ওপেন করে সার্ফার এক্সটেনশন ইনস্টল করে অ্যাক্টিভেট করতে হবে।
সঠিকভাবে একটিভ করার পর গুগল ক্রাম ব্রাউজার থেকে যেকোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন। এবার সার্চ বক্সের রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোর পাশে দেখবেন সার্চ ভলিয়্যুম আসছে।
কিওয়ার্ড, সার্চ ভলিয়্যুম, CPC এবং SD দেখা যাবে। যা লাভজনক এবং কম্পিটিটর কনটেন্ট কোয়ালিটি বোঝার জন্য যথেষ্ট কার্যকরী একটি কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস।
Keyword Tool.IO
5,533 অ্যালেক্সা Ranked কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ৪৭টি ভাষা সাপোর্ট করে। এই টুলটির অন্যতম দিক হলো আলাদা আলাদা সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রিসার্চ করা যায়।
যারা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেন, তাদের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি বাংলায় কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুল। কারণ এখানে শুধুমাত্র ইউটিউবের জন্যও Bangla Keyword রিসার্চ করার সুযোগ রয়েছে, যা বেশিরভাগ ফ্রি বাংলা সাপোর্টেড টুলস এ নেই। প্রথমে কিওয়ার্ড টুল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর বাংলাদেশ এবং ভাষা বাংলা সিলেক্ট করে নিন। উপরে দেখুন প্রথমে গুগল এরপর ইউটিউব রয়েছে।
আর্টিকেল কিওয়ার্ড বাছাই করার জন্য গুগলই মূলত দরকার হয়। এখানে ‘ব্যবসা’ কিওয়ার্ডটির জন্য ৪০৯টি সার্চ রেজাল্ট দেখাচ্ছে। যেগুলো কপি করেও নিতে পারবেন। কিন্তু ফ্রি ভার্সন রিসার্চ করায় সমস্যা হলো সার্চ ভলিয়্যুম, সিপিসি, কম্পিটিশন দেখা যায় না। তারপর ফ্রীতে আপনি একটু কষ্ট করে ম্যানুয়ালী কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।
Highlights FAQ:
ব্লগিং এ কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research) কেন জরুরি ?
নিজের ব্লগের আর্টিকেল, কীওয়ার্ড রিসার্চ করে টপিক বা বিষয়ের সাথে জড়িত সঠিক শব্দ বা বাক্যের ব্যবহার করে লিখলেই, সেই আর্টিকেলে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিসিটর পাওয়ার সুযোগ ৯০% বেড়ে যায়। ৬৫% লোকেরাই জানেনা যে keyword research কি এবং কেন কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়। এবং তাই, তাদের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে Google search বা যেকোনো অন্য search engine থেকে traffic অনেক অনেক কম আসে। এবং, কিছু ক্ষেত্রে তো ট্রাফিক একদমি আসেনা। যেকোনো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগকে কোনো keyword এর জন্য optimize করার প্রথম স্টেপ হলো keyword research. আপনি, যেগুলি keyword কে target করে ব্লগে আর্টিকেল লিখছেন সেই কীওয়ার্ড গুলি লাভজনক কি না, সেগুলিতে মাসে ট্রাফিক কতটা আসে, keyword competition high না low সবটাই আপনারা research করে জানাটা অনেক জরুরি।
ব্লগে কীওয়ার্ড রিসার্চের মূল উদ্দেশ কি ?
Keyword research করে আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য এটাই যে, আমরা যে টপিক, বিষয়, কীওয়ার্ড বা সার্চ টার্ম কে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখছি সেগুলিতে গুগলে সার্চ হয়তো, নাকি আমরা আর্টিকেল লিখছি কিন্তু সেগুলির বেপারে সার্চ ইঞ্জিনে কোনো সার্চেই হচ্ছেনা।
আর দ্বিতীয়তে, যেগুলি কীওয়ার্ড আমরা টার্গেট করছি সেগুলি high competitive তো না। এ হলে আমাদের আর্টিকেল তো অন্যদের তুলনায় অনেক পিছে পরে থাকবে যার ফলে ট্রাফিক পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
সেজন্যই, google keyword planner ব্যবহার করে আপনি নিজের টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর ব্যাপারে ফ্রীতে সবটাই জেনেনিতে পারবেন এবং কীওয়ার্ডটি টার্গেট করে কত ট্রাফিক আপনার ব্লগে গুগল থেকে আসতে পারে সেটার জ্ঞানও আপনি পেয়ে যাবেন।
বাংলা ব্লগের কিওয়ার্ড রিসার্চ কতটা কঠিন?
এটা আসলে কঠিন না, বরং ইংরেজী ব্লগের তুলনায় অনেক সহজ। বাংলা কিওয়ার্ডে সিপিসি কম, ভিজিটর কম এবং একইসাথে কম্পিটিশনও কিন্তু কম। আমি পাঁচটি টুলের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো, যা যথেষ্ট হবে ফ্রিতে কিওয়ার্ড খোজার জন্য-
বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ ও সার্চ ভলিউম দেখার, কি কোনো উপায় আছে?
আসলে এজন্য সব সময় নতুন নতুন ফরমুলা আসে, আজ যা কাজ করে কাল তা নাও কাজ করতে পারে, তাই সব সময় আপডেট থাকতে হয়। তবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আমাদের কাছে রয়েছে “Google keyword planner” টুল। এই টুল গুগলের অফিসিয়াল টুল এবং সম্পূর্ণ ফ্রি। এছাড়া ও ইউবারসাজেস্ট, কিওয়ার্ডটুলস.আইও ইত্যাদি আছে।
এমনিতে, বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে আপনারা “Ahrefs“, “Keyword Tool” এবং “kwfinder” ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এই paid tool গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর টাকা খরচ করতে লাগবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ আর ওয়েব রিসার্চ কি এক?
এটা অনেকের মনে আসে যে ওয়েব রিসার্চ ও ডাটা এন্ট্রি আর কীওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি এক? অনেকে আবার কিওয়ার্ড রিসার্চ এর সাথে ওয়েব রিসার্চকে গুলিয়ে ফেলেন, তাই আলাদা করে এ সম্পর্কে বর্ণনা দিচ্ছি। এটি মূলত ওয়েবসাইট রিসার্চ করে কোন তথ্য বের করে আনা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখবেন ওয়েব রিসার্চের অনেক কাজ পাওয়া যায়। অনলাইন বিজনেস, ব্লগিং বা, ইন্টারনেটের তথ্য প্রয়োজন এমন যেকোন কাজের সাথে সংশিষ্ট ব্যক্তিরা এরকম দক্ষ লোকদের খোজে যারা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য খুজে এক্সেল, অন্য কোন স্প্রেডশীট বা, নোট আকারে তাদেরকে পৌছে দিতে পারবে। আর এটাই ওয়েব রিসার্চ। এই কাজ যারা করে তাদেরকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট বা, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর বলতে পারেন। তবে, ওয়েব রিসার্চে দক্ষ ব্যক্তিদের বাজার মূল্য রয়েছে। আপনারা চাইলে এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন।
আর কীওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে, এস ই ও এর একটি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ওয়েব সাইটের আর্টিকেল লিখার জন্য জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে অধিক পরিমানে সার্চ হওয়া keywords এবং key phrase গুলি খুঁজে বের করা হয়।
Long Keywords ব্যবহারঃ
আপনার ব্লগটি যদি নতুন হয় এবং ব্লগের র্যাংকিং কম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ছোট কীওয়ার্ড এর পরবর্তী বড় কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। কারণ নুতন ব্লগের পক্ষে ছোট কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক পাওয়া খুব দুরূহ ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে আপনি বড় এবং Low Competition এর কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া অধিকাংশ ওয়েবমাষ্টারদের মতে বড় কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সহজে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব হয়। আপনার ব্লগ যখন পুরাতন হয়ে যাবে এবং র্যাংকিং বাড়তে থাকবে, তখন ছোট এবং High Competition এর কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
জনপ্রিয় কিওয়ার্ড ব্যবহারঃ
যে বিষয় নিয়ে ভিজিটরদের প্রচুর পরিমানে আগ্রহ রয়েছে, সম্ভব হলেও সে ধরনের কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কারণ আপনি যদি এমন কোন টপিক নিয়ে লিখেন যে বিষয়ে ইন্টারনেটে খুব কম সার্চ করা হয়, তাহলে সে কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে কোন সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। জনপ্রিয় কীওয়ার্ডগুলি High Competitive হলে সেগুলির সাথে আরও কিছু কীওয়ার্ড যোগ করে ব্যবহার করতে পারেন।
Keyword Density কি?
কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল কত বার একটি ওয়ার্ড আপনার ব্লগের কোন একটি পোষ্টে আছে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইটের কোন পেইজে ১০০ শব্দ আছে, আর সেই ১০০ শব্দের মধ্যে ১ বার কীওয়ার্ড ব্যবহার করলেন। তাহলে বলা যাবে ১ টাইমস কীওয়ার্ড ব্যবহার হয়েছে এবং সেখানে কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল ১%। আমি মনে করি একটি ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড ডেনসিটি সাধারণত .০২৫-১% এর মধ্যে থাকা উচিত।
কিওয়ার্ড কত প্রকার ?
কিওয়ার্ড কত প্রকার সেটা তো সঠিক ভাবে বলা যাবেনা । কিসের জন্য আপনি কিওয়ার্ড নির্বাচন করছেন,তার উপর নির্ভর করে কিওয়ার্ড কত প্রকার ।
- শর্ট টেইল কিওয়ার্ড (Short-tail keyword)
- লং টেইল কিওয়ার্ড (Long-tail keyword)
- শর্ট টারম (Short-term fresh keyword)
- ইভারগ্রীন কিওয়ার্ড (Long-term evergreen keyword)
- প্রোডাক্ট বেসড কিওয়ার্ড (Product defining keyword)
- কাস্টমার ডিফাইনিং কী-ওয়ার্ড (Customer defining keyword)
- লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (Geo-targeting keyword)
- এলএসআই কিওয়ার্ড (LSI keyword)
- বাইং কী-ওয়ার্ড (Intent targeting keywords)
- ইনফরমেশন কী-ওয়ার্ড।
কীওয়ার্ড রিসার্চ কীভাবে করতে হয়?
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য বেশ ভালো মানের কিছু টুলস আছে তার মাঝে কিছু আছে একেবারে ফ্রি আর কিছু পেইড; টুলসগুলা ব্যবহার করে আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন । কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে আবার কিছু নিয়ম আছে যেমনঃ CPC, Monthly Avg. Search, Keyword Difficulty ইত্যাদি।
এই টুলসগুলার কাজ শিখতে পারলেই আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ ভালো করে শিখে নিতে পারবেন ।
কিওয়ার্ড রিসার্চ মুলত দুইভাবে করতে হয়।
1.Organic traffic-র জন্য রিসার্চ পদ্ধতি
2.Paid traffic -র জন্য রিসার্চ পদ্ধতি
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক ফ্রি ও পেড টুল রয়েছে। Google keywords Planner,Keywordtool.io, Ubersuggest যেগুলো ব্যবহার করে আমরা কিওয়ার্ড রিসার্চ করে থাকি
কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি কি?
কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি এসইও ডিফিকাল্টি এবং কিওয়ার্ড কম্পিটিশন নামেও পরিচিত। কোনো কীওয়ার্ড গুগল সার্চে Rank করানো কতটা কঠিন তার প্যারামিটারকেই কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বলা হয়। কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ৪ ধরনের হয়:
- সহজ (০-১০)
- মিডিয়াম (১১- ৩০)
- কঠিন (৩১- ৭০)
- খুব কঠিন (৭১ বা তার বেশি)
কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন;
- ডোমেইন অথরিটি
- পেজ অথরিটি ( ব্যকলিঙ্ক, সোশ্যাল শেয়ার, এংগেজমেন্ট ইত্যাদি)
- কনটেন্ট কোয়ালিটি, ইত্যাদি।
উপরোক্ত ৩টি বিষয়ের মাঝে যদিও গুগল Rank ফ্যক্টর নিয়ে বলার সময় বলে যে, ডোমেইন অথরিটি সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়না, বা নতুন সাইটকে তারা কম গুরুত্ব দেয়না। তবে গুগল ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে যখন কথা বলে তখন তাদের পরিসংখ্যানে দেখানো হয় ২২% পাঠক নতুন সাইট থেকে দ্রুত চলে যায়।
আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন, গুগল পাঠককে এংগেজ রাখতে সেরা আর্টিকেল সামনে নিয়ে আসে, যেন দ্রুত চলে না যায়। তাই এটাকে এখনো Ranking ফ্যাক্টর হিসেবে মনে করা হয়।
বিশেষ করে শর্ট কিওয়ার্ড এবং মাল্টিপল কিওয়ার্ডে Rank করার জন্য ডোমেইন অথরিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
লং টেইলে র্যাংক করানো সহজ কেন ?
কেননা যখনই কোন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড হয়ে থাকে, তাহলে সেটা নিয়েও অনেক বেশি সার্চ হয়ে থাকে। তাই যখন লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ সার্চ দেয়, সেটার মধ্যে র্যাংক করানো সহজ কেননা লং টেইল কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কম্পিটিশন অপেক্ষাকৃত অনেক কম। আর তাই যখন আপনার কিওয়ার্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এবং লং টেইল কিওয়ার্ড থাকে, তখন সেটা র্যাংক করার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।
আমার সাইটকে কিভাবে গুগলের প্রথম পেজে আনবো?
আপনার ওয়েবসাইট এর পোস্ট বা পেজকে গুগলে rank করতে চান,তাহলে আপনার সাইটকে গুগল যেরকম সাইট পছন্দ করে সেই মতো সাজাতে হবে। গুগলের প্রথম পেজে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট করতে হবে।
১। ভালো মানের পোস্ট করতে হবে ।
২। সঠিক ভাবে SEO করতে হবে ।
৩। আর SEO করার জন্য সাইটের Back Link তৈরি করতে হবে ।
বিনামূল্যে কী-ওয়ার্ড রিসার্চের সবচেয়ে ভালো টুলস কোনটি?
বিনামূল্যে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ এর টুলসগুলো কতখানি কার্যকর সেটা দেখার বিষয়। যদিওবা আমি সাপোর্ট করিনা বিনামূল্যে টুলস ইউজ করা তারপরও যেহেতু সেহেতু বলি!
আমার মতে, বিনামূল্যে সেরা যে ওয়েবসাইটটি আপনি কী-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য সবচেয়ে ভালো টুলস হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন তা হলোঃ
Ubersuggest’s Free Keyword Tool, Generate More Suggestions
একের মধ্যে সব, কিওয়ার্ড রিসার্চ – ব্রেইনষ্টোর্মিং, আইডিয়া, ডিফিকাল্টি, কম্পিটিটর লিংক এ্যানালাইসিস…..ইত্যাদি সবই পাবেন।
Ubersuggest বিনামূল্যে বলতে, আসলেই বিনামূল্যে😊। অন্যসব বিনামূল্যের কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস্ এর মতো নয় যে নির্দ্দিষ্ট কিছু দিন ফ্রি তারপর মাসিক সাবস্ক্রিপশন!😒! অথবা, এমন সব টুলস্ এর মতোও নয় যে দিনে একটা নির্দ্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেয়া আছে যে আপনি এতোটির বেশী কিওয়ার্ড রিসার্স করতে পারবেন না!😒!
তাই আমার মতে বিনামূল্যে এটাই সেরা।
কীওয়ার্ড কীভাবে অপ্টিমাইজ করতে হয়?
কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। কারন আপনি যত সুন্দরভাবে আপনার কীওয়ার্ডটিকে অপ্টিমাইজ করতে পারবেন তত বেশী সম্ভাবনা থাকবে র্যাঙ্ক পাওয়ার । কিভাবে কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন করবেন তা আমি সহজভাবে সংক্ষেপে তুলে ধরতেছি ।
১. টাইটেল এর মধ্যে কীওয়ার্ড টি রাখুন। যথা সম্ভব শুরুর দিকে ।
২। URL এর মধ্যে কীওয়ার্ড রাখুন ।যেমন আপনার কীওয়ার্ডটি যদি হয় seo service তাহলে আপনার url টি হবে http://dreamits.org/seo-service
৩। কীওয়ার্ডটি h1 হেড ট্যাগের মধ্যে রাখতে হবে । এবং সাব হেডের ( h2,h3,h4..h6) মধ্যে LSI কিওয়ার্ড রাখতে হবে ।
৪। কীওয়ার্ডটি ডিস্ক্রিপশনের শুরুতে রাখুন ।
৫। ছবির alt tag এ কীওয়ার্ড রাখুন
৬। মেটা ডিস্ক্রিপশনের মধ্যে কীওয়ার্ড রাখুন
৭ । যতবেশী পারা যায় LSI কীওয়ার্ড রাখুন পুরো লেখার মধ্যে
তবে সাবধান কীওয়ার্ড স্টাফিং করবেন না , গুগল অনেক বেশী স্মার্ট ।
Commercial Intent কিওয়ার্ড কিভাবে অপ্টিমাইজ করা যায়?
যেমন কেউ যদি সারচ করে “buy guitars online”এই ব্যক্তিটি গিটার কিনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার (decision-making) ফানেল পর্যায়ে রয়েছে, তাই আপনাকে তাদের সঠিক তথ্য দিতে হবে যাতে সে আপনার ওয়েব পেইজ ভিজিট করে। Projects, case studies, testimonials, and reviews এগুলো সবই সাধারণত বাণিজ্যিক অভিপ্রায় (commercial intent) এর তথ্য।
প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির পৃষ্ঠাগুলি লেনদেনগত বা বাণিজ্যিক (transactional or commercial) দুই ই হতে পারে – একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট একটিই প্রোডাক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি, কিন্তু ‘টপ’ বা ‘Best’তালিকা খোঁজার কাছাকাছি আছে।
page title and/or headings এ উপযুক্ত হলে শিরোনামে যেকোনো বাণিজ্যিক অনুসন্ধান টারমস (commercial search terms) অন্তর্ভুক্ত করুন: ‘top’, ‘review’, ‘vs.’, ‘comparison’, ‘list’, ‘cost’, and so on ইত্যাদি শব্দগুলো।
সম্ভব হলে চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্সে (provide comparisons in eye-catching graphics)তুলনা প্রদান করুন।
সর্বদা ফানেলের পরবর্তী পদক্ষেপগুলি প্রদান করুন – প্রতিশ্রুতি সহ একটি smaller transaction অফার করুন, যেমন একটি নিউজলেটার সাইনআপ বা বিনামূল্যে ডাউনলোড ( free content download) ইত্যাদি।
বিনামূল্যে SEO / কী-ওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে শিখতে পারি?
বর্তমানে ইউটিউব ও গুগলে সার্চ দিলে অনেক ভালো ভিডিও ও তথ্য পেয়ে যাবেন। যেখানে আপনি খুব সহজেই SEO শিখতে প[রবেন।
- #আপনার লক্ষ কী?
- #ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা কেমন?
- #এসইও’র কাজ কেনও শিখবেন বা শিখতে চাচ্ছেন?
- #কাজটি শিখার জন্য় কী পরিমান পরিশ্রম করতে চান?
- #কাজের পিছনে প্রতিদিন কতটুকু সময় দিবেন?
- #বিনামূল্য় কতটুকু শিখতে চান?
- #কাজ ঘরে বসে শিখতে চান নাকি বাহিরে গিয়ে?
- #আগামি ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
ভালোভাবে বিনামূল্যে SEO/ কী-ওয়ার্ড রিসার্চ শিখার জন্য দুই ধরনের উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে কোন অভীজ্ঞ ব্যক্তি নিকট হতে শিখে নেয়া এবং অন্যটি হচ্ছে অন-লাইন হতে ভালোমানের বিভিন্ন ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে শেখা। অন-লাইন হতে শেখার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমানে ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনি অন-লাইন বা যে কোন ব্যক্তি হতে শিখুন না কেন অবশ্যই সেটি ভালমানের হতে হবে। সম্প্রতি সময়ে SEO শেখানোর মত অনেক প্রতিষ্ঠানই হাতের কাছে রয়েছে, কিন্তু এদের মধ্যে ভালমানের প্রতিষ্ঠান পাওয়া খুব দুরূহ একটা ব্যাপার।
উদাহরণ স্বরূপ- আজ আমি একটি SEO সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের YouTube চ্যানেলে ব্লগের Heading ট্যাগের সেটিংস সম্পর্কিত একটি টিউটরিয়াল দেখি। সেখানে একজন শিক্ষক তার ছাত্রদের H1, H2 ও H3 ট্যাগ সেটিংসটা ভূলভাবে শেখাচ্ছিলেন। বিষয়টি দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না।
তবে এতটুকু বলা যায় ফ্রি রিসোর্স থেকে আপনি হয়তো বেসিক কিছু জানতে পারবেন কিন্তু এসইও জগতে সেগুলো যথেষ্ট নয়।
এসইও এমন একটি জগৎ যেখানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসে। আজ বিকালে যে টেকনিক বা পদ্ধতি কাজে দিচ্ছে আগামিকাল সকালে সেখানে আমুল পরিবর্তন চলে আসতে পারে।
নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে এবং এরজন্য় সবচেয়ে ভালো মাধ্য়ম হচ্ছে প্রচুর পড়াশুনা, ঘাটাঘাটি করা, মার্কেটে কী চলছে তার খোঁজ রাখা।উত্তর লিখা শুরু করবার আগে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।
ইংরেজিতে যদি আপনার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে নিম্নে কিছু নাম উল্লেখ করছি। তারা প্রত্য়েকেই এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে বহু বছর ধরে অবদান রেখে আসছেন।
তাদের ফলো করলে নিত্য় নতুন অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাদের ব্লগ গুলো নিয়মিত পড়বেন এবং ইউটিউব চ্য়ানেল থেকে টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
এগুলো ছাড়াও udemy এর মত এডুকেশনাল প্লাটফর্ম থেকেও রিসোর্স সংগ্রহ করতে পারেন।
ধন্যবাদ।