LOADING

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?

by Jakariya Shakil April 01, 2022

বর্তমান যুগ হাই স্প্রিট ইন্টারনেটের যুগ। এখন ঘরে বসে মানুষ বিশ্বের সব খবরাখবর রাখতে পারছে । বলা যায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় । এই সময়ে আপনি যদি এখনো ডিজিটাল মার্কেটিং কি না জানেন তাহালে আপনি এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছেন। আর এজন্য digital marketing কি এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া আপনার জন্য অনেক জরুলি। আপনি যদি নিজের business এ দ্রুত সাফাল্য পেতে চান তাহালে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার সফলতার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?  ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে কী করতে হবে? এই প্রশ্নটি এখন সবার জন্য। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়, প্রত্যেকে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান। বর্তমান যুগটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগ। এখন হোম শপিং থেকে অনলাইন শপিং, অনলাইন অর্থ উপার্জন এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর নির্ভর করে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি যেমন গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকড-ইন, টুইটার ইত্যাদি  ব্যবহার করে কোনো পণ্য বা সেবার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।  

ডিজিটাল মার্কেটিং জিনিসটা আসলে কি?

আসলে ডিজিটাল এবং মার্কেটিং দুইটি শব্দ যার অর্থ অন্য অন্য। প্রথমে Digital যার মানে হলো এমন একটি টেকনোলোজি যেটা কম্পিউটার বা যেকোনো ইলেকট্রানিক ডিভাইস টেকনোলোজি কে বুঝায় যেটা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সাথে জড়িত। এবং মার্কেটিং মানে হলো, যেকোনো ব্যবসার প্রডাক্ট বা সার্ভিস ব্যাক্তিগত বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা। আর এই প্রচার করার একটাই উদ্দেশ্য যাতে আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষরা জানবে এবং কিনবে।

তাহলে, ডিজিটাল মার্কেটিং হল সোশ্যাল মিডিয়া, এসইও, ইমেইল এবং মোবাইল অ্যাপের মতো চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রির কাজ। মূলত, ডিজিটাল মার্কেটিং হল মার্কেটিং এর যে কোন ফর্ম যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলির সাথে জড়িত। ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়। এখন সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে, আবার হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আপনি কি আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন নিয়ে চিন্তা করছেন? অনেক জায়গাতে শুনেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করুন, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে করবেন? তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য, কারণ এই আর্টিকেল এ আমি আপনাকে শেয়ার করবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করতে হয়।

বর্তমানে ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপনের সবথেকে বড় ও উন্নত মাধ্যমটির নাম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

অনেকে আবার এটাও জিজ্ঞাসা করেন, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব কিনা, এখানে আয় কেমন, কি যোগ্যতা থাকা দরকার, আবার কাদের জন্যই বা ডিজিটাল মার্কেটিং। এই আর্টিকেল থেকে ইনশাআল্লাহ্‌ সব উত্তর পেয়ে যাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? : What is Digital Marketing in Bangla

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মানুষ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় পন্যের বিজ্ঞাপনকেই বুঝে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কি তাই? আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করি, ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর সাথে আরো কি কি ব্যাপার জড়িত আছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলোই বা কি? কি কি উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? এই সব বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। কথা না বাড়িয়ে আসুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?

কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন দরকার? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই – আপনি যখন টিভি দেখেন,  মনে করুন তখন বাচ্চাদের ডাইপারের বিজ্ঞাপন  আপনাকে দেখাচ্ছে, এভাবে অনেক বিজ্ঞাপন  দেখাচ্ছে  সেগুলো অনেকগুলোই আপনার জন্য হয়ত জরুরী নয়। কারণ যেই বিজ্ঞাপনগুলো আপনাকেসহ অনেককে দেখানো হচ্ছে, সেগুলো কোন কাজে আসছে না- কারণ টিভি চ্যানেল এর বিজ্ঞাপনদাতারাও  জানেনা যে আসলে টিভি টা দেখছে তার আসলেই সেগুলো প্রয়োজন আছে কিনা? ধরুন আপনি অবিবাহিত একজন ব্যাক্তি এবং আপনার বাসায় কোন বাচ্চাও নেই, আপনার সামনে যদি বাচ্চাদের ডাইপারের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তাহলে ওই বিজ্ঞাপন দেখে আপনি কি আসলে কিনবেন? তাতে  ওই কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসলে কি অনেক লাভ হয়? আমি জানি আসলেই এভাবে ট্রেডিশনাল বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব বেশি লাভ হয় না। 

অন্যদিকে দেখুন, আপনি ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখছেন কিভাবে হালিম তৈরি করা যায়, এবং ভিডিও দেখার মাঝেই একটা বিজ্ঞাপন চলে আসলো হালিমের এর জন্য বেস্ট মশলা মিক্স কোনটা বা হালিম তৈরি করার জন্য কোথা থেকে আপনি এর জন্য জিনিসপত্র কিনতে পারেন। এখন, তাহলে এই বিজ্ঞাপনটা হয়ত আপনার কাজে লাগবে এবং এখান থেকে আপনি কি ওই পণ্য কিনতে আগ্রহী হবেন? আমি জানি অবশ্যই আপনি আমার সাথে একমত হবেন এবং অবশ্যই এই বিজ্ঞাপন থেকে ওই কোম্পানির পণ্য বিক্রি হবে।

আমার মনে হয় আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি। হ্যাঁ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পণ্যের জন্য টার্গেটেড কাস্টমার খুব সহজে খুঁজে পেতে পারি এবং এখানে খরচও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।

এর পর ও যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে যে,  ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো। তাহলে বলি বর্তমানে অনেক স্মার্ট ডিভাইস যেমন- আন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের চাহিদা বা ব্যবহার খুব বেশি। বর্তমানে পৃথিবীর ৪৫০ কোটির বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করবে।  মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেনীর মানুষরা পর্যন্ত সবাই আন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই জন্য গুগল, পিন্টারেস্ট,ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এর ব্যবহার কারীর সংখ্যা অনেক বেশি। এসব মাধ্যম ব্যবহার করে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। তাই কোম্পানি গুলি তাদের পণ্য গুলিকে অনলাইন এর মাধ্যমে বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, মাত্র এক সেকেন্ডে কয়েক মিলিয়ন মিলিয়ন কাস্টমার এর কাছে পৌছে  যাচ্ছে তাদের পণ্য গুলি। সেখান থেকে, যার যার চাহিদা অনুযায়ী তাদের পণ্য গুলি ঘরে বসে পাচ্ছেন কাঙ্খিত সকল পণ্য। যেখানে ঘরে বসে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করা যায় সেখানে ক্লাসিক বা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে টিকে থাকা সমনে কষ্টকর ও খরোচে হয়ে যাবে। আর এটা আপনার ব্যবস্যার জন্য খুব ভালো কিছু না। তাই হয়ত আপনাকে খুব অল্প সময়ে বেশি কাস্টোমার বা গ্রাহক পাওয়া যায় বলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে, আর বলা যায় এ জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করা প্রয়োজন।

ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং এর চাইতে কম খরছে দ্রুতার সাথে করা যায় বিধায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষকরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িরা অল্প খরছে ডিজিটাল মার্কেটিং করার সুযোগ পায় বিধায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় তুমুল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

আমাদের এই বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ। কারণ অধিকাংশ মানুষ এখন যেকোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে ওই পন্য সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর সে পণ্য ক্রয় করে। আর অনলাইনে মার্কেটিং (ডিজিটাল মার্কেটিং ) করার মূল উদ্দেশ্য হল বিজনেসের অনলাইন প্রেজেন্স এবং ব্র্যান্ডিং গ্রো করা। অনলাইনে যদি আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে আপনি কখনো আপনার বিজনেসের অডিয়েন্স খুঁজে পাবেন না এবং ব্যবসায় সফল হতে পারবেন না। বর্তমান  এই কম্পিটিটিভ ওয়ার্ল্ডে আপনার বিজনেস টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটিং এ গুরুত্ব দিতে হবে।

তাই আপনি যদি একজন শিল্পী, ডাক্তার, তারকা বা ব্যবসায়ী হন, তাহলে আপনার উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের বা  নিজের ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। সমগ্র বিশ্বে মোট প্রায় ২.৯৩ বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আর ইন্টাগ্রাম প্রায় ২ বিলিয়নের উপরে মানুষ ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যাটি নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে।  বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৫.৫০ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর শ্বে মোট প্রায় ৫.০৯ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।  আর এই সংখ্যা খুবই দ্রুত গতির সাথে বেড়ে চলেছে। এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে। আর সেই সাথে আপনার অনলাইনে আপনার ব্যবসার পরিধি ও বাড়বে। একটা স্ট্যাটিসটিক্সের মাধ্যমে ইউজার সার্ভে রিপোর্ট উল্লেখ করেছে যে, প্রায় ৮৬% বিক্রেতা, মার্কেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে।

প্রতি মাসে গুগল ৮৯.৩ বিলিয়ন বারের ও বেশি বার মানুষ ভিজিট করে।  ৪৬% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে প্রোডাক্টের জন্য, তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে। বিশ্বে প্রায় ৭১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। তারপর পণ্যটি  পছন্দ হলে তার ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করে ফেলেন।

আপনি হয়ত এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন, আপনার ক্রেতারা কিভাবে অনলাইনে তাদের সার্ভিস বা কেনাকাটা সম্পন্ন করেন। তাই আপনি যদি এই ডিজিটাল যুগে, অনলাইনে,  ডিজিটাল মার্কেটে টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনার এখনই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবা উচিত। আর এ ক্ষেত্রে আপনি যারা অনেক দিন ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিচ্ছি, তাদের সাথে নিশ্চিন্তে আপনার ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস করতে পারেন। যেমন- Connect Firm Ltd. (Popular Digital Marketing Firm in Bangladesh) হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্ম। আপনার ব্যবসার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু বসে নেই, তার ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। তাই আপনাকেও সমানতালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব সেক্টরে মার্কেটিং করে যেতে হবে। PRAN, ACI GROUP, BASHUNDHARA, BEXIMCO, SQUARE, CITY GROUP, Coca-Cola, Unilever, Nestlé এর মতো বড় বড় কোম্পানীগুলোও কিন্তু বেশ তোড়জোড়ের সাথেই বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়াতে নিজেদের অস্তিত্ব ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে। আপনি যদি অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং না করেন, তাহলে আপনি যুগের তালে তাল না মিলাতে পেরে নকিয়া, Kodak, AMBASSADOR (গাড়ি) কোম্পানীর মতো হারিয়ে যেতে হবে। যারা যুগের সাথে বদলাতে পারে না, যুগ তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ক্রমাগত যুগের সাথে বদলাতে থাকুন। ডিজিটাল মার্কেটিং করুন। সাফল্যকে সাথে রাখুন, সময়ের সাথে থাকুন।



কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পণ্যের জন্য টার্গেটেড কাস্টমার খুব সহজে খুঁজে পেতে পারি এবং এখানে খরচও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন? প্রথমত আপনার পণ্যটি কোন ক্যাটাগরির কাস্টমারের কাছে চাহিদা সম্পূর্ণ তা বিবেচনা করে সে অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও আকর্ষণীয় কনটেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। পণ্যের ধরণ ও চাহিদানুযায়ী আপনাকে কনটেন্ট সাজাতে হবে। এবং এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সেলস ফানেল তৈরি করা।

আমার দেখা মতে বাংলাদেশ এর ৯৫% কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য সেলস ফানেল তৈরি করেন না এবং যার কারণে তাদের সেলস তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয়। আপনার সেলস ফানেল তৈরি করার পর চিন্তা করতে হবে কোন ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করবেন এবং সেই ডিজিটাল মাধ্যমটি সম্পর্কে আপনাকে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। আমরা সব সময় সব রকম পদ্ধতি নিয়ে সব প্রজেক্টে কাজ করি না কিন্তু এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে লাগবেই। এখন  আমরা আজকে জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে বিষয় গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে।

  • Google PPC/ GDN Marketing (গুগল এড মার্কেটিং)
  • Youtube Marketing (ইউটিউব মার্কেটিং )
  • Affiliate Marketing (এফিলিয়েট মার্কেটিং)
  • Cost Per Action (CPA) Marketing (সিপিএ মার্কেটিং)
  • Content Marketing (কনটেন্ট মার্কেটিং)
  • Mobile Marketing (মোবাইল এড মার্কেটিং)
  • Search Engine Optimization (SEO) (এস ই ও মার্কেটিং)
  • Search Engine Marketing (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং)
  • Email Marketing (ইমেইল মার্কেটিং)
  • Social Media Marketing(SMM) (ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং)
  • Digital Display Marketing (ডিসপ্লে মার্কেটিং) 

এগুলো ছাড়াও অনলাইন (ডিজিটাল) মার্কেটিং এর আরো অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। সত্য বলতে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং আসলে একক কোনো একটি বিষয় নয়। এর নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রই অনেক ব্যাপক।  তাই এগুলো এক একটি বিষয় নিয়ে আমাদের আলাদা ভাবে বিস্তারিত জানতে হবে। আর এই সবগুলো ক্ষেত্রের মিলিত রূপই হলো “Digital marketing “ বা অনলাইন মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধাগুলো কি কি?

১। ‍খুবই স্বল্প খরছে ছোট বড় যে কোন ধরণের ব্যবসায়িক বা কোম্পানী অথবা কোন প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে।

২। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে আপনার বিভিন্ন product গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন।

৩। শুধুমাত্র ইন্টারনেট থাকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা লাগবে না।

৪। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোম্পানীর ব্রান্ড তৈরি করা যায় সহজেই, যা অন্য কোন উপায়ে সহজ নয়।

৫। ঘরে বসেই প্রোডাক্ট বা সেবার অর্ডার পাওয়ার যায় তাই সহজেই পন্য বা সেবা বিক্রি করা যায়।

৬। ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।

৭।  নির্দিষ্ট এলাকায় মার্কেটিং করা যায়, নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কাস্টমারদের কাছেই শুধুমাত্র মার্কেটিং করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই একমাত্র মাধ্যম।

৮।  সময়, অর্থ ও জনবল সবকিছুই সাশ্রয় হয় ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে।

একজন সফল মার্কেটার হতে চাইলে ভবিষ্যতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের দিকে মনোযোগি হতে হবে।

ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বনাম ডিজিটাল মার্কেটিং

ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্থক্য 

প্রযুক্তির এই যুগে যেহেতু আপনি প্রচলিত ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বাদ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রতি মনোযোগি হবেন সেহেতু এদের পার্থক্যটাও জানা জরুরী। যদিও ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনাকে আপনার নিজের বা ক্লায়েন্টের ব্যবসার দক্ষতা এবং কাজের চাহিদা অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারেন ট্রেডিশনাল কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং। এই সব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করবেন নাকি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন। মনে রাখবেন শুরুতেই ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করার জন্য বেশি পরিমানে টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এদিকে খুব কম খরছে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।

  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রচলিত ব্যয়বহুল মার্কেটিং ব্যবস্থা অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে খুব অল্প খরচ দিয়ে প্রযুক্তি মার্কেটিং ব্যবস্থা।
  • ব্যায় বহুল খরচের কারণে ছোট খাট কোম্পানীর পক্ষে ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করা সম্ভব হয় না।
  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেও নির্দিষ্ট কাস্টমার টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না । পক্ষান্তরে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থায় মাত্র ৫ ডলার খরচ করে নির্দিষ্ট কাস্টমার টার্গেট করে সহজেই বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
  • ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার পন্য বা সেবা দ্রুত প্রচার করা যায়।
  • যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রচারণার কাজটি করা যায়, তাই এতে লাভও বেশি।
  • বর্তমান সময়ের উপযোগি মার্কেটিং ব্যবস্থা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বা পদ্ধতি।

বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য গুলো। আমার কাছে মনে হয় ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তবে আপনার কাছে যদি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ভালো লাগে আপনি করতে পারেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

ডিজিটাল মার্কেটিং ভুলগুলি কী কী?

১) ডিজিটাল মার্কেটিংর লক্ষ্য স্পষ্ট না হওয়া: সর্বপ্রথম, এক ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থাপক কে নিজের পাঠকবর্গ/ব্যবহারিবর্গের এবং ডিজিটাল মার্কেটিংর লক্ষ্য নির্ধারণ করার প্রয়োজন আছেই আছে।সেই স্পষ্টতা না হওয়াটা এক গুরুত্বর্পূর্ণ ভুল।

২) ভুল চ্যানেলগুলিতে (সোশ্যাল মিডিয়া) মার্কেটিং: টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুকের মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যদি আপনি ৩৫ বছরের উপরে বয়সের এমন একটি পণ্য মার্কেটিং করেন তবে ইনস্টাগ্রাম আপনাকে বেশি লিড দিবেনা না কারণ ইন্সটাগ্রাম এ ১৬ থেকে ২২ বছরের মানুষ ই বেশি ব্যবহার করে থাকে। বেশিরভাগ লোকেরা ফেসবুক ব্যবহার করে সুবিধাজনক হিসেবে। সেক্ষেত্রে মার্কেটিং কৌশলটি সেই চ্যানেলে ফোকাস করা দরকার। বেশিরভাগ সময়, মার্কেটার ভুল মিডিয়াতে প্রচার করে থাকে।

৩) এসইও-এর উপেক্ষা: এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান / SEO)-এর বিষয় খেয়াল না করে অন্যান্য শর্টকাট উপায় দিয়ে বাড়লে দীর্ঘমেয়াদী লাভ অর্জন হয়না।বেশিরভাগ লোকে এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং/SEM) ব্যবহার করে নিজের লক্ষ্যগুলি পেতে চায়ে। তাতে কিন্তু সাইটে ও ব্যবসা প্রচার স্বল্পমেয়াদী লাভ অর্জন হলেও, উন্নত হয়ে না। তাই, এসইও এবং এসইএম-দুটোই ক্ষেত্রে খেয়াল করা দরকারি।

৪) বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করতে অসফল হওয়া: কোনো ধরণের নতুন পণ্য ও ওয়েবসাইটের সফল হওয়ার পেছনে অনেক রকমের গবেষণা দরকার পড়ে। তবে এই গবেষণাগুলির বিশ্লেষণ নিয়ে যথেষ্ট চর্চা ও পর্যালোচনা না করলে, আজকের এই প্রযুক্তিশীল যুগে সহজে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এবং এই কারণে বিশ্লেষণ পর্যালোচনা ডিজিটাল মার্কেটিংর ক্ষেত্রে সক্ষম হওয়ার জন্য অপরিহার্য আছে।

৫) ডিজিটাল প্রচারণা করতে তাড়াহুড়ো: এটা একটি সামান্য, তবুও গুরুত্বপূর্ণ ভুল। অনেক ছোট/বড় ব্যবসাগুলির জন্য এটি একটি সাঙ্ঘাতিক ভুল হয়েও দাঁড়াতে পারে।ডিজিটাল প্রচারণা করতে তাড়াহুড়ো করলে স্বাভাবিক আছে যে অনেকে ভালোভাবে গবেষণা করার ও পরিকল্পনার কৌশল তৈরী করতে পারেন না, যাতে টাকার ক্ষতি হওয়ার সাথে সময়েও নষ্ট হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার? কি? কি? 

অনলাইন মার্কেটিং দুই প্রকারে সম্পন্ন হয়।

১. পেইড মার্কেটিং (Paid Digital Marketing)

২. অর্গানিক মার্কেটিং বা ফ্রী মার্কেটিং ( Organic Digital Marketing)

সহজভাবে বললে, অনলাইনে যত রকম এডভার্টাইজিং, সবই পেইড মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত । আর আপনার গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ বা তাঁর কাছে আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিস পৌছাতে আপনি  অর্গানিক মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে পারেন। Digital marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং) করার অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনাকে শুধু আপনার কোম্পানির ধরণ, পণ্য এবং বিজনেসের পরিধির বিষয়টি বিবেচনা করে প্লাটফর্মগুলো বেছে নিতে হবে।

SEO বা Search Engine Optimization (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) অরগানিক মার্কেটিং এর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। যেখানে নিজের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়।  দৈনন্দিন জীবনে গুগলে সার্চকারীর সংখ্যা ও এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে এবং তা বিস্ময়করভাবে।

আবার ফেসবুক, ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটে ভিডিও শেয়ারিংএর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিষয়টি দিন দিন আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। 

অর্থাৎ ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলে, ক্লাসিফায়েড সাইটে যেমন বিনামূল্যে মার্কেটিং করার ব্যবস্থা আছে, আবার অর্থ দিয়েও তা করার ব্যবস্থা আছে।  

এই আর্টিকেলে আমি প্রায় সব প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

  • গুগল এড মার্কেটিং
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ভাইরাল মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • মোবাইল এড মার্কেটিং
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ডিসপ্লে মার্কেটিং

১.  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে SEO কিংবা Search Engine Optimization খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনার ওয়েবসাইটকে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন (গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি)  এর একদম সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে আসে। এসইও অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, যা ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পৃষ্ঠাগুলির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিকের পরিমাণ এবং গুণমান বাড়িয়ে তুলবে। অন্য কথায়, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হ’ল সার্চ ইঞ্জিনগুলি থেকে ওয়েবসাইট ট্র্যাফিকের গুণমান এবং পরিমাণ বাড়ানোর প্রক্রিয়া।

মূলত ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কিংবা ভিজিটর বৃদ্ধি করাই হলো এই এসইও’র কাজ। মানুষ সাধারণত কোনো পণ্য (Product) ক্রয় করার পূর্বে গুগলে সার্চ করে সেই পণ্যের গুণাগুণ কিংবা প্রাইজ জেনে নেয়। আর গুগল কাস্টমার কিংবা সার্চকারীর সামনে সেই ওয়েবসাইটগুলোই নিয়ে আসে যেগুলো খুব ভালোভাবে এসইও অপটিমাইজড করা থাকে।

তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে এসইও অপটিমাইজড করতে পারেন তবে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ওয়েবসাইটিকে একদম প্রথম পেইজে এনে দিবে। যার ফলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে আর সাথে সাথে আপনার পণ্য কিংবা সার্ভিসের প্রচার বাড়বে।

সহজ কথায় বলতে গেলে কোন অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া গুগল সার্চের সাহায্যে সাইটে ভিজিটর আনার পদ্ধতি কি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয় এখন এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর দুটি অংশ রয়েছে । অন পেজ (ON Page) অপরটি হল অফ পেজ  (OFF Page)।

অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন

অন পেজ এসইও  সাইটের মধ্যে করা হয়ে থাকে। আমরা জানি যে আর্টিকেলই মূলত একটি সাইটের প্রান। আর আর্টিকেলে এসইও এর বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করার মাধ্যমে তাকে এসইও ফ্রেন্ডলি করা হয় । যেমন- টাইটেল, কিওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার, ইউআরএল, সাব হেডীং, এইচ ১, মূল কন্টেন্ট, ইন্টারনাল লিংকিং, মেটা টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন ইত্যাদি।

এই অপটিমাইজেশনগুলো খুব ভালোভাবে করতে পারলে ওয়েবসাইট খুব তাড়াতাড়ি সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করবে।

এছাড়াও অন পেজ অপটিমাইজেশনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট পেজ অপটিমাইজ করতে হয় আর এর জন্যেও পেজের টাইটেল, প্রোডাক্ট টাইটেল, মেটা টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে।

অফ পেজ এসইও অপটিমাইজেশন

Off-page এসইও অপটিমাইজেশন হল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো করে অন পেজ করার পর ওয়েবসাইটের রেংকিং গুগল off-page কাজের প্রয়োজন হয় ।

গুগোল মূলত ওয়েবপেইজের রেংকিং এর জন্য দুশোরও বেশি ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে এরমধ্যে ব্যাকলিংক একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

এসইও কত প্রকার ও কি কি

 ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অনেক প্রকার ভেদ আছে। আমরা উপরে অন পেজ এসইও ও অফ পেজ এসইও নিয়ে কিছুটা আলোচনা করলাম; এখন আমরা এসইও এর অন্যান্য প্রকারভেদ গুলো দেখবো। 

১। অন পেজ এসইও (On page SEO)

২। অফ পেজ এসইও (Off page SEO)

৩। টেকিনিক্যাল এসইও (Technical SEO)

৪। লোকাল এসইও (Local SEO)

৫। কন্টেন্ট এসইও (Content SEO)

৬। ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO)

৭। মোবাইল এসইও (Mobile SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি ও এর প্রকারভেদ গুলো কি তা আমরা এতক্ষণে জেনে ফেলেছি, এখন চলুন দেখিনি এর সুবিধাগুলো কি কি- 

Social Shares

LEARN HOW TO BECOME A HIGHLY PAID DIGITAL INFLUENCER !

FREE WEBINAR WORTH 199$

Jakariya Shakil

Jakariya Shakil- ইঞ্জিঃ জাকারিয়া শাকিল Google Certified Digital marketing specialist. Team Leader for Bangladesh’s most prominent Web Design project; If you are looking for SEO Experts from Dhaka, Bangladesh who will work as your Digital Marketing Consultant. Project Manager, Web Developer, and Social Media Manager in Dhaka, Bangladesh

1 Comments

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Your writing has a way of resonating with me on a deep level. I appreciate the honesty and authenticity you bring to every post. Thank you for sharing your journey with us.

    Reply

You cannot copy content of this page