Amazon Affiliate Niche Site Guideline – অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন এ টু জেড
আচ্ছা এমন কি হয়েছে কখনো স্বপ্ন দেখেন? আপনি সমুদ্র সৈকতে শুয়ে আছেন, কিন্তু আপনার একাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে।
আপনি ভাবছেন আরে কি বলে এটা আবার হয় নাকি? সত্যি বলতে অনেকেই এই প্যাসিভ ইনকাম টা করছে। আর আজ আমরা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট পেসিভ ইনকাম নিয়েই কথা বলব। একটা প্রতিষ্ঠিত আমাজন এফিলিয়েট নিশ সাইট হতে আজীবন ইনকাম করা যায়।
তার আগে জেনে নেই, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?
হ্যালো এই মুহূর্তে এই লেখাটি যারা পড়ছেন, আমরা ধরে নিতে পারি যে আপনারা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট নিস সাইট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে, সহজ কথায়, এটি এমন কোনও সাইট যা অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস প্রোগ্রাম থেকে তাদের সাইটের জুড়ে অনুমোদিত লিঙ্ক / ব্যানারের মাধ্যমে উপার্জন করে। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না।
এখানে বরং অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইনটি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ে এসে অ্যামাজন নিশ সাইট দাঁড় করানো মোটেই সহজ বিষয় না, দিনশেষে এটা একটা বিজনেস তাই প্রত্যেকটা বিষয় প্লেন অনুযায়ী কাজ করতে হবে; অনেক ক্ষেত্রে আমি নিজে কোন বিষয় আলোচনা না করে ভালো রিসোর্স এর লিংক দিয়ে দিতে পারি, সেক্ষেত্রে সেটা থেকেও উপকৃত হবেন।
তার আগে একটা কথা বলে নেই, এই প্ল্যান (অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন) আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করছি অর্থাৎ ইউনিক কোন বিষয় না একেবারেই এজ ইউজুয়াল অর্থাৎ এগুলো কমন। নতুনদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে। এক্সপার্টদের জায়গা এখানে নেই 😀
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা (Table of Contents)
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এ ইনকাম করার জন্য আমরা কি করবো?
আমরা আসলে একটি নিশ (Amazon Affiliate Niche Site) সাইট বানাবো। এক্ষেত্রে আমরা নিস সাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিব, ইনশাআল্লাহ। তারপর এই নিস সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করে গুগলের কাছে সাইটটির গুরুত্ব তুলে ধরবো। ফলে কেউ যখন আমাদের নির্ধারিত নিস কীওয়ার্ডে গুগলে সার্চ করবে তখন আমাদের সাইট প্রথমে আসবে।
এতে আমরা ওই নিস রিলেটেড ভিজিটর অর্থাৎ কিছু বায়িং কাস্টমার পাবো । টার্গেটেড ভিজিটর যখন আমাদের নিস সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট হয়ে অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনবে তখন আমরা অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন কমিশন পাবো । আর এভাবেই আমাদের নিস সাইটের ইনকামের একটি পথ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ । অ্যামাজন বিভিন্ন পণ্য ভেদে 2% থেকে ১০% এর মতো পর্যন্ত কমিশন দেয়।
আমাজন প্রোডাক্ট বেস রেট তালিকা দেখার লিংক:
কিছু সাধারণ বিষয়
নিস সাইট কী?
এক কথায়, নিস সাইট হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ। (A niche website for a particular interest, topic, product group, or theme that is common to a narrow group of audiences in a larger market.)
অনেকেই ভাবে নিস সাইট অর্থাৎ ছোট সাইট আসলে সেটা নয়, এটা মার্কেট সেগমেন্ট বুঝায় উদাহরণ- kayakspoint.com (কায়াকিং/স্পোর্টিং নিশ সাইট), toptenreviews.com – মাল্টি নিশ সাইট।
পুরা সাইটই সাধারনত প্যাসিভ থাকে, মানে একবার আর্টিকেলগুলো লেখা হয়ে গেলে আপনার আর কোনো কাজ নেই। সাইট নিজের গতিতে আগাবে।
আমি টার্গেট করি মোটামোটি ৩০-৩৫ টা কন্টেন্ট দেবার। কন্টেন্ট দেবার পর ৫-৬ মাস অপেক্ষা করি। যদি দেখি সাইট থেকে ইনকাম আসা শুরু হয়েছে, তাহলে সেই ইনকামটাই আমি আবার রি-ইনভেস্ট করে কন্টেন্ট এর পেছনে। এভাবে একটা নিশ সাইটকে আস্তে আস্তে বড় করা যায়। এভাবে করলে রিস্ক ফ্যাক্টরটাও আমার মতে অনেক কমে আসে।
অ্যামাজন নিশ সাইট বাজেট (কত খরচ হয়)
এটা একটা সিলি কোশ্চেন। একটা নিশ সাইট করতে কত টাকা লাগে তার ডিপেন্ড করে আসলে আপনি কি টাইপ নিশ সাইট করতে চাচ্ছেন সেটার উপর। তবে যেহেতু এখানে সংক্ষেপে সবকিছুর উত্তর দিচ্ছি তাই নিচে একটা বেসিক অ্যামাজন নিশ সাইট করতে কেমন খরচ লাগে তার একটা ধারণা দিচ্ছি।
বর্তমানে নিস সাইট রেংক করানো একটু বেশি-ই টাফ কাজ। নিস সিলেকশন, কীওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট লেখানো, অনপেজ-অফপেজ ইত্যাদি মিলে একটা জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই অনেকেই রেডিমেড সাইট কিনতে চান কিন্তু নিস সাইট ব্যাপারটা আমার কাছে এরকম মনে হয় যে, এটা একটা লেগে থাকার বিষয়। সব কিছু টাকা দিয়ে হয় না, শুধুমাত্র টাকা খরচ করে এই সেক্টরে বোধহয় সাকসেসের চিন্তা অলিক। নিজের স্কিল বাড়াতে হবে বা কম পক্ষে এক্সপারট কাউকে দিয়ে কাজটা শুরু থেকে শেষ পরযন্ত করাতে পারলে আপনি ভাগ্যবান। : D যদি কেউ সার্ভিস/সাইট কিনে শুরু করতে চান, তাহলে ভালো সার্ভিসের জন্য মোটামুটি কী রকম বাজেট লাগবে একটা হিসাব দিলাম। এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত।
১. ডোমেইন হোস্টিংঃ ৫০ ডলার (এক্সনহোস্ট, নতুনদের জন্য রিকমেন্ডেড)
২. থিম এন্ড প্লাগিনঃ ১০০ ডলার
৩. নিশ ও অডিটঃ ১০০ ডলার
৪. কীওয়ার্ড রিসার্চ + প্ল্যানিংঃ ৪৫০ ডলার
৫. সাইট ডিজাইন + কনটেন্ট পাবলিশ: ৩০০ ডলার
৬. কনটেন্ট মিনিমাম ৩০-কে ওয়ার্ডস: ৬০০ ডলার (নরমাল রাইটার)
৭. অনপেজ অপটিমাইজেশন + স্পীড বুস্টআপ: ২০০ ডলার
——————————— মোট: ১৮০০ ডলার
আর যদি কনটেন্ট ৫০-কে ওয়ার্ডস নেটিভ রাইটার দিয়ে চান তাহলে ১২০০-১৫০০ ডলার লাগবে। অর্থাৎ ৬০০ থেকে ৯০০ ডলার এক্সট্রা লাগবে।
+
কোয়ালিটি লিঙ্ক বিল্ডিং – অফপেজের জন্য খরচ করতে হবে ১২০০-২০০০ ডলার।
মনে রাখবেন, অনলাইনে কিছু ইনকাম করতে হলে ইনভেস্টমেন্ট লাগে। একটা অ্যামাজন নিশ সাইট করতে কমবেশি ছয় থেকে বারো মাস সময় লাগবে। এটা একটা কমন হিসেব।
একটা সুনির্দিষ্ট প্ল্যান (অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট নিশ সাইট দাড় করাতে কত সময় লাগে ? )
যেকোনো প্রজেক্টেই সুনির্দিষ্ট প্লেন থাকা জরুরি, এতে আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে খুব দ্রুত পৌঁছানো যায়। আপনি প্ল্যানিংটা যতো সুন্দরভাবে করতে পারবেন, আপনার কাজ আসলে ততো সহজ হয়ে যাবে। তো আজকে আমরা এই জরুরি কাজটা (সাইট ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন) করতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।
নিস সাইটে খুব দ্রুত সফলতার কোন চাবিকাঠি নেই। এখানে আপনাকে প্রতিটি কাজ যথাযোগ্য, সঠিক ও ধীরেসুস্থে করতে হয়। এসব কথা চিন্তা করেই একটা নিস সাইটের প্ল্যানিংয়ে তাই কম-বেশি ৯-১২ মাসের একটা প্ল্যান করা হয়। এর কমে সাধারণত সম্ভব হয় না। তবে দেড় থেকে দুই বছরের প্ল্যান হলে সেটা আরো ভালো হয়। একটা আমাজন নিশ সাইট দাড় করাতে আমরা 6-12 মাস সময় লেগে যেতে পারে। স্টার্টিং এ ভাল করতে চাইলে প্রচুর সময় দিয়ে রিসার্চ চালিয়ে যেতে হবে ও পাশাপাশি কাজ করতে হবে।
অ্যামাজন নিশ সাইট সাইট প্ল্যানে কি কি থাকবে?
চলুন দেখা যাক মোটা দাগে আমরা কোন কোন বিষয় নিয়ে আজকে কাজ করব সেটা দেখি। আমরা যে মেইন পয়েন্টগুলো আলোচনা করব তা নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হল।
- অন-পেজ এসইও
- নিস আইডিয়া জেনারেশন
- কীওয়ার্ড এবং কমপিটিটর রিসার্চ
- আর্টিক্যাল প্ল্যান, ইনস্ট্রাকশন রেডি
- আর্টিক্যাল পাবলিশ উইদ প্রোপার স্ট্রাকচার
- অনপেজের খুটিনাটি পারফেকশন
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- প্রোপার সিলো স্ট্রাকচার বিল্ডআপ
- রেগুলার কনটেন্ট আপড্টে এবং এড
- ওয়েবসাইট মেইটেন্যান্স
- অফ-পেজ এসইও (বেসিক লিংক বিল্ডিং গাইডলাইন এ টু জেড)
- সোশ্যাল প্রোফাইল
- ফোরাম প্রোফাইল
- অথোরিটি ওয়েবসাইট পোস্ট
- ওয়েব ২.০
- গেস্ট পোস্ট
আমাদের মূল ব্যাপার হচ্ছে একটা প্ল্যান। একটা নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে বন্দি করা বা লিস্ট করা এক প্ল্যান, সাজানো-গোছানো।
অন-পেজ এসইও এ টু জেড
একটা নিস সাইটের সাকসেস সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে অন-পেজ এসইও (On Page SEO) বেশিরভাগ ভাই ব্রাদার যে ভুলটা করেন সেটা হচ্ছে- নিস সাইটে আর্টিক্যাল দিয়ে ব্যাকলিংক শুরু করা। যতো বেশি ব্যাকলিংক র্যাংক (Google Rank) হওয়ার পরিমাণ ততো বেশি – এটাই মনে করেন অনেকে। আসলে এটা অনেক বড় ভুল, একটা নিস সাইটের অনপেজ ঠিক না করে অফপেজ তথা লিংক বিল্ডিং শুরু করা ।
নিশ সিলেকশন
অ্যামাজন এফিলিয়েট নিশ সাইট শুরু করার জন্য সবচেয়ে জরুরী একটা অধ্যায় হচ্ছে একটা আইডিয়া পাওয়া। এখানে একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার সাকসেস এর পরিমাণ ৫০ পার্সেন্ট ও কমিয়ে দিতে পারে। আর এটার জন্য ব্রেইনস্টর্মিং গুরুত্বপূর্ণ । একটা অ্যামাজন নিশ সাইট সুন্দরভাবে করার জন্য প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হচ্ছে- একটা সুন্দর নিস খোঁজে বের করা। এমন নিশ নিয়ে কাজ করা উচিৎ যেটা নিয়ে আপনার আগ্রহ ও আইডিয়া আছে। মানে যে বিষয়টার উপর আপনার এক্সপার্টিজ আছে, সে বিষয়ে নিশ সিলেক্ট করতে হবে। বিগেনার হিসেবে শুরুর দিকে আপনি কম কম্পিটিশন এমন ছোট একটা নিশ নিয়ে আগাতে পারেন।
আমাদের প্রজেক্টকে সাক্সেসফুল করার জন্য রিসার্চ চালিয়ে যাব এবং কিওয়ার্ডসহ কয়েকটি নিশ টার্গেট করব। এরপর যেটা বেস্ট মনে হবে ঐ নিশটা নিয়ে কাজ করব/ প্রজেক্ট স্টার্ট করব।
যে নিশ কাজ করার জন্য উপর্যুক্ত মনে হবে সেটার জন্য Total Keywords: ২০+ টা টার্গেট করবে।
যাহোক, নিস সিলেকশন আসলে অনেক সময় সাপেক্ষ একটা কাজ। বিশেষ করে স্বল্প বা আন টাচ নিস খোঁজে বের করা আসলেই টাফ কাজ একটা। তাই এখানে আপনি একটা কাজ করতে পারেন- স্বল্প টাচ নিস নিয়েও কাজ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কীওয়ার্ড রিসার্চে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে লো-কমপিটিটিভ কীওয়ার্ড খোঁজে বের করার জন্য।
কিওয়ার্ড রিসার্চ ও কম্পিটিটর এনালাইসিসঃ
সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল এবং পরিশ্রমের কাজ হচ্ছে কীওয়ার্ড এবং কমপিটিটর রিসার্চ। এখানে সামান্য ভুল হলে আপনার নিস সাইট সাকসেসের মুখ দেখবে বলে মনে হয় না। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ভুল মানে আপনার পুরো প্রজেক্ট ভুল। অর্থাৎ আপনি আমাজন যে নিশ সাইট তৈরি করবেন,সেটার পেছনে যে অর্থ ও শ্রম দিবেন সেটার পুরোটা জলাঞ্জলি দিতে হবে যদি আপনার কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ভুল হয়।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ১-২ মাস সময় দেন, ভাল একটা নিশ সাইট/ কি-ওয়ার্ড খুজে বের করেন। তাহলে পরবর্তীতে কম পরিশ্রম করেও ভাল ফলাফল পাবেন।
লো সার্চ ভলিউম গুলোকে অবহেলা না করে ভবিষ্যৎ এ ট্রেন্ডিং এ থাকতে পারে এমন কি-ওয়ার্ড নিয়েও আগানো যেতে পারে। এজন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ ও কম্পিটিটর এনালাইসিসে যে টুলসগুলো আমরা সাধারণত ব্যবহার করি যেমনঃ-
- গুগল কিওয়ার্ড প্লানার (https://adwords.google.com/ko/KeywordPlanner/Home?): ফ্রী ।
- সেমরাস (https://www.semrush.com/): পেইড ।
- আহ্রেফ(https://ahrefs.com/) :পেইড ।
- কিওয়ার্ড ফাইনডার (https://kwfinder.com/) :পেইড ।
- স্পাইফু (https://www.spyfu.com/) :পেইড ।
- গুগল ট্রেনড (https://trends.google.com/trends/) : ফ্রী ।
- ম্যাজেসটিক (https://majestic.com/):পেইড।
- লং টেল প্রো (https://longtailpro.com/):পেইড।
- মার্কেট সামুরাই (http://www.marketsamurai.com/):পেইড।
- কিওয়ার্ড এভরিহ্যায়ার (https://keywordseverywhere.com/): পেইড।
কমপিটিটর এনালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। মেইন কিওয়ার্ড এর রিলেটেড কিওয়ার্ড পেতে keywordtool.io বেশ ভালো কাজ দেয়। মনে রাখবেন নিশ সিলেকশন ও কিওয়ার্ড রিসার্চ দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ ধাপ এবং একে অন্যের সাথে জড়িত। সুতরাং এ কাজগুলো খুব ভালো ভাবে করতে হবে।
পারসোনালি আমি লো সার্চ ভলিউম এবং লো কমপিটিটর কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করি। যাইহোক ব্যক্তিগতভাবে কিওয়ার্ডে কয়েকটা গুণ না থাকলে সেটাকে আমি কিওয়ার্ড হিসেবে কাউন্ট করিনা, যেমন সার্চ ভলিউম, অর্থবোধক, প্রশ্নবোধক ও প্রয়োজনীয় । এ বিষয়ে বিস্তারিত নিস সাইটের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ – এখানে পাবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চে , এখানে পুরো একটা মাস সময় দেবেন। এবং প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন। এভাবে যদি কীওয়ার্ড রিসার্চে একমাস সময় দেন, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু কীওয়ার্ড পাবেন। আমি পরামর্শ দেবো- প্রথমে মানি কীওয়ার্ড এবং পরে সেগুলোর প্রেক্ষিতে ইনফরমেটিভ কীওয়ার্ড খুঁজবেন।
অনপেজ এসইও ফ্যাক্টরগুলো
চলুন শুরু করি, অনপেজ এসইও ফ্যাক্টরগুলো হচ্ছে,
কীওয়ার্ডঃ অনপেজের প্রধান বিষয় হচ্ছে কীওয়ার্ড। একটা সময় ছিলো যখন একটা আর্টিক্যালে কীওয়ার্ড যতো বেশি ব্যবহার করা হবে, ততই ভালো ছিলো র্যাংক করার জন্য। কিন্তু গুগল র্যাংক ব্রেইন আপডেট আসার পর এই রেশিও সিস্টেমও “রহিত” হয়ে গেলো। দেখা গেলো, গুগল এখন আর ফোকাস কীওয়ার্ড টার্গেট করে একটা আর্টিক্যালকে র্যাংক দেয় না। সম্পূর্ণটাই চলে গেছে অডিয়েন্সের চাহিদা/আগ্রহরে উপর।
পারমালিংক/আর্টিক্যাল ইউআরএলঃ আর্টিক্যালটার পারমালিংক বা ইউআরএলটা অবশ্যই এসইও-ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
মেটা ডেসক্রিপশনঃ যেই কিওয়ার্ডের উপর পুরো আর্টিকেল অপটিমাইজ তা ভেরি ফার্স্ট বাক্যে ব্যবহার করা ভালো। রিডেবল রাখতে হবে। কিওয়ার্ড স্টাফিং করবেন না। কাস্টোমার মনের মধ্যে দুইটা প্রশ্ন নিয়ে আমাদের পেইজে ক্লিক করবে- এই পেইজ কি অফার করে এবং কেন আমার ভিজিট করা উচিত? আপনি এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর মেটা ডেস্ক্রিপশনে দিয়ে দিন।
ইউআরএলের দৈর্ঘ্যঃ যতো শর্ট হবে এটা, ততোই এসইও-ফ্রেন্ডলি হয় । অভিজ্ঞতা বলে এখানে কীওয়ার্ডটাকে রাখলে ভালো। আপনার কীওয়ার্ড যদি হয় “বেস্ট মডেল বাংলাদেশ” তাহলে ফুল ইউআরএল হতে পারে এরকম: https://yourdomain.com/বেস্ট-মডেল-বাংলাদেশ/।
এইচ-ট্যাগের ব্যবহারঃ এইচ ট্যাগের ব্যবহারটা ক্লিয়ার হতে আমরা একটা উদাহরণ দিতে পারি। ধরুন, আপনি বিড়াল নিয়ে একটা আর্টিক্যাল লিখবেন। আর্টিক্যালের টাইটেল হতে পারে: বাংলাদেশের বিড়ালদের যে জন্য আমি ভালোবাসি।
এই টাইটেলটা অটোমেটিক ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো সাইটে H1 ট্যাগে নিয়ে নেয়।
অর্থাৎ আর্টিক্যালের ভেতরে আমরা H2 ট্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করি।
তাহলে আর্টিক্যালের কোথায় কোন ট্যাগ বসবে সেটা দেখা যাক।
তো, বিড়ালের যদি আপনি ক্যাটাগরাইজড করেন, তাহলে কীভাবে করবেন?
— সাদা বিড়াল (সাব-টাইটেল: সাদা বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা)
— কালো বিড়াল (সাব-টাইটেল: কালো বিড়ালের প্রতি হিংসা)
এই দুইটা অবশ্যই হবে H2 ট্যাগ।
যদি এরকম সাব-টাইটেল ইউজ করেন: টপ টেন ভালোবাসাময় সাদা বিড়াল, তাহলে এটাও H2 হবে।
এখন যদি এভাবে সাব-টাইটের দেন: ঢাকা জেলার সাদা বিড়া্লের প্রতি ভালোবাসা, এটা হয়ে যাবে H3 ট্যাগে।
যদি দেন সাব-টাইটেল: ধানমণ্ডি এলাকার সাদা বিড়াল কেমন? – এটাকে H4 ইউজ করতে পারেন।
ব্যাপারাটাকে আপনাদের বোধগম্য করাতে পেরেছি? অর্থাৎ মূল টপিক থেকে যতো ভেতরে/গভীরে যেতে থাকবেন H-এর পাওয়ার দুর্বল হবে।
এক্সটার্নাল লিংকঃ এক্সটার্নাল লিংকের জন্য উইকিপিডিয়া, গুগল স্কলার কিংবা ইউএস রিসার্চ সেন্টার রিলেটেড কোনো সাইট যেন হয়।
এমন কোনো সাইটকে এক্সটার্নাল লিংক না দেয়াই বেটার যারা আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ইউজ করে তাদের সাইটে। এবং অবশ্যই এই এক্সটার্নাল অথোরিটি লিংকটা ডুফলো রাখবেন।
ইন্টারনাল লিংক (Enternal Link ) সিলোঃ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ইন্টারলিংক। একটা সাইটের সিমিলার আর্টিক্যালগুলো পরস্পরের সাথে লিংক করে এটা করা হয়। যদি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি ফলো করে নির্দিষ্ট নিয়মে ইন্টারলিংক করা হয় তাহলে সেটা একটা আলাদা অর্থ হয়- সিলো বলা হয় একে। ইন্টারলিংক করার জন্য দু’টো পদ্ধতি অবলম্বন করি। ১। ইনফো আর্টিক্যাল থেকে বায়িং গাইডকে লিংক দেই আবার ২। ইনফো এবং বায়িং গাইড পরস্পরকে লিংকআপ করি।
যা-ই করেন না কেন, একটা বিষয় দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটা হচ্ছে- ইন্টারলিংক করার ক্ষেত্রেও অ্যাংকর টেক্সট ভেরিয়েশন রাখতে হয়। এক্সাক্ট ম্যাচ কীওয়ার্ডকে অ্যাংকর টেক্সট হিসেবে ইউজ না করাই ভালো। কারণ গুগল এই বিষয়টা পছন্দ করে না। ইন্টারলিংকের অ্যাংকর টেক্সট তাই অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করে দিতে হবে।
ইমেজ অল্টার ট্যাগঃ অনপেজে অনেকেই এই ভুলটা করে থাকেন। সাইটে ইমেজ ব্যবহার করেন কিন্তু সেটাতে অল্টার ট্যাগ ইউজ করেন না। অল্টার ট্যাগ ইউজ করা অত্যন্ত জরুরি। ছোট্ট এই কাজটা না করলে সার্চ ইঞ্জিন এখানে বড় ধরণের এরর শো করে।
স্পীড অপটিমাইজেশনঃ একটা গুরুত্বপূর্ণ এসইও ফ্যাক্টর হচ্ছে সাইটের স্পীড। সাইটের স্পীড ভালো না হলে সেটা র্যাংকিংয়ে প্রভাব পড়ে। এজন্য অবশ্যই ভালো মানের হোস্টিং নিস সাইটের জন্য দরকার। তবে এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, সাইটের স্পীড শুধুমাত্র হোস্টিংয়ের উপর নির্ভর করে না। আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
এস এস এলঃ এটা একটা এসইও ফ্যাক্টর। সুতরাং অব্যশই আপনার ডোমেইনে এসএসএল একটিভ করা থাকতে হবে। উল্লেখ্য, এসএসএল বিষয়টা হোস্টিং রিলেটেড। এখন বেশিরভাগ হোস্টিং কোম্পানীই এসএসএল ফ্রি অফার করে। সুতরাং হোস্টিং কেনার সময় এই বিষয়টা অবশ্যই চেক করবেন।
রিডিং ফ্রেন্ডলি আর্টিক্যালঃ আর্টিক্যালটা কতটা গ্রামার এরর ফ্রি সেটার চেয়ে আর্টিক্যালটা পড়তে কেমন লাগছে, অডিয়েন্স আর্টিক্যালটা পড়ে বুঝতে পারছেন কিনা, সহজবোধ্য কিনা সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
টেবিল অব কনটেন্টঃ আমি সবসময়েই আমার আর্টিক্যালের জন্য কনটেন্ট টেবিল ম্যানুয়ালি ক্রিয়েট করি। অনেক হিসেব নিকেশ করে। অনেক সময় দিয়ে। কোনো প্লাগিন ইউজ করি না।
আর্টিকেল প্ল্যান, ইনস্ট্রাকশন রেডি এবং অর্ডার
যদি কীওয়ার্ড ফাইনাল হয়ে যায়, তাহলে এবার আর্টিক্যাল প্ল্যানটা করে ফেলবেন। প্ল্যানে থাকবে কোন কীওয়ার্ড কীভাবে ইউজ করবেন, কতগুলো আর্টিক্যাল সাইটে দেবেন, কীভাবে সিলো স্ট্রাকচার করবেন ইত্যাদি। ইনস্ট্রাকশন রেডি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। যে টপিকে লিখতে দেবেন রাইটারকে সেই টপিক নিয়ে আপনাকে প্রচুর রিসার্চ করতে হবে, পড়তে হবে। তাহলে আপনি সহজেই ধরতে পারবেন আপনার কমপিটিটরের সাইটে কী নাই আর আপনার সাইটে কী দিতে হবে এক্সট্রা। এটা খুবই জরুরী /গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় প্রেফার করি ১:৩ অনুপাতে মানি এবং ইনফো আর্টিকেল সাইটে দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ একটা মানে আর্টিকেল সাইটে দিলে তিনটা ইনফো আর্টিকেল দিতে হবে। মানি আর্টিকেল এর জন্য আমাজনের প্রোডাক্ট সিলেকশন আরেকটা জরুরি। মিনিমাম তিনটা এবং ম্যাক্সিমাম ১০টা প্রোডাক্ট আমাজন থেকে চুজ করে নেয়া ভালো। সেগুলোও ইনস্ট্রাকশনে আপনাকে এড করে দিতে হবে। আরো কয়েকটি জিনিস আছে যেমন- ইমেজ, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি। একটা বড় অধ্যায় হচ্ছে ইমেজ ভালো হয় যদি পেট ইমেজ ইউজ করতে পারেন। সেজন্য শাটারস্টক এবং ডিপোজিটফটোজ হচ্ছে বেস্ট অপশন। যেহেতু এই লেখা টি একটি গাইডলাইন (নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন) তাই এখানে আর্টিকেল কিংবা কনটেন্ট নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না। এ বিষয়ে কনটেন্ট এর আদ্যোপান্ত এখানে বিস্তারিত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
নিস সাইট ডিজাইন
অ্যামাজন নিশ সাইট ডিজাইন নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর আদৌ দরকার নেই। সাইট যতো হালকা-পাতলা হবে ততই ভালো। সিম্পল ইজ দা বেস্ট সলিউশন তাই সবসময় সিম্পল ডিজাইন রাখেন। ডিজাইনের চেয়ে কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর ভুলে গেলে চলবে না, নিস সাইট সবসময় নিট এন্ড ক্লিন রাখবেন। অবশ্যই লাইটওয়েট। সেটার জন্য অবশ্য ধীরে ধীরে কাজ করতে হবে। সাইটে মোটামুটি ৭০% আর্টিক্যাল দেয়া হয়ে গেলে সাইট ডিজাইনের দ্বিতীয় ধাপে বসবেন। তখন সাইটের খুটিনাটি বিষয়, স্পীড, রেসপনসিভ, এইচটিএমএল এরর ফিক্সিং… ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখবেন। শুরুতে ডিজাইন, পেইড থিম, পেইড প্লাগিন ইউজ না করে ফ্রি থিম ও প্লাগিন ইউজ করুন। সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।
নিশ সাইটের জন্য আমার পছন্দের প্লাগিন ও থিম গুলো
থিম এবং প্লাগিন এর ব্যাপারে কিছু নেট চালু আছে, যেমন পেইড থিম এবং প্লাগিন না হলে সাইটের র্যাংকে প্রভাব পড়ে। একটি ভুল ধারণা, আমি অনেককেই জানি যারা নিশ সাইটে ফ্রী থিম ইউজ করে মাসে 3000 ডলার প্লাস ইনকাম করেন। থিম নিয়ে অযথা ক্যাচালের কিছু নেই। আপনি ইচ্ছা করলে ফ্রি থিম দিয়েও কাজ করতে পারবেন।
ফোকাসব্লগ – থ্রাইভ থিমসের এই থিমটি একই সাথে লাইটওয়েট, এসইও ফ্রেন্ডলি এবং দৃষ্টিনন্দন। অতিমাত্রায় নান্দনিকতা নেই, তাই বেশ সিম্পল হলেও এটা আমার পছন্দের থিম।
জেনেসিস থিম – এই থিমটি প্রফেশনাল এফিলিয়েট সাইট বানানোর জন্য বেস্ট। তবে আপনি চাইলে অন্য কেউ ইউজ করতে পারেন।
হুরে থিম – থিমটি দেখতে সুন্দর। সাইটে প্রফেশনাল লুক দিতে চাইলে এই থিমটি দারুণ হেল্প করবে। এসইও ফ্রেন্ডলি ফিচারগুলো আমার পছন্দ।
জেনারেটপ্রেস (generatepress) – জেনারেটপ্রেস এর দু’টো ভার্সন, একটা সাধারণ কিছু ফিচার নিয়ে ফ্রি আর আরও বেশি ফিচার নিয়ে প্রিমিয়াম।
নতুন যারা শুরু করবেন তারা জেনারেটপ্রেস এর ফ্রি ভার্সনটি ব্যবহার করেই অনায়াসে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন।
এছাড়া ও Contentberg, Astra theme, Divi, Rehub, Heruld, Focusblog, Studiopress ইত্যাদি এ থিম গুলো থেকে পছন্দের যেকোনো ১টা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজেশন সহ অন্যান্য সকল প্রয়োজনে ওয়েবসাইট এ কিছু প্লাগিন ব্যবহার করতে হয়।
thrive architect: এই প্লাগিন দিয়ে খুব সহজেই সাইট ডিজাইন, বিভিন্ন ফর্ম, টেবিল তৈরি করা যায়।
Outbound Link Manager (আউটবাউন্ড লিঙ্ক ম্যানেজার): আপনার ওয়েবসাইট থেকে বাহিরে যে লিঙ্কগুলো যাবে সেগুলোকে বাছাই করে নোফলো করে দেয়ার জন্যে । শুধু অ্যামাজন আর অ্যামাজন এর ইউ আর এল শর্টেরনার এর লিঙ্ক এখানে দিয়ে নোফলো করে দিলেই হবে। বাকি আউটবাউন্ড লিঙ্কগুলো ডুফলো রাখতে পারেন। যেহেতু একই পেইজে অনেকগুলো অ্যামাজন এর অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে তাই এর সবগুলো ডুফলো থাকলে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাই নোফলো করে দেয়া প্রয়োজন।
Schema – All In One Schema Rich Snippets (অল ইন ওয়ান স্কিমা রিচ স্নিপেটস): আপনার ওয়েব সাইটের পোস্টের মধ্যে স্কিমা মার্কআপ ব্যবহার করতে চাইলে বেশ সহজেই এই প্লাগইন দিয়ে সেটি করা যাবে। খুব বেশি কাস্টোমাইজেশন করার সুযোগ নেই, কিন্তু বেসিক যা আছে, তা দিয়েও কাজ চালানো যাবে
Updraftplus: এ প্লাগিন দিয়ে wordpress সাইটকে ড্রাইভে বা dropbox এ backup নেওয়া যায়।
WPBakery Page Builder: এটি দ্বারা আমি সাইট ডিজাইন করি, আমার ১টা ফেভারিট প্লাগিন।
Yoast SEO (ইয়োস্ট এসইও): অন পেইজ এসইওর বেসিক সবগুলো বিষয় খুব সহজেই মেইনটেইন করতে চাইলে ইয়োস্ট এসইও সবচেয়ে দারুণ একটি টুল। এটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। এটি যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্যে লাগবেই এমনই একটি প্লাগইন।
TablePress (টেবিল প্রেস): সুন্দর ও কার্যকরী প্রোডাক্ট কম্পারিজন টেবিল তৈরি করার জন্য খুব ভালো একটি প্লাগইন। এছাড়া Shortcodes Ultimate প্লাগিন এর সাহায্যে কিছু শর্ট কোড ইউজ করে আর্টিকেলটা সাজিয়ে নিতে পারি।
ডোমেইন ও হোস্টিং নির্বাচন
ডোমেইন ও হোস্টিং এর ব্যাপারটা ইচ্ছে করেই অনেক পরে দিলাম। কারন আমার কাছে মনে হয়, ডোমেইন-হোষ্টিং নিয়ে এখানে না লেখে সময় পেলে পরে বিস্তারিত লাগবে ইনশাআল্লাহ।
যারা জানেন না ডোমেইন ও হোস্টিং কি জিনিস, খায় না মাথায় দেয়; তাদের জন্যে, নিশ সাইটের – ডোমেইন হোস্টিং ..
তবে ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। যেমন – আমি সবসময়েই ফ্রেশ ডোমেইন নিয়ে কাজ পছন্দের করি। আমি নতুনদের অবশ্যই অবশ্যই ফ্রেশ ডোমেইন নিয়ে কাজ করার জন্যে উৎসাহিত করবো। https://www.achieve.org এই সাইট থেকে চেক করে শিউর হয়ে নেব যে সিলেক্ট করা ডোমেইনটা expire domain কিনা expire domain না কেনাই বেটার যদি রিস্ক/এত এক্সপার্টলি রিসার্চ ঝামেলায় না যেতে চান। আর ডোমেইন সিলেকশনের সময় অবশ্যই ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন নেয়ার বিষয়টা মাথায় রাখবেন।
নিস সাইট বিজনেসে ওয়েব হোস্টিং একটা বড় ইস্যু। যদি আপনার সাইট ডাউন থাকে যদি সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইট ভিজিট এ ব্যর্থ হয়, আপনার র্যংকিং তখন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমান সময়ে এই ইস্যুটা আরও বড় আকারে দেখা দিয়েছে যখন থেকে সাইটের স্পীডও র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।
আর্টিকেল পাবলিশ উইথ প্রোপার স্ট্রাকচার
আর্টিক্যালের কথা আসলেই প্রথমে যে কথাটা আসে, সেটা হচ্ছে- কনটেন্ট ইজ কিং। তাই অনেকে নেটিভ নেটিভ করে চিল্লান। বিষয়টা নেটিভ রিলেটেড না। আর্টিক্যাল কোয়ালিটি বলতে এখানে বলা হচ্ছে না যে, লেখাটা নেটিভ রাইটার দ্বারা লেখাতে হবে। নাহ, বিষয়টা এমন না। কোয়ালিটি আর্টিক্যাল বলতে বুঝানো হয়েছে- লেখাটা সুখপাঠ্য হতে হবে। লেখাটা হবে সহজবোধ্য এবং রিডারফ্রেন্ডলি। এটাকেই বলবো কোয়ালিটি আর্টিক্যাল। কোয়ালিটি মানে হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্রের ব্যাখ্যা দেয়ার মতো। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন- “যাহা পড়িবামাত্রই বুঝতে পারা যায় তাহাই উৎকৃষ্ট রচনা”। শুধু কঠিন-কঠিন শব্দ দিয়ে নির্ভুল বাক্য রচনা করে গেলেই হয় না। তো এই বিষয়টা মাথায় রাখতে পারলে আপনার সাইট পজেটিভ দিকে মুভ নিতে দেরি হবে না। আর কনভার্সন রেটও হবে খুব ভালো।
আমাকে এক বড় ভাই বলছিলো, “একজন মোটামুটি মানের লেখক/রাইটারকে ভালোভাবে ইনস্ট্রাকশন দিয়েও ভালো মানের আর্টিক্যাল পাওয়া সম্ভব।”
সাইটে আর্টিক্যাল পাবলিশ করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই ধৈর্য্য নিয়ে আস্তে আস্তে করতে হয়। আর্টিক্যাল হাতে পাওয়ার পর প্রথমে একটু পড়বেন। যদি দেখেন সুখপাঠ্য তাহলে পুরো আর্টিক্যালটা এক নজর দেখে নিয়ে smallseotools, Grammarly ও কপিস্কেপ প্রিমিয়াম দিয়ে চেক করে নেবেন।
একটা আর্টিক্যালের শুরুতে একটা ইন্ট্রু থাকে। যেটা ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা ভালো। এই ১৫০ ওয়ার্ড লেখা দিয়ে অডিয়েন্স প্রয়োজনীয় ইমেজ দেবেন আর্টিক্যালে। বড় প্যারাগ্রাফগুলো ভেঙে ছোট করে দেবেন। কে অবশ্যই আর্টিক্যালের ভেতরে নিয়ে যেতে বাধ্য করতে হবে।
আর্টিক্যালের দৈর্ঘ্যঃ আর্টিক্যালের দৈর্ঘ্যটা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ হয় না। এটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে আপনার সিলেক্টেড কীওয়ার্ডের উপর। ধরুন, আপনার যে কীওয়ার্ড, সেটাতে ঐরকম তথ্যই নাই। তো অযথা সেই কীওয়ার্ড দিয়ে পাঁচ হাজার ওয়ার্ড লেখার তো কিছু নাই। ঘুরেফিরে একই কথা চলে আসবে।
প্রোপার সাইলো স্ট্রাকচার বিল্ড আপ
প্রাইমারি আর্টিক্যাল পাবলিশ হয়ে গেলে ক্যাটাগরিওয়াইজড একটা সিলো স্ট্রাকচার বিল্ডআপ করে ফেলবেন। সহজ বাংলায় – সিমিলার ক্যাটাগরির আর্টিক্যালগুলোকে ইন্টারলিংকিংয়ের মাধ্যমে একটা বন্ধন তৈরি করা। এটা একেকজন একেকভাবে করে থাকেন। এখানে মানি আর্টিক্যাল এবং ইনফো আর্টিক্যালের রেশিও দেখানো হয়েছে ২৫% :: ৭৫%।
তো যে বিষয়টা খেয়াল করবেন সেটা হচ্ছে- ইন্টারলিংক করবেন ইনফো আর্টিক্যাল থেকে মানি আর্টিক্যালে। তাহলে মানি আর্টিক্যালের স্ট্রেংথ বাড়বে। পাওয়ার বেশি হবে। কিন্তু পারতপক্ষে মানি আর্টিক্যাল থেকে ইনফো আর্টিক্যালে ইন্টারলিংক করবেন না। যদি করতেই হয়, তাহলে সর্বোচ্চ একটা করবেন এবং সর্বোচ্চ রিলিভেন্সি বজায় রেখে।
রেগুলার কনটেন্ট আপডেট এবং এড
অনগোয়িং প্রসেস। সো এটাকে নির্দিষ্ট কোনো ধাপ বলা যাবে না। অর্থাৎ, এই ধাপের মানে হচ্ছে আপনার কাজ মোটামুটি কমপ্লিট। এখন সাইটের কন্টিনিউটি ধরে রাখার জন্য সাইটে রেগুলার কনটেন্ট দিতে হবে কিংবা পুরনো কনটেন্টগুলো আপডেট করতে হবে। কিংবা দু’টোই করতে পারেন।
নিশ ওয়েবসাইট মেইটেন্যান্স
এটাও অনগোয়িং প্রসেস। গুগলের রেগুলার আপডেট পড়া, সেই অনুযায়ী সাইটে পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন… ইত্যাদি ঠিকভাবে করা এই ধাপের প্রধানতম কাজ। এছাড়াও হোস্টিংয়ের প্রবলেম আছে কিনা, রেগুলার আপটাইম চেক করা, প্রোডাক্টগুলো আমাজনে এভেইলবেল কিনা… এগুলোও সাইট মেইনটেন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত।
অফ-পেজ – লিংক বিল্ডিং গাইডলাইন এ টু জেড
মূলত একটা সাইটের জন্য ব্যাকলিংক করাই হচ্ছে অফ পেজ এসইও। অফ পেজ এসইও কিভাবে করা হয়- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও, গ্রে হ্যাট এসইও এবং হোয়াইট গ্রে হ্যাট এসইও। আমরা কখনোই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করবো না। ধাপটা তখনই শুরু করবো যখন সাইটের অনপেজের কাজগুলো মোটামুটি কমপ্লিট। ডেসপারেটলি ব্যাকলিংক করে সাইট দ্রুত র্যাংক করতে চাইলে হীতে বিপরীত হয়- সাইট পেনাল্টি খায়। তাই এখন অফপেজের কাজগুলো করতে হয় ধীরে-সুস্থ্যে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক বেসিক লিংক বিল্ডিং লিস্টে আমি কি কি অন্তর্ভু্ক্ত করেছি।
- সোশ্যাল প্রোফাইল
- সোশ্যাল শেয়ার
- ব্লগ কমেন্ট
- ফোরাম প্রোফাইল
- অথরিটি প্রোফাইল
- অথোরিটি ওয়েবসাইট পোস্ট
- ওয়েব ২.০
তাহলে চলুন দেরি না করে এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক।
০১. সোশ্যাল প্রোফাইল
অ্যামাজন নিশ সাইট এর জন্য এটা কাজ দিবে ব্র্যান্ডিং এর জন্য। সোশ্যাল প্রোফাইল হচ্ছে- সোশ্যাল সাইটগুলোতে একাউন্ট ক্রিয়েট করা।
যেমন ট্যুইটারে একটা একাউন্ট ওপেন করলে ওখানে আপনার সাইটের জন্য একটা লিংক পাবেন। তেমনি ফেসবুকের পেজ, ইনস্টাগ্রাম, বিহ্যান্স, পিনটারেস্ট… এরকম অনেক সোশ্যাল সাইট আছে।
এসবের প্রত্যেকটা সাইট থেকেই একটা করে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় একাউন্ট ওপেন করলেই। এগুলোকেই আমি বলছি সোশ্যাল প্রোফাইল। এগুলো খুব পাওয়ারফুল নয়, আগেই বলে রাখছি। তবে অ্যাংকর ভেরিয়েশনে দরকার হয়।
আপনি মোটামুটি ১০-২৫টা সাইটে সোশ্যাল প্রোফাইল ক্রিয়েট করলেই এনাফ। গড়পড়তায় আমি আমার একটা সাইটের জন্য যে ১০-১২টা সোশ্যাল প্রোফাইল ক্রিয়েট করি সেগুলো হচ্ছে:-
- facebook.com (মূলত ফ্যানপেজ বানাই)
- twitter.com
- instagram.com
- behance.net
- pinterest.com
- Academia.edu
- Flickr.com
- reddit.com
- diigo.com
- linkedin.com
০২. সোশ্যাল শেয়ার
উপরে যেসব সোশ্যাল প্রোফাইল ক্রিয়েট করেছেন সেগুলোতে অবশ্যই আপনার সাইটের আর্টিক্যালগুলো শেয়ার করবেন। এটাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়, জাস্ট ভেরিয়েশন।
হয়তো খেয়াল করলে দেখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব সোশ্যাল শেয়ার ইনডেক্স হয় না। তবে করে রাখলে আস্তে আস্তে ইনডেক্স হয়, তখুনি এর ভ্যালুটা এড হয়।
আমি গুরুত্ব দিই পিনটারেস্ট, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক পেজকে। এই কয়েকটার মধ্যে ভালো করে হ্যাশট্যাগসহ শেয়ার দিলেই যথেষ্ট মনে করি।
০৩. ব্লগ কমেন্ট
আমার মনে হয় এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে একই সঙ্গে ব্লগ কমেন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ আবার ক্ষতিকরও।
অবশ্য ক্ষতিকর ব্যাপারটা যে অর্থে বলছি সেটা ব্যাকলিংকের সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ব্যাখ্যা করে বলছি, আশা করি বুঝতে পারবেন।
ফাইভার বা বিভিন্ন গ্রুপে খুঁজলেই দেখবেন পাঁচ ডলারে ১০০/৫০০ ডুফলো কমেন্ট পাওয়া যায়। অর্থাৎ এগুলোই হচ্ছে সাইটের ক্ষতির কারণ।
০৪. ফোরাম প্রোফাইল
ফোরাম প্রোফাইল ক্রিয়েট করার ক্ষেত্রে একেবারে নিস রিলেটেড না পেলে না করার পরামর্শ দেবো।
আর ফোরামে প্রোফাইল করেই বসে থাকবেন না। অবশ্যই সেখানে কিছু না কিছু একটিভিটিজ করবেন। নয়তো সিগনেচারে আপনার সাইট এড করতে পারবেন না।
দ্বিতীয় কথা হলো, একটিভিটিজ না থাকলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে, ডিজেবল করে দেয়া হতে পারে। তাই কিছু একটিভিটিজ অবশ্যই করবেন।
একটিভিটিজ বলতে, ফোরামের পোস্ট পড়বেন। কমেন্ট করবেন ইত্যাদি।
আর যদি থ্রেড ক্রিয়েট করার পারমিশন পান তাহলে তো সেটা অনেক ভালো। বড় আর্টিক্যাল লিখে অথোরিটি টাইপ ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করতে পারবেন সেখানে।
০৫. অথোরিটি প্রোফাইল
অনেকটা সোশ্যাল প্রোফাইলের মতোই। এখানেও প্রোফাইল ক্রিয়েট করলে একটা ব্যাকলিংক পাওয়া/নেয়া যায়।
একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন- প্রোফাইল থেকে সবসময় আপনার সাইটের হোমপেজের জন্য ব্যাকলিংক নেবেন। নয়তো প্রোফাইল অটো ডিলিট হয়ে যাবে।
নিম্নে অথোরিটি সাইটের একটা লিস্ট দেয়া হলো। সাধারণত আমি এই সাইটগুলোই ব্যবহার করি। এগুলো দ্রুত ইনডেক্স হয় এবং সহজে একসেসেবল।
- Quora.com
- dmca.com
- disqus.com
- about.me
- scoop.it
- wn.com
- medium.com
- buzzfeed.com
- gravatar.com
- paperblog.com
- bizcommunity.com
- wordpress.org
০৬. অথোরিটি ওয়েবসাইট পোস্ট
অথোরিটি ওয়েবসাইটে প্রোফাইল ক্রিয়েট করার সাথে সাথে সেখানে আর্টিক্যালও পাবলিশ করা যায়। এবং অনেক সময় এখান থেকে ডুফলো ব্যাকলিংকও পাওয়া যায় সহজে।
তবে বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ-ই নো-ইনডেক্স টাইপ লিংক দেয়। সুতরাং এই বিষয়টা খেয়াল করে নিতে হবে।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে- অথোরিটি ওয়েবসাইটের পোস্ট থেকে সবসময় ইনফো আর্টিক্যালের জন্য ব্যাকলিংক নেবেন। কিংবা হোম পেজের।
তবে যদি শিউর থাকেন যে সাইটটা ভালো, ইনডেক্সেবল, তাহলে মানি আর্টিক্যালের জন্যও নিতে পারেন।
এখানে যে আর্টিক্যাল পাবলিশ করবেন, সেটা যেন স্পিন না হয়। চেষ্টা করবেন ভালো মানের আর্টিক্যাল দেয়ার জন্য। আর্টিক্যালের লেংথ কমপক্ষে ৫০০ শব্দের দেবেন। বেশি হলে আরও ভালো। অথোরিটি সাইট ভালো মানের আর্টিক্যাল পেলে সেটাকে ফিচার্ড করে দেয়।
০৭. ওয়েব ২.০
অনেকেই মনে করেন বর্তমান সময়ে ওয়েব ২.০ থেকে নেয়া ব্যাকলিংক তেমন কাজের নয়। আমি শিউর নই এই বিষয়টাতে। সত্য হলেও হতে পারে। কিন্তু আমি এমনও ওয়েব ২.০ সাইট দেখেছি যেটা থেকে ব্যাকলিংক অনেকটা গেস্টপোস্টের মতো ভ্যালু/জুস দিয়েছে।
তবে অ্যাংকর টেক্সট এবং লিংক ভেরিয়েশনের জন্য ওয়েব ২.০-এর বিকল্প নেই বলেই আমার মনে হয়। ভালো মানের ওয়েব ২.০ থেকে ভালো আর্টিক্যাল দিয়ে ব্যাকলিংক করা অনেক ভালো বলেই মনে করি।
তবে সমস্যা হলো, বর্তমান সময়ে অনেক ওয়েব ২.০-ই সহজে ইনডেক্স হতে চায় না। আর গুগলে ইনডেক্স না হলে সেই ব্যাকলিংকের যে কোনো ভ্যালু নেই সেটা তো আমরা জানি।
তাই ভালো করে ওয়েব ২.০ বানাতে হবে। কোথাও থেকে সার্ভিস নিতে হলেও খোঁজ-খবর নিয়ে নিতে হবে।
উল্লেখযোগ্য ওয়েব ২.০ হচ্ছে:-
- wordpress.com
- tumblr.com
- blogspot.com
- yola.com
- quora.com
- soup.io
- sites.google.com
- weebly.com
- hubpages.com
- pen.io
আমি মোটামুটি এই লিস্টটাই ফলো করি। এখানে ডেডিকেটেড করে লিস্ট দেয়ার মূল কারণই হচ্ছে- অনেকে ইনবক্স করে জানতে চান যে বর্তমানে কোন ওয়েব ২.০ সাইটগুলো কাজ করে? আসলে সেভাবে বলতে গেলে কোনোটাই কাজ করে না আবার সবই কাজ করে। অর্থাৎ আপনি কেমন করে ওয়েব ২.০ সাইটগুলো বানাচ্ছেন সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
না, ওয়েব ২.০ সাইট বানানোর জন্য আলাদা প্রক্সি বা আইপি ইউজ করার দরকার নেই। স্বাভাবিক ব্রাউজার ইউজ করে বানালেই চলবে। অনেকে আবার বলেন একটা গুগল/জিমেইল দিয়ে সবগুলো ওয়েব ২.০ সাইট বানালে গুগল ফুটনোট বুঝতে পারে। আমি বলবো এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও যদি আপনার মনে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি হটমেইল কিংবা ইয়াহু মেইল ইউজ করে একাউন্ট ক্রিয়েশন করতে পারেন। কিন্তু আমি প্রয়োজন দেখি না।
গেস্টপোস্ট এবং এডিট লিংকস
গেস্ট পোস্ট হচ্ছে আপনার রিলেভেন্ট সাইট/ নিস থেকে আর্টিকেল দিয়ে লিংক নেয়া। এডিট লিংকসটা হলো- এক্সিসটিং একটা পোস্ট থেকে লিংক নেয়। এই পদ্ধতি ফলো করার জন্য আপনি খোঁজে বের করবেন আপনার মানি আর্টিক্যালের রিলেটেড ইনফো আর্টিক্যাল। তারপর সাইট অউনারকে অফার করবেন আপনার আর্টিক্যালটি ঐ পোস্টে লিংক করার জন্য কারণ আপনারটা বেশি ইনফরমেটিভ এবং ভ্যালুয়েবল।
নিস সাইট প্ল্যান: টাইমলাইন
এতোক্ষণ প্ল্যানিংয়ের ধাপসমূহ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। অ্যামাজন নিশ সাইট এর জন্য এবার ধাপগুলো কাজে লাগিয়ে কিংবা ধাপগুলো সম্পাদন করার জন্য একটা টাইম ফ্রেম বেধে দেয়া হবে। এটাই হচ্ছে মূল প্ল্যানিং।
- প্রথম মাস: নিস আইডিয়া সিলেক্ট + ডোমেইন ও হোস্টিং কেনা + কীওয়ার্ড রিসার্চ ও কম্পিটিটর এনালাইসিসে কম পক্ষে ১ মাস। সময় থাকলে ২ মাস ও সময় নেওয়া ভালো।
- দ্বিতীয় মাস: আর্টিক্যাল ইনস্ট্রাকশন রেডি এবং অর্ডার প্লেসড + ওয়েবসাইট ডিজাইন + মিনিমাম ২-৬ টি মানি আর্টিক্যাল পাবলিশ।
- তৃতীয় মাস: মিনিমাম ১০-১৫টি ইনফরমেটিভ আর্টিক্যাল পাবলিশ + ৫টি করে সোশ্যাল প্রোফাইল এবং অথোরিটি প্রোফাইল ক্রিয়েশন এবং হোমপেজ ব্যাকলিংক করা + গুগল ওয়েব মাস্টার সেটাপ + সাইটম্যাপ সাবমিট + গুগল এনালাইটিকস সেটাপ + কিছু সোশ্যাল শেয়ার + কিছু ব্লগ কমেন্ট।
- চতুর্থ মাস: রেশিও ফলো করে আরও মানি আর্টিক্যাল এবং ইনফো আর্টিক্যাল পাবলিশ + ১০টি সোশ্যাল প্রোফাইল এবং ২০টি অথোরিটি প্রোফাইল ক্রিয়েশন এবং হোমপেজ ব্যাকলিংক করা + কিছু ব্লগ কমেন্ট।
- পঞ্চম মাস: আর্টিক্যালগুলো আপডেট (আপডেটের কাজ প্রতিমাসে করা ভালো। বিশেষ করে মানি আর্টিক্যালগুলো) + সাইটের আর্টিক্যালগুলোর সোশ্যাল শেয়ার। উল্লেখ্য, সাইটে মোটামুটি আর্টিক্যাল দেয়া হয়ে গেলেই সোশ্যাল শেয়ার রেগুলার করতে হবে। একসাথে সবগুলো আর্টিক্যাল শেয়ার না দিয়ে নিয়ম করে অল্প অল্প শেয়ার করা ভালো ।
- ষষ্ঠ মাস: বাছাইকৃত ১০টা ওয়েব ২.০ সাইটে ১০টা ওয়েব ২.০ ব্লগ বানান। প্রতিটা ব্লগকে টায়ার টু করতে পারেন। তারপর প্রতিটা ব্লগ থেকে আপনার সাইটকে লিংক দিন। অধিকতর নিরাপদ থাকার জন্য মানি আর্টিক্যাল, ইনফো আর্টিক্যাল এবং হোমপেজকে রেশিও ধরে লিংক দিন + মূল সাইটের আর্টিক্যাল সোশ্যাল শেয়ার করতে ভুলবেন না + ব্লগ কমেন্ট।
- সপ্তম মাস: এই মাস থেকে গেস্টপোস্ট শুরু করতে হবে। গেস্ট পোস্ট করবেন খুবই ধীরে ধীরে। প্রতি মাসে হোম পেজের জন্য ম্যাক্সিমাম ২টা (যদি হোম পেজের জন্য গেস্ট পোস্ট করেন হবে) এবং মানি আর্টিকেল এর জন্য সর্বোচ্চ ২টা।
- অষ্টম মাস: প্রথম ফলোআপ- প্রথমবারের মতো সাইটের ফলোআপ লক্ষ্য করুন। অর্থাৎ গুগল ওয়েব মাস্টার টুলস, গুগল এনালাইটিকস, এরেফস… ইত্যাদি টুলস দিয়ে সাইটের অবস্থান লক্ষ্য করুন। সার্ফফক্স বা এরকম টুলস দিয়ে কীওয়ার্ডগুলোর অবস্থান মনিটর করে দেখতে পারেন কী অবস্থা। এই মনিটরিংয়ের উপর নির্ভর করেই পরবর্তী প্রদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন সাইটে আরও কী পরিমাণ আর্টিক্যাল দিতে হবে, কতগুলো গেস্টপোস্ট করতে হবে, বেসিক লিংক বিল্ডিং আর লাগবে কিনা, কীওয়ার্ড এবং আর্টিক্যালের অবস্থান কতটুকু পজিটিভ ইত্যাদি ইত্যাদি।
- নবম মাস: গত মাসে ফলোআপ করে যে রেজাল্ট পেয়েছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে এই মাস থেকে কাজ শুরু করবেন। যেমন- সাইটে আর কী পরিমাণ আর্টিক্যাল লাগবে এবং গেস্টপোস্টের সংখ্যা। তবে আমার মতে, আর্টিক্যাল প্ল্যানিংয়েই আর্টিক্যাল সংখ্যাটা ঠিক করে নেয়া ভালো। সুতরাং এই মাসে সেভাবে রেশিও হিসেব করে আর্টিক্যাল পাবলিশ + ২টা গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + ব্লগ কমেন্ট।
- দশম মাস: নতুন আর্টিক্যাল পাবলিশ + গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট। আপনার যদি এক্সিসটিং আমাজন এফিলিয়েট একাউন্ট থাকে তাহলে তৃতীয় মাসের শেষের দিকেই সাইটে এফিলিয়েট লিংক বসিয়ে দিতে পারেন। আর যদি আমাজন এফিলিয়েট একাউন্ট না থাকে তাহলে সাইটে অন্তত ৩০+ আর্টিক্যাল দিন এবং বেশিরভাগই ইনফো আর্টিক্যাল। আর তারপর সাইটে অন্তত মাসে ৫০০+ ট্রাফিক আসার জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর আমাজন একাউন্টের জন্য আবেদন করবেন। ইনশাআল্লাহ একাউন্ট দ্রুত এপ্রুভাল পাবেন।
- একাদশ মাস: নতুন আর্টিক্যাল পাবলিশ + গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকসর জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ঐ সময়েই চেক করতে হবে। প্রয়োজনে প্রোডাক্ট রিপ্লেস করতে হবে।
- দ্বাদশ মাস: আমার মনে হয়, উপরের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই মাসে এসে আপনি মোটামুটি শিউর হয়ে যেতে পারবেন সাইটটা নেক্সট কতদিনের মধ্যে ফ্লিপ করতে পারবেন। তবে সাধারণত ১২ মাসের মাথায়ই সেটা শিউর হওয়া যায়।
প্রশ্নঃ আপনি কি অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট এর কোন কাজ করেন? আমরা কি নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট কোন সার্ভিস কিনতে পারব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আমরা অ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট নিশ ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর সকল কাজ করি। আপনি সকল সার্ভিস কিনতে পারবেন ? – এই প্রশ্নের জবাব সহজে বলা যায় না । আবার হ্যাঁ , শর্ত সাপেক্ষে আপনি আমাদের সার্ভিস নিতে পারবেন। আমি বারবার বলি, শুধুমাত্র অর্থ দিয়ে এই সেক্টরে সফলতা পাওয়া সম্ভব না। সফল হতে হলে আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে অউন করতে হবে। গণহারে অ্যামাজন নিশ সাইট এর সার্ভিস কিংবা সিল করি নাই আবার করার কোনো ইচ্ছে নেই। তবে যদি প্রমাণ হয় আপনার আগ্রহ আছে, সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চান , কাজের ভ্যালু সম্পর্কে বুঝেন এই শর্তগুলো মানলে হয়তো আপনাকে আমরা সকল সার্ভিস দিব ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে সেটা আমাদেরকে জানাতে পারেন।।
ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, আপনারা সফলতা, অসফলতা, ব্যর্থতা, অর্থবিত্ত, প্রতিপত্তি… কোনটার পেছনেই না ঘুরেন। নিজের দক্ষতা বাড়ান যতোটা পারেন। ইনশাআল্লাহ অর্থ, সফলতা, ইনকাম, প্রতিপত্তি সবই আপনার দরজায় এসে ঠক-ঠক করে কড়া নাড়বে। তাই ইনকামও চিন্তা না করে, আপনার নিজের, টিমের দক্ষতা বাড়ান। ভালো কিছু করতে হলে পরিশ্রম করে যান। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাকে সাহায্য করেন যে নিজে নিজের সাহায্য করে।
আজ এ পর্যন্তই, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভালো থাকুন, ভালো রাখুন। হ্যাপি এফিলিয়েট মার্কেটিং!
আমার কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? (What is Amazon affiliate marketing) এবং কিভাবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করবেন সেই ব্যাপারে নিচে কিছু FAQ আকারে আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি।
প্যাসিভ ইনকাম কী?
প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি উপার্জন ব্যবস্থা যেখানে টাকা রোজগার করতে গেলে আমাদের সবসময় কাজ করতে হয় না বা যেটা করতে গেলে আপনাকে সবসময় এর সাথে লেগে থাকত হবে না। বাস্তবিক উদাহর হিসেবে বলা যায়, আপনি একটি বাড়ি বানালেন ভাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে। বাড়ি বানাতে আপনার সময়, শ্রম, ও অর্থ সবই দিতে হয়েছে। এবার মাসে মাসে আপনি ভাড়া পাচ্ছেন, কিন্তু আপনার ওই আয়ের জন্য আর কিছুই করতে হচ্ছে না। এটা অফলাইনে প্যাসিভ ইনকামের চমৎকার একটি উদাহরন। অনলাইনেও বিভিন্ন জনপ্রিয় প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং,এডসেন্স, অনলাইন কোর্স, ইবুক, স্টক ফটো, নিজস্ব ডিজিটাল প্রোডাক্ট ইত্যাদি। । প্যাসিভ ইনকাম করা যায় এমন ব্যবসাগুলির মধ্যে সবথেকে ভালো হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। পর্যাপ্ত রিসার্চ আর পরিশ্রম দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে একটি উন্নত প্যাসিভ ইঙ্কাম মাধ্যম। যখন আপনার একটি প্যাসিভ ইনকাম ব্যবস্থা থাকবে তখন আপনি থাকবেন স্বাধীন। ঝামেলা মুক্ত এক আনন্দময় জীবন আপনার জন্য। আপনি দীর্ঘ সমুদ্র ভ্রমণ করে আসতে পারেন।
অ্যামাজন এফিলিয়েট কেন করবেন?
আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন অনলাইন থেকে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা যায়? তার আগে বলে নেই, কেন আপনার অ্যামাজন এফিলিয়েট করা উচিত কারণ অ্যামাজন এফিলিয়েট হলো প্যাসিভ ইনকাম। এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আপনি যে কাজ করবেন। সেই কাজ গুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত করতে হবেনা। বরং কোনো একটা সময় এই কাজগুলো সম্পন্ন করলে পরবর্তীতে আপনার অটোমেটিক ইনকাম জেনারেট হতে থাকবে। প্যাসিভ ইনকামে কাজের স্বাধীনতার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আপনি অ্যামাজন এফিলিয়েট করার হিডেন ট্রিকস গুলো জানতে পারেন। তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তাই প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যেমে আপনার জীবন গড়তে আপনি অবশ্যই আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (What is Amazon Affiliate Marketing in Bangla) : ঘরে বসে আয় এটা কি সত্যি?
অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্ম যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এখানে আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। আপনি যদি একজন আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে হাজার ডলার ইনকাম করতে চান,তাহলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো। পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি ঘরে বসে আয়ের একটি উৎস হতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি অনলাইনে কোনো পণ্য বিক্রি করতে চাইলে সে প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের পণ্যের একটা লিংক দিবে। আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে কোন গ্রাহক যদি তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং পণ্য ক্রয় করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেবে। এই কমিশনের মাধ্যমে অর্থ আয় করার মাধ্যকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যামাজন এর মতো অনেক কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিপণনকারীদের এবং অনলাইন মার্কেটারদের কাছে একটি আকর্ষণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। বেশ কয়েকভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাজ শুরু করতে পারেন- সোশ্যাল সাইটে লিংকগুলো শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে, ল্যান্ডিং পেইজ তৈরির মাধ্যমে, ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে। সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ করা। তবে গতানুগতিক ওয়েবসাইট থেকে এ ওয়েবসাইটের ধরন একটু আলাদা হবে। এটাকে আমরা অ্যামাজন নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট বলি। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করা যায় এটা সত্যি তবে সে জন্য আপনাকে ভালো গাইড লাইন ফলো করে নিশ সাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
অ্যামাজন নিস সাইট তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়?
একটি অ্যামাজন এফিলিয়টে নিশ সাইট তৈরি করতে শুরুতেই আপনাকে একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে, এছাড়া ও নিচের কাজ গুলো করে নিতে হয়। যেমনঃ
সঠিক নিস রিসার্চ
কীওয়ার্ড রিসার্চ করা
প্রডাক্ট বাছাই করন
ডোমেইন-হোস্টিং কেনা
ওয়েবাসইট ডিজাইন করা (ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল)
অন পেইজ এসইও আর অফ পেইজ এসইও করা
আর্টিকেল, রিভিউ/কনটেন্ট পাবলিশ করা
ওয়েবসাইট র্যাংক করানোর জন্য SEO করা, ইত্যাদি।
নিশ কত প্রকার ও কি কি? (what is Niche In Bangla)
নিশ বলতে বুঝায়, কোন একটা টপিক বা ক্যাটাগরি অথবা টার্গেটেড কোনো কন্টেন্ট। আপনার ওয়েবসাইটটিতে কোন ক্যাটাগরির বা টপিকের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটাই নিশ। নির্বাচিত নিস সাইটে ভালো আর্টিকেল বা প্রোডাক্ট থাকতে হবে ও নিশের কন্টেন্ট গুলোর চাহিদা সারাবছর থাকতে হবে। নিশ সাধারনত ৩ প্রকার যথাঃ ব্রড নিশ (Broad Niche),মাইক্রো বা ন্যারো নিশ (Micro / Narrow Niche) ও স্পেসিফিক নিশ (যদি একটা সাইটে একটি টপিক নিয়ে কাজ করা হয় তাহলে সেই সাইটকে আমরা বলতে পারি স্পেসিফিক (Specific) নিশ সাইট। যেমনঃ doggy health) আবার যদি মাইক্রো বা ন্যারো (Micro / Narrow) নিশকে একাধিকবার ভেঙ্গে একটা ডোমেইন বা সাইটে একধিক ক্যাটেগরির টপিক নিয়ে কাজ করা হয় তখন সেই সাইটে বলা হয় মাল্টি নিশ সাইট। Niche কেন গুরুত্বপূর্ণ, নিশ কত প্রকার,নিস সাইট কি আশা করি এ প্রশ্নগুলো জবাব পেয়েছেন।
সহজেই কিভাবে নিশ সিলেক্ট করবেন? (How to select Niche in Bangla)
নিশ বলতে আমরা বুঝি কোন একটি টপিক বা ক্যাটাগরি। আপনি মূলত কি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটাই হচ্ছে নিশ। নিশ সিলেকশনের বেশ কিছু টার্মস্ অ্যান্ড কন্ডিশন আছে যা মানলে খুব সহজেই ভালো একটি নিশ সিলেক্ট করা যায়। কিভাবে ভ্যালুয়েবল নিশ সিলেকশন করবেন? এজন্য দেখতে হবে, আপনি কোন বিষয়ে বেশি পারদর্শী বা কোন বিষয় ভাবতে পছন্দ করেন, টার্গেটেড নিশে অডিয়েন্স সিলেকশন করতে পারা, সার্চ ভ্যালু, অডিয়েন্স ভ্যালু,ইনকাম ভ্যালু এগুলো দেখে নিস সিলেক্ট করবেন। “নিস”- খুবই সেনসিটিভ একটি বিষয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের কিভাবে নিস সাইট থেকে ইনকাম করবেন এখানে পাবেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
অন্যের পণ্যকে নিজের কোনো প্লাটফার্ম এর মাধ্যমে বিক্রিয় করে কিছু টাকা কমিশন এর মাধ্যমে ইনকাম করাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি আপনার নিশ সাইট, বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে “Amazon Associates Program” এ জয়েন হলে Products এর প্রচার করার জন্য আপনাকে একটি বিশেষ referral link দেওয়া হবে। আপনাকে সেই বিশেষ referral link এর দ্বারা products বিক্রি করাতে হবে এবং তাহলেই সেই বিক্রির বিপরীতে কমিশন পাবেন। আর এভাবেই খুব সহজে নিস সাইট তৈরী করে আমাজন থেকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই বলা যায়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা তেমন কঠিন কিছু নয়। জাস্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট, সেলস ফানেল (নিশ সাইট বা অন্য কোন প্লাটফরম) ও ট্রাফিক জেনারেশান করে শুরু করে দিতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং।
মানুষ প্রতিদিন আরো বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছে সুতরাং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যত যে উজ্জ্বল তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing ) করে আয় করে মাস শেষে বড় একটা এমাউন্টের প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing ) এর পথচলা শুভ করতে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনি যদি “অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং” এর বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে থাকেন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কো আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার জন্য একটি সঠিক গাইডলাইন পেতে চান, তবে “অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং” নিয়ে আমার প্রজেক্ট এ ভর্তি হতে পারেন। এটা কোন শুধু কোর্স নয় বরং তার থেকেও বেশি কিছু, লাইভ প্রজেক্ট (অর্থাৎ এই সাইট টির ডোমেইন কেনা থেকে শুরুকরে হোস্টিং, ডিজাইন, আউটরিচ, এবং ইনকাম জেনারেটের প্রতিটি ধাপ দেখাবো। যাতে করে স্টুডেন্টরা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্সের পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রাকটিক্যাল ধারনা পায়।) । আমরা আপনাকে সাথে নিয়েই নিশ সাইট ডেভেলপমেন্ট করে ইঙ্কাম জেনেরেট করবো ইনশাআল্লাহ।
লাইভ প্রজেক্ট এবং কোর্স ফি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন